মাধ‍্যমিক বাংলা সংলাপ সাজেশন


১) মোবাইল ফোনের সুফল – কুফল – সংলাপ

ক – শুভ জন্মদিন, বল বাবার থেকে কী উপহার নিলি ?

খ – ধন‍্যবাদ, মোবাইল ফোন নিয়েছি।

ক – তাই কি ভালো রে, আমার মা তো কিনেই দিতে চায় না, পড়াশোনার ক্ষতি থেকে শুরু করে অ্যাক্সিডেন্ট পর্যন্ত সব শুনিয়ে দেয়। যাই হোক টিউশন শুরু হলে আনবি তো, তখন দেখব।

খ – না রে,টিউশনে বা বাইরে কোথাও মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া বারণ। তাই এ নিয়ে কোনো রকম অ্যাক্সিডেন্ট আমার হচ্ছে না। আর পড়াশোনার জন‍্য‌ই তো নিয়েছি। অনলাইন ক্লাস, পিডিএফ রাখা এসব মায়ের ফোন থেকে হচ্ছিল না, তাই নিয়েছি।

ক – আমার‌ও তাই অবস্থা, অনলাইন ক্লাস করছি দেখি মাসি ফোন করছে। ফোন কাটতে কাটতেই ক্লাস কিছুটা মিস হয়ে যায়, তবু দেবে না। ফেসবুক পাবজির সঙ্গে পড়াশোনা হবে না, মাধ‍্যমিকের পর ফোন হাতে নিয়েই তো সবাই গোল্লায় যায় এসব কত কথা।

খ – সে তুই কাকিমাকে বল ফেসবুক বা কোনো গেমের অ্যাপ তুই ডাউনলোড করবি না। বন্ধুদের কথায় প্ররোচিত না হয়ে নিজে ঠিক থাকলেই হল। ওসব তো আসলে সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। তাছাড়া দ‍্যাখ একটা ফোন থাকলে ইউটিউব থেকে কতকিছু শিখতে পারবি নিজের পছন্দের বিষয়গুলো জানতে পারবি, তাছাড়া গুগল তো আছেই।

ক – হুম সেই তো তোর কথা শুনে আমারো ইচ্ছে হচ্ছে।

খ – আমি তো ফোন কিনে একটা ফ্রি ব্লগ খুললাম, জানিস তো বিভিন্ন অজানা বিষয় নিয়ে আমার লেখালেখির শখ। তাছাড়া এখন থেকেই উচ্চমাধ‍্যমিকের বিষয় অনুযায়ী ইউটিউব চ‍্যানেল সাবস্ক্রাইব করে একটু একটু পড়াও শুরু করেছি। আর জানিস একটা অনলাইন আবৃত্তির ক্লাসে ভর্তি হয়েছি।

ক – বাঃ, এটা দাযরুণ তো। এখন তো ঘরে বসেই সব করতে হবে। আমিও তবে মাকে তোর কথা বলে বোঝাই, তাহলে ইউটিউব থেকে বিভিন্ন ড্রয়িং ক্লাস গুলো ফলো করতে পারব।

খ – হুম বল, আসলে খারাপ ভালো সবটাই আমাদের হাতে, মোবাইল ফোন একটা যন্ত্র ছাড়া তো আর কিছুই নয়। আর একদিন আয় সময়মতো কাকিমাকে নিয়ে, নেমন্তন্ন র‌ইল।

ক – বেশ, আমি বোঝাতে না পারলে তোর শরণাপন্ন হব বন্ধু।

২) সোশ‍্যাল নেট‌ওয়ার্কিং সাইটের ভালো মন্দ – সংলাপ

ক – জানিস, ফেসবুকে একটা গ্রুপে খুব সুন্দর গল্প পড়লাম। তোর হোয়াটস‌অ্যাপ নম্বরটা দে, তোকে পাঠাব।

খ – আমার তো ফেসবুক বা হোয়াটস‌অ্যাপ কোনোটাই নেই। মা ওসব ব‍্যবহার করতে বারণ করেছে। তোকে কাকিমা কিছু বলেন না ?

ক – বকবে কেন ? নিজে সচেতন হয়ে যে কোনো বিষয়ের ভালো মন্দ বুঝে ব‍্যবহার করলেই হল।

খ – সেটাই তো। সোশ‍্যাল নেট‌ওয়ার্কিং সাইটগুলোর এখন এমন রমরমা বেড়েছে যে ব‍্যক্তিগত তথ‍্য আর ব‍্যক্তিগত থাকছে না। ওদের একে অপরের সঙ্গে এমনভাবে লিঙ্ক আছে যে গুগলে যা সার্চ করি তা অমনি ফেসবুক বা ইউটিউবে দেখাতে শুরু করে। তাছাড়া এই যে ফেসবুকে নানা ঘটনা বা তথ‍্যমূলক প্রবন্ধ‌ও থাকে তার কতটা ঠিক হয় ?

ক – তুই কথাটা ঠিক‌ই বলেছিস। তবে তা অর্ধসত‍্য। দ‍্যাখ, সোস‍্যাল নেট‌ওয়ার্কিং সাইটগুলো ব‍্যবসা করতে নেমেছে, তোর চাহিদা বুঝে তোর সামনে বিষয়গুলো হাজির করাই ওর কাজ। এখন তুই ব‍্যক্তিগত তথ‍্য দিতে না চাইলে তার সুযোগ আছে। নিজের লোকেশন ইমেল সবক্ষেত্রে ব‍্যবহার করবি না। কিংবা আলাদা ইমেল আইডি ব‍্যবহার করবি। এছাড়া আরো অনেক অপশন আছে।

খ – সে নয় হল। কিন্তু এই পুরো সিস্টেমটাই তো একটা ট্র‍্যাপ। দ‍্যাখ আমাদের বয়সি কত ছেলেমেয়ে শুধুমাত্র নিজেদের ছবিতে লাইক আর কমেন্ট পাবার আশায় দিনে কতকি কারসাজি করে। এটা শিক্ষা সভ‍্যতার অবনতির অন‍্যতম কারণ। এটা তো তুই মানবি ?

ক – অবশ‍্য‌ই। তা বলে নেট‌ওয়ার্কিং সাইটকে দোষ দিলে চলে না। ওই যে বললাম তোকে সচেতন হতে হবে। আমরা সোস‍্যাল নেট‌ওয়ার্কিং সাইট বললে ফেসবুক হোয়াটস‌অ্যাপ স্ন‍্যাপচ‍্যাট ইউটিউব এসব বুঝি। তুই কি জানিস ব‌ইপ্রেমীদের জন‍্য গুডরীডস আছে যেখানে তুই অন‍্যান‍্য ভাষায় ব‌ইপত্র নিয়ে জানতে পারিস ? এছাড়া ব্লগ লেখার, নানা জায়গার খবর জানার, শিল্পীদের নিজেদের ছবির প্রদর্শনীর কতরকম সাইট আছে। তোর যে কোনো প্রশ্নের বিভিন্ন সমাধানের জন‍্য কোরা আছে। তাছাড়া ইউটিউব তো আছেই তোর পড়াশুনা অন‍্যান‍্য শখ ইচ্ছা জানতে চাওয়ার সমাধানের জন‍্য।

খ – তুই ঠিক বলেছিস। আসলে আমি কেবল সোস‍্যাল নেট‌ওয়ার্কিং সাইট বলতে ফেসবুক টুইটার বুঝি। এসব তো জানিই না।

ক – শুধু তুই নয়, বেশিরভাগ মানুষ‌ই জানেনা। আর মানুষের বড় সমস‍্যা হল অর্ধেক জেনে মূল‍্যায়ণ করা। সব বিষয়‌ই ভালো মন্দ থাকে, আর তার প্রভাব কেমন হবে তা আমাদের ওপর নির্ভর করে।

খ – ঠিক বলেছিস। আচ্ছা ওই ছবি প্রদর্শনীর সাইটটার নাম বলতে পারবি ?

ক – Deviant Art

খ – বেশ, এটাতেই রেজিস্টার করব

—-