জল দাও – বিষ্ণু দে
ফাল্গুন আরম্ভে তার-
এক হিসাবে অবশ্য মাঘেই
কিংবা তারও আগে
ও-বছরে বা আর বছরে
বছরে বছরে দীর্ঘ প্রকৃতির কর্মসূত্রে অথবা নিয়মে
ছোটো ঘেরা মাটির সংযমে
হাওয়ার মুক্তিতে গাঁথা সরস সজল সংকল্পে গম্ভীর
গন্ধের আলাপ তার বাজে
পাপড়িতে পাপড়িতে তার পরাগেরপাখোয়াজে
ও-বছরে বর্ষার সজল মিছিলে
কিংবা তারও আগে বুঝি পাঁচ বছরের দীর্ঘ দূর অভিযানে
প্রাণের প্রয়াসে আজ প্রচুরতা তার
তাই আজ
যখন আকাশে নামে নির্জন বিষাদ
অন্ধকার পরোয়ানা শিমূলের লালে
গোলমোরের সোনাও পান্ডুর
শালিকের ঐক্যতান থেমে যায় জামরুল বাগানে
কলকাতার কাক আর সমুদ্রের বকের বলাকা বহুদূর
তখনই কুঁড়িতে লাগে অধরা আবেগ কোন
বসন্তবাহারে লাগে সহিষ্ণু হৃদয়ে থরোথরো
প্রচন্ড যন্ত্রণাস্পন্দে একাগ্র নির্দেশে
আনন্দে নিমেষহীন রূপান্তরে সৃষ্টিতে আকুল
তারপর আলো জ্বালি
বন্ধু কিংবি বইয়ের আশ্রয়ে
কিংবা কি খবর শুনি দাঙ্গার কোথাও ক্লান্ত
সন্ধ্যার প্রান্তরে এসে নিঃস্বার্থ আকাশে দেখি
ফুটে আছে শান্ত শুচি
সময়ের জড়ো করা ভুল একটি মুহূর্তে ধুয়ে
বিনীত পদ্মের মতো নিশ্চিন্ত অথচ দান্ত
কর্মের সংবিতে স্তব্ধ
অভ্রান্ত সম্পূর্ণ সত্তা
রাত্রির নক্ষত্রে যেন প্রকৃতিস্থ অস্তিত্বের আকাশে স্বাধীন
একরাশ শাদা বেলফুল।
গরমে বিবর্ণ হল গোলমোরের সাবেক জৌলুস-
কৃষ্ণচূড়া চোখে আনে জ্বালা
রৌদ্রের কুয়াশা জ্বলে ঝরা মরা পোড়া লেবার্নমে
এখানে ওখানে দেখো দেশছাড়া লোক ছায়ায় হাঁপায়
পার্কের ধারের শানে পথে পথে গাড়ি বারান্দায়
ভাবে ওরা কী যে ভাবে! ছেড়ে খোঁজে দেশ
এইখানে কেউ বরিশালে কেউ কেউ বা ঢাকায়।
গরম হাওয়ায়ঝরে নীল আর বেগনি ফুরুষ
কৃষ্ণচূড়া নির্নিমেষে টেনে চলে টেনে মালাবদলের পালা
খুঁজে খুঁজে যমুনার স্নিগ্ধ ছায়া হিংস্র গরমে
এখানে ওখানে দেখো কত ঘরছাড়া লোক ছায়ায় হাঁপায়
পার্কে ছাউনিতে পথে ম্যানসনের বারান্দায় শানের শয্যায়
কীযে ভাবে ঘর ছেড়ে খোঁজে বুঝি দেশ
কোথায় যে যাবে ভাবে হাওড়ায় না কি সে ঢাকায়
আমাদের ঘরে ঘরে আমরাও নানান মানুষ
গেয়ে চলি চুপি-চুপি আমাদের পালা
কিংবা গাই না আর মাথা নাড়ি পোড়া মাথা গরমে নরমে
থেকে থেকে হয়তো বা আমাদের কেউ কেউ মরীয়া হাঁপায়
জীবনে মৃত্যুতে কিংবা মৃত্যুতে জীবনে ভগ্ন ব্যর্থ অসহায়
কী যে ভাবে কর্মহীন অর্থহীন অচেনা স্বদেশ
কোথায় যে যাবে ভাবে কোন দেশ শীতল বর্ষায়
কারণ দেখেছে সব গোবি মরুভূতে এক যাত্রা কত সহাস পুরুষ
যাত্রী অভিযাত্রী চলে দেখেছে তো তুষারের দেশে জয়মালা
গলায় দুলিয়ে চলে বিজ্ঞানের মৈত্রীর মরমে
মানুষের প্রেমে বীর দগ্ধমেরু কিংবা দীর্ণ মধ্য এশিয়ায়
গমের ধানের খেতে প্রাণের আশ্বিনে আনে স্টেপে ও তুন্দ্রায়
বিজয়ী বসতি আনে সচ্ছল বসতি আনে উন্মুখর দেশ
কত চেলিউসকিন! হাওড়ায় চাটগাঁয় বাঁকুড়ায় চলেছে ঢাকায়
হয়তো বা নিরুপায়
হয়তো বা বিচ্ছিন্নের যন্ত্রণাই বর্তমানে ইতিহাস
বালিচড়া মরা নদী জলহীন পায়ে পারাপার
অথচ বৈশাখী হাওয়া বাংলার সমুদ্রের
আমের মুকুলে ফল
রাশি রাশি বেলমল্লিকায়
বাগান বিহ্বল আজ কালেরই বাগান
তবু লুব্ধ রুদ্রের মাঘের
পাতা ঝরা পাতা ঝরানোর ক্ষোভের রাগের
তবু সেই বাঁচার মরার মরীয়া যন্ত্রণা চলে
আমাদের দিনের শিকড়ে রাত্রির পল্লবে
যতি বা হতুম ফুল বইতুম দক্ষিণের হাওয়া
রইতুম নিষ্পলক রূপান্তরের দ্রুত নিত্য চাঁদ
কিন্তু আমরা যে পৃথিবীর আমরা মানুষ
আমাদেরই অতীতের স্রোতে গড়ি ভবিষ্যৎ
এ-কূলে ও-কূলে আমাদেরই বর্তমানে
কিছুটা উদ্বৃত্ত সত্ত্বেও – বৃষ্টি কিংবা আর্তেসীয় জলে।
কর্মিষ্ঠ যন্ত্রণা-না-হলে বলব তীক্ষ্ণ প্রতীক্ষায়
আততির আবর্ত-সেতুতে ঘেঁষাঘেঁষি
আমাদের উত্তরাধিকার আমাদেরই ক্রতুকৃতমের
প্রাত্যহিক পদক্ষেপে
আমরা কোপাই গাঁথি বুনি আর আমরাই ভানি
নিজে-নিজে এবং সবাই যদি ধানে মই
দিই নিজে-নিজে কিংবা সকলেই বেশি কেউ কম
সদসৎ তার নিজের সবার কম কেউ বেশি
আমাদেরই ইতিহাস মুহূর্তে মুহূর্তে গোনে
তরঙ্গয়িত আয়ু তার জীবনে মৃত্যুতে
আমাদের জীবিকায় জীবনযাত্রায় দেহ মনের বিন্যাসে
কর্মে অপকর্মে কর্মহীনতায়-কিছুটা উদ্বৃত্ত সত্ত্বেও
একপাত্র জল জমে যেমন বরফ পাত্রটি ফাটায়
★ ★ ★ ★ ★
এবারে উঠেছে হাওয়া ধোঁয়া নেই দোলা দেবে চাঁদ
চৈত্রের সন্ধ্যায় হাওয়ায়-হাওয়ায়
না কি কোনো দোলাই দেয় না সে ?
পূর্ণিমার চাঁদ বটে বাঁধ ভেঙে তবু কি সে হাসে
প্রকৃতি কি অপ্রাকৃত মূঢ়তায়
হাসবে কি একাই নিষাদ ?
নির্বাক নিমেষহীন সন্ধ্যা পূর্ণ চাঁদের মায়ায়
হেমন্ত বিষাদ এ কি বসন্তে এনেছে ?
তবু সন্ধ্যা চৈত্র সন্ধ্যা সমুদ্রের বার্তাবহ
দগ্ধ দিনে মৃত্যুর শহরে
তবুও পূর্ণিমা আসে পথে ছাদে প্রত্যক্ষ কায়ায়
ডুবিয়ে দিনের ছায়া কূট দুর্বিষহ
ভেঙে দিয়ে অন্ধ বিসংবাদ
উন্মাদের ব্যবসাও
চূর্ণ করে গৃধ্নু দানবিক হিংস্র কন্ঠ
হয়তো বা শুনিনিকো হাসি
তোমার পূর্ণিমা! তবু আমি শুধু খুঁজিনি বিষাদ
সোনালি চাঁদের এই নীল নির্বিকার আলোর বন্যায়
বরঞ্চ গুনেছি দেশে-দেশে লক্ষীমন্ত সচ্ছল সুঠাম
গ্রামে-গ্রামে শহরে-শহরে, বিস্তৃত শান্তির বর্ষা
দেখেছি সবাই যেন ভাসি
দুলি যেন জ্যোৎস্নার সমুদ্রের ঢেউয়ে-ঢেউয়ে, নদী কিংবা আলোর ঝর্ণায়
আকাশের সমতলে মৃত্যুও যেখানে পুত্র ও কন্যায়
সম্পূর্ণ বার্ধক্যে স্থির মানবিক যেখানে বাঁচাই আর
বাঁচানোই স্বাভাবিক।
★ ★ ★ ★
হয়তো বা যন্ত্রণাই সার
দেখে যেতে হবে আজ ঠেকে শিখে
সত্তার অক্ষরে লিখে-লিখে
অত্যাচারে অনাচারে উদভ্রান্ত উন্মাদ এই বর্তমান
নিজে-নিজে এবং সবার কৃতকর্মে শুনে যেতে হবে
কুরুক্ষেত্রে ভীষ্ম যেন কিংবা সেই বিরাট প্রাসাদে
অজ্ঞাতবাসের বীর বৃহন্নলা অর্জুনের গান
কিংবা যেন ফাল্গুন চৈত্রের প্রস্তুতির
পাতাঝরা নতুন পাতার আঁকশিতে অঙ্কুরে
শিরায়-শিরায় শিকড়ের প্রচ্ছন্ন উৎসবে
অধরা অথচ তীব্র প্রাণের স্তুতির
অনিবার্য যতির স্তব্ধতা
শ্রুতির আক্ষেপস্পন্দে
কবিতার ছন্দের মতন
কিংবা যেন উত্তোলিত পদক্ষেপে
যখন সামনে দেখি সেতুর ফাটলে
অতলের প্রত্যাখ্যান এবং আহ্বান
কিংবা বুঝি মোহানারা গান
হুগলির নিস্তরঙ্গ সঞ্চয়ী মধ্যাহ্নে
পিছনে অনেক স্মৃতি বহুস্রোত
রূপনারানের
দামোদর কাঁসাই হলদি রসুলপুরের
দূরের মাৎলা মাথাভাঙা আরো দূরে পদ্মার বানের
অথচ নিঃস্রোত মনে হয় একা কর্মহীন
প্রতিবেশী নেই
থাকলেও নিঃসঙ্গ সে, কারণ, সর্বদা
পরধর্ম ভয়াবহ ভাঁটায় জোয়ার
সমুদ্রের আন্দোলন বান-ডাকা সন্ত্রাসে নিঃশেষ
তাই প্রতীক্ষায় স্তব্ধ কিন্তু সমুদ্যত
অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে খরদীপ্ত নৃত্যমঞ্চে বোল ছড়াবার
আগের মুহূর্তে আভঙ্গআতত
বালাসরস্বতী কিংবা রুক্মিণী দেবীর মতো-
আসন্নসম্ভবা অন্তর্মুখী জননীর মতো
বৈশাখীর বৃষ্টির আগের স্তব্ধতায় সতর্ক গম্ভীর-
কিংবা যেন বল্গা ধরে তাতার সওয়ার একাগ্র সংহত
পামীরে আরালে কিংবা বুঝি কৃষ্ণ কাশ্যপ সাগরে
তারপর লাগে দোলা লাগে দোলা
খরশর স্রোত
কল্লোলে মুখর
সমুদ্রে-সমুদ্রে ওঠে তালে-তালে
সমুদ্রে নদীতে নীল মহাসমুদ্রের কান্নায় হাসিতে
সাগরউত্থিতা সেই অধিষ্ঠাত্রী সুন্দরীর আবিশ্ব আভাসে
ঊর্মিল জোয়ার
একাকার মুহূর্তে তখন চূড়ায়িত ক্ষণে সাম্প্রতিক
অতীত ও আগামীর গান
প্রাত্যহিকে-প্রাত্যহিকে
পলিতে উর্বর দিকে-দিকে মানসে শরীরে
জীবনে জীবন।
★ ★ ★ ★
তোমার স্রোতের বুঝি শেষ নেই, জোয়ার ভাঁটায়
এ-দেশে ও-দেশে নিত্য ঊর্মিল কল্লোলে
পাড় গড়ে পাড় ভেঙে মিছিলে জাঠায়
মরিয়া বন্যার যুদ্ধে কখনো-বা ফল্গু বা পল্বলে
কখনো নিভৃত মৌন বাগানের আত্মস্থ প্রসাদে
বিলাও বেগের আভা
আমি দূরে কখনো-বা কাছে পালে-পালে কখনো-বা হালে
তোমার স্রোতের সহযাত্রী চলি, ভোলো তুমি পাছে
তাই চলি সর্বদাই
যদি তুমি ম্লান অবসাদে
ক্লান্ত হও স্রোতস্বিনী অকর্মণ্য দূরের নির্ঝরে
জিয়াই তোমাকে পল্লবিত ছায়া বিছাই হৃদয়ে
তোমাতেই বাঁচি প্রিয়া
তোমারই ঘাটের গাছে
ফোটাই তোমারই ফুল ঘাটে-ঘাটে বাগানে-বাগানে।
জল দাও আমার শিকড়ে।।
■ প্রশ্নোত্তর আলোচনা –
১) ‘জল দাও’ কবিতাটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ?
✒️ কবিতা পত্রিকায়
২) ‘জল দাও’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ?
✒️ অন্বিষ্ট
৩) অন্বিষ্ট কাব্যগ্রন্থটির প্রচ্ছদ কে অঙ্কন করেছেন ?
✒️ প্রাণকৃষ্ণ পাল
৪) ‘জল দাও’ কবিতাটির চরণ সংখ্যা কত ?
✒️ ১৮১
৫) হেমন্ত, বর্ষা, শরৎ , বসন্ত – কোন ঋতুর উল্লেখ ‘জল দাও’ কবিতাটিতে নেই ?
✒️ শরৎ
৬) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে কটি নদীর উল্লেখ আছে ?
✒️ ১০টি
৭) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে উল্লেখিত নদীগুলির সঠিক ক্রম চিহ্নিত করো।
✒️ যমুনা, হুগলি, রূপনারান, দামোদর, কাঁসাই, হলদি, রসুলপুর, মাৎলা, মাথাভাঙা, পদ্মা
৮) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে কতগুলি দ্বিরুক্তশব্দ আছে ?
✒️ ২৫টি
৯) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে কোন দ্বিরুক্তশব্দ বেশি ব্যবহৃত হয়েছে ?
✒️ নিজে-নিজে
১০) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে উল্লেখিত শেষ দ্বিরুক্ত শব্দ কী ?
✒️ বাগানে বাগানে
১১) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে কটি পাখির উল্লেখ পাওয়া যায় ?
✒️ ৩টি ~ শালিক, বক, কাক
১২) জামরুল, বেদানা, আম – এর মধ্যে কোন ফলটির উল্লেখ ‘জল দাও’ কবিতাটিতে নেই ?
✒️ বেদানা
১৩) পশ্চিমবঙ্গের ক’টি জেলার উল্লেখ ‘জল দাও’ কবিতাটিতে আছে ?
✒️ ৩টি
১৪) হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া – কোন জেলার উল্লেখ ‘জল দাও’ কবিতাটিতে নেই ?
✒️ হুগলি
১৫) বাংলাদেশের কটি জেলার উল্লেখ কবিতাটিতে আছে ?
✒️ ৩ টি
১৬) ঢাকা, বরিশাল, শ্রীহট্ট, চাটগাঁ, – কোনটির উল্লেখ ‘জল দাও’ কবিতাটিতে নেই ?
✒️ শ্রীহট্ট
১৭) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে উল্লেখিত ‘চেলিউসকিন’ কথাটির অর্থ কী ?
✒️ চেলিউসকিন একটি অন্তরীপ, এশিয়ার উত্তরের বিন্দু
১৮) পথে – পার্কে – ম্যানসনের বারান্দায় – ছাউনিতে – শানের শয্যায় – ‘জল দাও’ কবিতা অনুযায়ী সঠিক ক্রমটি উল্লেখ করো।
✒️ পার্কে – ছাউনিতে – পথে – ম্যানসনের বারান্দায় – শানের শয্যায়
১৯) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে উল্লেখিত মরুভূমির নাম কী ?
✒️ গোবি
২০) লাল, নীল, সবুজ, বেগুনি, সাদা, সোনালি, – কোন রঙের উল্লেখ ‘জল দাও’ কবিতাটিতে নেই ?
✒️ সবুজ
২১) ‘জল দাও’ কবিতায় শালিকের ঐক্যতান কোথায় থেমে যায় ?
✒️ জামরুলের বাগানে
২২) পদ্ম, বেল, কৃষ্ণচূড়া, বেলমল্লিকা, শিমূল –
‘জল দাও’ কবিতা অনুযায়ী ক্রম নির্দেশ করো।
✒️ শিমূল – পদ্ম – বেল – কৃষ্ণচূড়া – বেলমল্লিকা
২৩) আশ্বিন, মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র, বৈশাখ – ‘জল দাও’ কবিতা অনুযায়ী ক্রম নির্দেশ করো।
✒️ ফাল্গুন, মাঘ, আশ্বিন, বৈশাখ, চৈত্র
২৪) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে কোন মাসের সর্বাধিক উল্লেখ আছে ?
✒️ চৈত্র
২৫) “_ _ খেতে প্রাণের আশ্বিন আনে স্টেপে ও তুন্দ্রায়” – ‘জল দাও’ কবিতাটি অনুযায়ী পূরণ করো।
✒️ গমের ধানের
২৬) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে ক’জন নৃত্যশিল্পীর উল্লেখ আছে ?
✒️ ২ জন
২৭) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে উল্লেখিত নৃত্যশিল্পী দু’জনের নাম লেখো।
✒️ বালাসরস্বতী ও রুক্মিনী
২৮) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে ক’টি সাগরের উল্লেখ আছে ?
✒️ ২টি
২৯) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে উল্লেখিত সাগরের নাম লেখো।
✒️ কৃষ্ণ ও কাশ্যপ
৩০) ঊর্মিল কল্লোলে, উর্মিল জোয়ার, জোয়ার ভাঁটায়, ভাঁটায় জোয়ার – ‘জল দাও’ কবিতা অনুযায়ী ক্রম নির্দেশ করো।
✒️ ভাঁটায় জোয়ার – ঊর্মিল জোয়ার – জোয়ার ভাঁটায় – ঊর্মিল কল্লোলে
৩১) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে মহাভারতের কোন দুটি চরিত্রের উল্লেখ আছে ?
✒️ ভীষ্ম ও অর্জুন
৩২) “_ বিষাদ এ কি বসন্তে এনেছে ?” ‘জল দাও’ কবিতা অনুযায়ী পূরণ করো।
✒️ হেমন্ত
৩৩) “বিনীত _ মতো নিশ্চিন্ত অথচ দান্ত” – ‘জল দাও’ কবিতা অনুযায়ী পূরণ করো।
✒️ পদ্মের
৩৪) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে কে চোখে জ্বালা আনে ?
✒️ কৃষ্ণচূড়া
৩৫) ‘জল দাও’ কবিতাটিতে কত বছররের অভিযানের কথা উল্লেখ আছে ?
✒️ ৫ বছরের
৩৬) কর্মিষ্ঠ যন্ত্রণা, আবর্ত সেতু, অগ্নি বীণা, আর্তেসীয় জল – ‘জল দাও’ কবিতাটিতে কোন শব্দগুচ্ছের উল্লেখ নেই ?
✒️ অগ্নি বীণা
৩৭) অমাবস্যা, পূর্ণিমা, জ্যোৎস্না – কোনটির উল্লেখ নেই ‘জল দাও’ কবিতায় ?
✒️ অমাবস্যা
৩৮) চৈত্র সন্ধ্যা কীসের বার্তাবহ ?
✒️ সমুদ্রের
৩৯) ‘জল দাও’ কবিতাটির প্রথম লাইন কী ?
✒️ ফাল্গুন আরম্ভে তার
৪০) ‘জল দাও’ কবিতাটির শেষ লাইন কী ?
✒️ জল দাও আমার শিকড়ে