বিজন ভট্টাচার্যের নবান্ন নাটকের বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা
কলমে:- অভিজিত ঘোষ ( বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় )
বাংলা নাট্য সাহিত্যের ইতিহাসে যে কয়েকজন ব্যক্তিত্বের চেহারা উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীতে বাংলার মানুষের জীবনের উপর যে প্রভাব পড়েছিল, তারই এক অঙ্কিত চিত্র শুনিপুনভাবে অঙ্কন করেছেন নাট্যকার তাঁর নবান্ন নামক নাটকের মধ্যে। নবান্ন নাটকটি তৎকালীন সমাজের প্রতিচ্ছবি এবং দলিল হিসেবে আজ সাক্ষ্য প্রদান করে। নাট্যকারের এই নবান্ন নাটকের বিশ্লেষণী আলোচনা নিম্নে প্রদান করা হলো।
■ লেখক পরিচিতি:-
১৭ জুলাই ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে ফরিদপুর (বর্তমানে বাংলাদেশের রাজবাড়ী ) জেলার খানখানাপুরে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা নাট্য সাহিত্যের এক বিশেষ উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব বিজন ভট্টাচার্য । তিনি ছিলেন ভুস্বামি পরিবারের একজন সদস্য। তার পিতা ফিরোদ বিহারী ভট্টাচার্য ছিলেন একজন শিক্ষক। তাঁর পিতার কর্মসূত্রের জন্য তিনি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রান্তে ঘোরার সুবাদ পেয়েছেন, এবং এই সুবাদেই তিনি সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনধারণ সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন। তিনি একাধারে ছিলেন নাট্যকার এবং একজন বিশিষ্ট অভিনেতা। সাথেসাথে তিনি রঙ্গমঞ্চে নিজে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাঁর রচিত শ্রেষ্ঠ নাটক হল ‘নবান্ন’ সেই ‘নবান্ন’ নাটকেরই বিশ্লেষণী আলোচনা নিম্নে প্রদান করা হলো-
■ নাটকের পরিচয়:-
নবান্ন নাটকটিকে পর্যালোচনা করতে গেলে প্রথমেই আমাদের চোখ রাখতে হয় নাটকের বিষয়বস্তুর দিকে। যা আমাদের বাংলা নাট্য সাহিত্যের ইতিহাসকেই নয় যা সমকালীন সমাজের হিংস্র এবং ভয়ংকর জমিদারদের বর্বর এবং অমানবিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে এবং বৈপ্লবিক প্রেক্ষাপট রচনার এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
● প্রকাশকাল:- নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষ কে কেন্দ্র করে তৎকালীন সমাজের উচ্চবিত্ত মানুষ ( জমিদারদের ) মনোভাব এবং নিম্নবিত্ত মানুষদের উপর তাদের অকথ্য অত্যাচারের এক দলীল রূপে সংরক্ষিত করতে গিয়ে যে রচনার সৃষ্টি করেছেন তা হল ‘নবান্ন’ নাটক। নাট্যকার ১৯৪৪ সালে এই নাটকটি রচনা করেন। এবং এই নাটকটি প্রথমে প্রকাশ পায় ১৯৪৪ সালের ১২ই মে ‘অরণী পত্রিকায়’। ১৯৪৪ সালে গিরিন চক্রবর্তীর – পূরবী পাবলিশার্সের সম্পাদনায় গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় এই ‘নবান্ন’ নামক নাটকটি।
● নবান্ন নাটকের উৎসর্গ:- নবান্ন নাটকটি নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য উৎসর্গ করেছেন ‘আমিনপুর’ গ্রামকে। বাস্তবসম্মতভাবে এই আমিনপুর গ্রাম হল বর্তমানে মেদিনীপুর।
● দৃশ্য এবং অংক:- নবান্ন নাটকটিতে মোট চারটি অংক রয়েছে, এবং এই চারটিঅংকে মোট ১৫টি দৃশ্য রয়েছে। প্রথম অংকে রয়েছে পাঁচটি দৃশ্য। দ্বিতীয় অংকে রয়েছে পাঁচটি দৃশ্য। তৃতীয় অংকে রয়েছে দুইটি দৃশ্য। এবং চতুর্থ অংকে রয়েছে তিনটি দৃশ্য। দৃশ্য সংখ্যা ভাগ করা যায় – (5+5+2+3)
● সঙ্গীত:- সমগ্র নবান্ন নাটক মধ্যে আমরা মোট চারটি সংগীতের পরিচয় পাই। এই চারটি সংগীতই চতুর্থ অংকের মধ্যে পাওয়া যায়।
প্রথম সঙ্গীত – “বড় জ্বালা বিষম জ্বালায়” – সংগীতটি গাওয়া হয়েছে নাটকের চরিত্র নিরঞ্জনের কন্ঠ দিয়ে। সংগীতটি চতুর্থ অংকের প্রথম দৃশ্যে রয়েছে।
দ্বিতীয় সংগীত – চতুর্থ অংকের দ্বিতীয় দৃশ্যে রয়েছে। যা গাওয়া হয়েছে গায়ক ফকিরের কন্ঠ দিয়ে। এই দ্বিতীয় সংগীতটি হল “আপনি বাঁচলে তো বাপের নাম”।
তৃতীয় সঙ্গীতটি রয়েছে চতুর্থ অংকের তৃতীয় দৃশ্যে। যা গাওয়া হয়েছে কৃষক রমণীর কণ্ঠ দিয়ে। সংগীতটি হল “নিশলো চেয়ে সামনের হাটে”।
নবান্ন নাটক মধ্যে চতুর্থ সঙ্গীতটি গাওয়া হয়েছে চতুর্থ অংকের তৃতীয় দৃশ্যে চাষির কন্ঠ দিয়ে। সংগীতটি হল “ফেকু মিয়া মোরগ জিতেছে”।
● প্রবাদ:– নবান্ন নাটক মধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি প্রবাদের মুখোমুখি হয়েছি। সেই প্রবাদ গুলির মধ্যে প্রথম প্রবাদটি হল “কাজে কুঁড়ে ভোজনে দেড়ে”। প্রবাদটি প্রথম অংকের দ্বিতীয় দৃশ্যে কুঞ্জ বলেছে।
নাটক মধ্যে দ্বিতীয় প্রবাদটি হল “সুখ খায় গুড় দিয়ে মুড়ি”। প্রবাদটি রয়েছে প্রথম অংকের চতুর্থ দৃশ্যে এবং প্রবাদটি বলেছে কুঞ্জ।
নবান্ন নাটকের তৃতীয় প্রবাদটি হল “ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো”। এই প্রবাদটি বলেছে হারু দত্ত। এই প্রবাদটি বলা হয়েছে দ্বিতীয় অংকের চতুর্থ দৃশ্যে।
নাটক মধ্যে চতুর্থ অর্থাৎ শেষ প্রবাদ হলো “যত হাসি তত কান্না বলে গেছে রামসন্না”। প্রবাদটি বলেছে রাধিকা এবং এটি বলা হয়েছে চতুর্থ অংকের দ্বিতীয় দৃশ্যে।● নবান্ন
● নাটকের মঞ্চস্থতা:- ভারতীয় গণনাট্য সংঘের বিশিষ্ট ব্যক্তি সমূহ শম্ভু মিত্র এবং বিজন ভট্টাচার্যের পরিচালনায় শ্রী গৌর ঘোষ মহাশয়ের সংগীত তত্ত্বাবধানে ২৪শে অক্টোবর ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরঙ্গম মঞ্চে প্রথম অভিনীত হয়েছিল এই নবান্ন নাটকটি।
■ ‘নবান্ন’ নাটকের বিষয়বস্তু :-
দুর্ভিক্ষ বন্যা এবং মহামারীর পটভূমিকায় নবান্ন নাটকটি রচিত হয়েছে। নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যের সুনিপুন হস্তে। বাংলার একেবারে নিম্নবর্গের কৃষক ও মানুষদের জীবনযাত্রা ও তাদের ওপর ঘটে যাওয়া উচ্চবিত্ত এবং সমাজের বৃত্তশালী ও প্রভাবশালীদের অত্যাচার ও দুর্ব্যবহারের এক সামাজিক দর্পণ হিসেবে স্বাক্ষর রাখে এই নবান্ন নাটকটি।
১৯৪২ সালের আগস্ট আন্দোলন এবং ১৯৪৩ এর মহামন্বন্তর কে কেন্দ্র করে নবান্ন নাটকটির সমগ্র অংশ রচিত হলেও তার আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে গ্রাম বাংলার মানুষের দুঃখ পীড়িত ছবি। তাদের দুর্দসাময় জীবনচিত্র, তাদের হতভাগ্যতার পরিচয় লুকিয়ে রয়েছে নবান্ন নাটকের কোনায় কোনায়। মহামন্বন্তরের ধ্বংসলীলায় বিপর্যস্ত গ্রাম বাংলার মানুষই এই নাটকের শেষ চিত্র নয়, এই নাটক আশ্রিত মহামন্বন্তরের শেষেও জীবিত চাষীদের শহরতলী থেকে তাদের নিজেদের গ্রামে ফিরে (আমিনপুরে ) নতুন করে গোষ্ঠীবদ্ধভাবে একক পরিকল্পনায় বাঁচার প্রতিজ্ঞা নিয়েছে সেই সমস্ত দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষেরা। সমাজের নিম্ন শ্রেণীর পদদলিত মানুষেরা যারা দিনের আকাশে সূর্য উঠতে দেখে রাতের আকাশে চাঁদ, কিন্তু এই সূর্য ও চন্দ্রের ওঠা ডোবার ভিত্তি মর্ম কিছুই বোঝেনা। যারা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে জানে কিন্তু যাদের স্বপ্ন দেখানোর মানুষের অভাব। সমাজের সাধারণ থেকে অতি সাধারণ এবং ভিখারী ও সৎ আর অসৎ ব্যবসায়ীদের কালোবাজারির ব্যবসা, জমিদারদের অমানবিক আমোদ ফুর্তি, কৃষকদেরকে তাদের স্বভূমি থেকে উত্তোলন, নারী পাচার, গরীব কৃষকের শস্য ও ফসল লুঠ করা, কৃষকদের শাসন ও শোষণ, অভুক্ত মানুষদের যন্ত্রণাক্লিষ্ট চিৎকার, মহামান্বন্তরের আর্তনাদ প্রভৃতি বিষয়গুলির চিত্রায়িত হয়েছে বিজন ভট্টাচার্যের পাকা হাতের সুনিপুন তুলির টানে।
■ চরিত্রপরিচয় :-
বিজন ভট্টাচার্য রচিত নাটক ‘নবান্ন’ তে আমরা প্রায় ৪৫ জন চরিত্রের পরিচয় পাই। এই ৪৫টি চরিত্রই তৎকালীন সমাজের ধনী থেকে গরিব এবং উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত ও ভিখারী থেকে জমিদারদের প্রতিবিম্ব স্বরূপ। নাটকের মুখ্য চরিত্র হলআমিনপুরের বৃদ্ধ চাষী প্রধান সমাদ্দার। তিনি গ্রামের শীর্ষস্থানীয় মানুষ হওয়ার কারণেই সকলের দ্বারা মান্য হয়ে উঠেছেন। এছাড়াও নাটক মধ্যস্থ দয়াল চরিত্রটিও অধিক প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়াও কুঞ্জ সমাদ্দারও নাটকের মধ্যে তাকে আলাদা করে আলোচনার দাবি রাখে। কুঞ্জের পুত্র মাখন ও কুঞ্জের সহোদর নিরঞ্জন সমাদ্দার তাদের চরিত্রাবলির মাধ্যমে নবান্ন নাটককে প্রতিটি পদক্ষেপে জীবিত করে তুলেছে। কুঞ্জ ও নিরঞ্জনের স্ত্রী রাধিকা ও বিনোদিনী স্ত্রী চরিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। নাটকের শুরুতে অল্প পরিসরে স্থান পেয়েছে প্রধান সমাদ্দারের স্ত্রী পঞ্চাননী, যার মধ্যে মাতঙ্গিনীহাজরার ছবি ফুটে উঠেছে বলে মনে করা হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ও গৌণ চরিত্র রয়েছে। তবে নবান্ন নাটকের প্রতিটি চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ। এই চরিত্র গুলির মধ্যে একটি চরিত্রকেও বাদ দিলে নবান্ন নাটককে নবান্ন নাটকের মতো করে ভাবা যায় না। তাই নবান্ন নাটকের প্রতিটি চরিত্রেরই গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
■ নবান্ন নাটকের গোত্র :-
নাটকে গ্রামের প্রধান সমাদ্দার এর পরিবারকে কেন্দ্র করেই নাটকের সমস্ত ঘটনা চক্রাকারে চক্রায়িত হয়েছে। নাটকের একদিকে সমাজের উচ্চবিত্তদের অত্যাচার শাসন ও শোষণের যন্ত্রণাক্লিষ্ট আর্তনাদ। গ্রামীণ জনসাধারনের বিপন্ন জীবন। ঠিক তার অপরদিকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে আমিনপুর গ্রামের কৃষক প্রজারা যে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধক আন্দোলন গড়ে তোলেন তা জাতীয়তাবাদী বিভিন্ন আন্দোলনের একাংশকেও প্রভাবিত করে। নাটকের প্রথম তিনটি অংকের মধ্যে সাম্রাজ্যবাদীদের অত্যাচার ও শোষণ প্রাধান্য পেলেও নাটকের চতুর্থ অংক থেকেই শুরু হয় অত্যাচারিত মানুষের মুখ দিয়ে প্রতিবাদের ধ্বনি, জাতীয়তাবাদের জয়গান। মুক্তিকামী কন্ঠগুলি একত্রিত হয়ে গাইতে থাকে মুক্তি লাভের গান। মহামন্বন্তরের প্রেক্ষাপটে নাটকের সূচনা ঘটলেও প্রতিবাদ ও প্রতিকূলতার মাধ্যমে নবজীবনের স্বপ্নে স্বপ্নায়িত হবার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জনসমাজের মাধ্যমে নাটকের অন্তিম পরিনতি পাঠক হৃদয়কে দ্যোতিত করে। বিভিন্ন অস্থিরতা যন্ত্রণাক্লিষ্ট জীবন, প্রতিকূলতা, দুর্ভিক্ষের বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে নাটকের আরম্ভ হলেও জাতীয়তাবাদের জয়গান ও প্রতিবাদের কন্ঠ এই নাটকটিকে একটি প্রতিবাদী গণনাট্যে পরিণত করেছে।
■ নাট্যকারের ভাবনা :-
বিজন ভট্টাচার্য নবান্ন নাটকটিকে রচনা করেছেন গ্রাম বাংলার কৃষকদের দুর্দশা পীড়িত জনজীবন নিয়ে তিনি ১৯৪৩ সালের মহামন্বন্তরকে কেন্দ্র করে জন্ম দিয়েছেন নবান্ন নাটকটিকে। এই নাটকটির মাধ্যমে তৎকালীন বিত্তশালী ও প্রভাবশালীদের অত্যাচার ও দরিদ্র কৃষক প্রজাদের অতিষ্ঠ জীবনযন্ত্রণা এবং মহামন্বন্তরের প্রভাব সুস্পষ্ট। এই নাটকে প্রধান সমাদ্দারের পরিবারকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে নাটকের বিভিন্ন ঘটনাগুলি। নাট্যকার তৎকালীন সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতিকে তুলে ধরে মানুষদেরকে সচেতন করার জন্য এবং প্রতিবাদী কন্ঠ নিয়ে রুখে দাঁড়ানোর জন্য অভিবাদন জানানোর তাগিদেই রচনা করেছেন ‘নবান্ন’ নাটকটিকে।
পরিশেষে বলা যায় যে নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য তৎকালীন সমাজের বিভিন্ন অসংগতিপূর্ণ অবস্থা গুলিকে তার নবান্ন নাটকের মাধ্যমে চিত্রায়িত করলেও তা তিনি করেছেন একজন গণনাট্যকার হবার সুবাদে। তিনি বিভিন্ন অসংগতিপূর্ণ স্বাধীনতাকামী মানুষদের আবর্তন ও বিবর্তন গুলিকে এবং তৎকালীন সমাজের ঘটনাক্রম গুলিকে তার নবান্ন নাটকের মধ্যে স্থান দিয়ে জনসাধারণের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তাদের কর্তব্য এবং তাদের ভুলগুলিকে। তাদের পার্থক্য বুঝতে শিখিয়েছেন সমাজের বিভিন্ন দুর্দশা ও অত্যাচারের মধ্যে। অবশেষে নবান্ন নাটকের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য তাঁর নাট্য প্রতিভার মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করতে শিখিয়েছেন এবং প্রতিবাদী কন্ঠ নিয়ে রুখে দাঁড়ানোর পন্থা শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছেন। নবান্ন নাটক রচনার মাধ্যমে নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য বিশেষ খ্যাতি ও সুনাম অর্জন করেছেন এবং বাংলা নাট্য সাহিত্যের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ স্রষ্টা হিসেবে চির অমর হয়ে রয়েছেন।