বিষয় : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা

কলমে : অনন্যা সাহা, বি.এ (বাংলা), বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়


ভূমিকা :
        প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগের মূল আশ্রয় ছিল ভাষা। এই ভাষার উপর নির্ভর করেই ধীরে ধীরে মানবসমাজের ব্যাপ্তি ঘটেছে এবং যুগের পরিবর্তনও হয়েছে।
এছাড়া সময়ের সাথে এই ভাষা বিভিন্ন মানব সম্প্রদায়ের কাছেও বিশেষ আবেগে পরিণত হয়েছে।  প্রসঙ্গত সম্প্রদায় ভেদে ভাষাও হয় ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির ফলতো যেকোনো সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষা হয়ে ওঠে, তাদের কাছে বিশেষ প্রাধান্যের বিষয়। যেকোনো দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্রে থাকে তাদের মাতৃভাষা । বাঙালিদের মাতৃভাষা হলো বাংলা এবং এই ভাষার জন্যই ১৯৫২ সালে কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে আত্মত্যাগ করে। যে আত্মত্যাগের  কাহিনী আজও ইতিহাসের পাতায় রয়ে গিয়েছে।
বর্তমানে এই আত্মত্যাগের গাঁথাকে স্মরণ করেই ২১ ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বে উদজ্জাপন করা হয়। নির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ নানান বাংলাভাষী স্থানে ২১ ফেব্রুয়ারী উদজ্জাপিত হয়। এই দিনটি শহীদ দিবস হিসেবেও পরিচিত। ১৯৯৯ সালের ১৭-ই নভেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তের জন্যই এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের তকমা প্রদান করা হয়। বাঙালিদের ভাষা আন্দোলনের মহান গাঁথার নজির হলো এই মাতৃভাষা দিবস। বঙ্গ ভঙ্গের পরে বাংলাদেশে যখন উর্দু ভাষাকে জাতীয় ভাষা করার জন্য প্রস্তাব রাখা হয়, তার প্রতিবাদে কিছু তরুণ আন্দোলনে নামে এবং তাদের উপরে গুলিবর্ষণ করার ফলে সেই আন্দোলনরত অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু ঘটে এবং এর বিরোধিতায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ রাস্তায় নামে। এর পরে শেষ পর্যন্ত বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এই ছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সংক্ষিপ্ত গোড়ার কথা।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস :
       ১৯৪৭ থেকেই সালে পূর্ববঙ্গের মানুষেরা নিজেদের বাংলা ভাষাকে টিকিয়ে রাখার জন্যে আন্দোলন শুরু করে যা এক চরম পরিণতি লাভ করে ১৯৫২ সালে গিয়ে । মানুষের মননের নিজস্ব ভাষা চেতনা থেকেই মূলত এই বিক্ষোবের উৎপত্তি।
১৯৫২ সালের ২১-শে ফেব্রুয়ারী ভাষা আন্দোলনের এক মর্মান্তিক দিন। এই দিনই আন্দোলনকারীদের হয় অকালপতন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র যখন প্রশাসনের ১৪৪ নম্বর ধারা অমান্য করে রাস্তায় নামে তখনই তাদের আন্দোলন থেকে বিরত করতে প্রশাসন প্রেরিত পুলিশেরা গুলি বর্ষণ করে। এর ফলে, আবদুল জব্বার, আবুল বরকত,আবদুস সালাম-এর সাথে প্রভূত পরিমানে ছাত্রবৃন্দ গুলিবিদ্ধ হয়।
পরে এমন নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে সমস্ত ঢাকাবাসী, ঢাকা মেডিকেল কলেজে সমবেত হয় ও ২২ শে ফেব্রুয়ারী ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ একই সাথে একত্রিত হয়ে ,রাজপথে নেমে জোড় গলায় প্রতিবাদের স্লোগান হাঁকায়। নানান ধরণের নির্যাতন সত্ত্বেও তাঁরা পিছুপা হননা, সব কিছু সহ্য করে মেডিকেল কলেজের প্রাঙ্গনেই তাঁরা পরে থাকে মাটি আঁকড়ে। শহীদদের উদ্দেশ্যে স্মরণসভা থেকে শুরু করে ঘটনা স্থলে শহীদদের জন্য স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা সব তাঁরা একা হাতে করেন তবে তাতেও সরকার বাঁধ সাধে। ২৩শে ফেব্রুয়ারী তৈরি করা স্মৃতিস্তম্ভকে ২৬ শে ফেব্রুয়ারী ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় সরকার কর্তৃপক্ষ। এর পরে আন্দোলন আরও বাড়তে থাকে তথা বিক্ষোভ আরও তীব্র হয় এবং ১৯৫৪ সালের ৭-ই মে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৫৬ সালে ২৯শে ফেব্রুয়ারী পাকিস্তানের সংবিধানে পরিবর্তন আসে ও বাংলা কে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় ভাষার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। শেষে ১৯৮৭ সালের ২৬ শে ফেব্রুয়ারি ‘বাংলা ভাষা প্রচলন বিল’ পাশ করা হয় জাতীয় সংসদ কর্তৃক যা কার্যকরী হয়ে ওঠে ১৯৮৭ সালেরই ৮ ই মার্চ থেকে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন :
আজকের দিনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যে পালিত হচ্ছে তার পিছনে এক বৃহৎ ইতিহাস যা উক্ত অংশে আলোচনা করা হয়েছে। নিম্নে এর বিবর্তনের একটি তালিকা পরিবেশন করা হলো –
•বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন – ১৯৫২ সাল
•বাংলাদেশে প্রথম ভাষা দিবস পালন – ১৯৫৫ সাল
•ইউনেস্কর ২১-শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান – ১৯৯৯ সাল
•আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ২১-শে ফেব্রুয়ারীকে পালন – ২০০০ সাল
২১-শে ফেব্রুয়ারী দিনটি শহীদ দিবস হিসেবেও পালিত হয়। বর্তমান সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ২১ তারিখ রাত বারোটার পরে উদযাপন করা শুরু হয়। এই দিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সহ ক্রমান্বয়ে প্রধানমন্ত্রী,মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সকলে শহীদদের উদ্দেশ্যে, শহীদ মিনারে পুষ্প সহযোগে নিজেদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া এই দিনটিতে সরকারি ভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয় সাথে এই দিনে বিভিন্ন ওটিটি প্লাটফর্ম-এ নানান ধরণের প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। সর্বোপরি বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বাংলাদেশের ঢাকায় প্রায় একমাস যাবৎ একুশে-বইমেলা সংগঠিত হতে লক্ষ্য করা যায়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি :
      রকিফুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম নামক দুই প্রবাসী বাঙালি, সর্বপ্রথম প্রাথমিক ভাবে একুশে ফেব্রুয়ারী দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে গোষণা করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে তাঁরা এই আবেদন জানান। এর পরে এই আবেদন,সেক্রেটারি জেনারেলের প্রধান তথ্য কর্মচারী হাসান ফেরদৌস-এর চোখে পরে। এই হাসান ফিরদৌস পরবর্তীতে এই আবেদনকে পরিণতি প্রদানের জন্য , একুশে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিণত করার আরও আবেদন আনার প্রস্তাব রাখেন। আবার তিনি রকিফুল ইসলাম এবং আব্দুস সালামকে সাথে নিয়ে ” মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড ” নামক সংগঠন নির্মাণ করে । এই সংগঠন থেকেই আবারো একই প্রস্তাব সহ একটি চিঠি প্রেরণ করা হয় এর পাশাপাশি এই চিঠির একটি কপি যায় ডেভিড ফাওলারের কাছেও। এর পরে বাংলাদেশ সহ আরও ২৯-টি শহর একই ধরণের প্রস্তাব পাঠাতে একজোট হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ অনুষ্ঠিত ইউনেস্কো আয়োজিত প্যারিস অধিবেশনে উক্ত প্রস্তাবকে পেশ করা হয়। এই প্রস্তাবে বিশ্বের প্রায় ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানায়। শেষে এই প্রস্তাবের ভিত্তিতে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০০০ সালের ২১-শে ফেব্রুয়ারি থেকে  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস জাতিসংঘের সদস্য দেশ গুলিতে যথাযথ ভাবে হয়ে থাকে । ২০১০ সালের ২১শে অক্টোবর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে ঠিক করা হয় যে,২১ শে ফেব্রুয়ারী দিনটি প্রত্যেক বছর পালিত হবে এবং এই সংক্রান্ত বিল পাশ করা হয় জাতিসংঘ থেকে।

■  ভাষা আন্দোলনের ফলে চেতনার উদ্ভব ও জাতীয় জীবনে তার প্রভাব :
মানুষের কাছে নিজস্ব মাতৃভাষার গুরুত্ব যে কতোটা তার জ্বলজ্যান্ত নজির হলো একুশের ভাষা আন্দোলন। মানুষের ভাষা চেতনার উন্মেষের ফলে তারা যে কতোটা দূর যেতে পারে তার বার্তা বহন করে এই একুশের ইতিহাস। যেকোনো অন্যায়কে,যে চুপ করে সহ্য করা কখনই যুক্তি গ্রাহ্য নয় বরং অন্যায়ের প্রতিবাদই যে মোক্ষম এ কথাও ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনা থেকেই উদ্ভুত।
নিজের ভাষাকে রক্ষা করার জন্য এই দিনে যেকয়জন নিজের প্রাণ ত্যাগ করে তাঁরা সত্যের প্রতীক। তাঁরা নিজের আত্মত্যাগের মাধ্যমে সেই সময় মানুষের মধ্যে জাগিয়ে তোলে আত্ম উপলব্ধির খোরাক যা পরবর্তীতে এক ভয়ানক বিক্ষোবের রূপ ধারণ করে ।
ভাষা চেতনার উদ্ভবের ফলে বাংলার মানুষের মধ্যে আসে এক রক্ষণশীল মনোভাবনা যার ফলে তারা নিজ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য রক্ষা করতে সচ্চার হয়ে ওঠে ও বাঙালি সমাজ কালের যাতাকলে পৃষ্ট না হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি লাভ করে। এছাড়া বাঙালি জাতি নিজেদের সৌর্যকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়,এই আত্মউপলব্ধি তথা আত্মচেতনার জন্যই।যে চেতনার ধারক ও বাহক হলো একুশের ভাষা আন্দোলন।
বলাবাহুল্য এই আন্দোলন বাঙালি জাতি জীবনেও নিয়ে আসে মুক্তির আভাস। কিছু মানুষের আত্মত্যাগ সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের আত্মসচেতনতাকে চাগার দিতে সক্ষম। বাংলাদেশের মানুষেরা নিজেদের মৌলিক অধিকারকে পাকিস্তানের কবল থেকে ছাড়িয়ে আনে এই মুক্তির চেতনার উপর নির্ভর করেই যে চেতনার উৎস ২১-শে ফেব্রুয়ারি। সারা বাংলাদেশ নিজস্ব পতাকার উত্তোলনের দিনটিও দেখে এই ২১-এর আনন্দলনের দানেই। এই আন্দোলনের মহিমার প্রভাবেই বাঙালির আত্ম অহংকার প্রভাবিত হয় এবং ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তারা এই অহংকারকেই অঙ্গীকার করে লড়ে যেতে থাকে নিঃসংকোচে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব :
      ২১-শে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের, বিশ্ব ইতিহাসে ঘটে যাওয়া এক লড়াইয়ের কাহিনিকে মনে করিয়ে দেয়। যে লড়াইয়ে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেক বাংলাদেশি মানুষ অংশগ্রহণ করে। এ লড়াই ছিল বিপ্লবী বাঙালিদের ইতিহাস সৃষ্টির লড়াই।
একুশের চেতনা আমাদের বাংলা সাহিত্য জগতেও আলোড়ন আনে। অনেক সাহিত্যিক তাঁদের লেখনীর উপজিব্য করে তোলেন এই একুশের চেতনাকে। আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি নির্বিশেষে সবেতেই, একুশের চেতনার প্রতিফলন যুগের প্রেক্ষিতে দেখা যায়। বাংলা উপন্যাস,কবিতা, নাটক, গল্প এ সবেতেই একুশের চেতনার স্পর্শ মেলে। পূর্বকাল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত একুশে ফেব্রুয়ারীর দিনে নানান ধরণের সাহিত্য সংকলন প্রকাশিত হয় যা একুশের চেতনা সম্মন্ধিয় সাহিত্যসকলের এক স্বতন্ত্র ঘরানা নির্মাণ করে।
এছাড়া প্রত্যেক বছর এই দিনে আয়োজন করা হয় নানান ধরণের উৎসব-অনুষ্ঠান যে অনুষ্ঠান গুলির জন্য সাধারণ ব্যতিমানুষ একুশের চেতনায় বার বারই উদ্বুদ্ধ হয় এবং তাদের মননে আসে নিজের ভাষার প্রতি অমোঘ শ্রদ্ধা। একুশের রক্তে রাঙা সেই ছাত্রবর্গের কথা স্মরণ করলে আজও মানুষের চিবুক ফেটে যায় গভীর বিরহে ও তাদের রক্ত হয়ে ওঠে উষ্ণ। এই দিনের নারকীয়তার কথাকে মনে করলে তাদের মধ্যে আবারো আসে অন্যায়কে দমনের মানসিকতা এরই সাথে তারা মনে মনেই আবারো ধারণ করে বিদ্রোহীর রণমূর্তি। এই কারণেই সেই দিনের ত্যাগের গুরুত্ব আজও রয়ে গিয়েছে। যে গুরুত্ব বহন করে চলেছে,প্রত্যেক বছর ফিরে আসা একুশে ফেব্রুয়ারী দিনটি ।

উপসংহার :
        আজকের দিনে দাঁড়িয়ে পিছনে তাকালে দেখা যাবে কালের স্রোতে অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তবে সময় পেরোলেও মানুষের অন্তরের আবেগ আজও রয়ে গিয়েছে একই। মানুষ বর্তমানে বাঁচলেও , মানুষের মন আজও পূর্বের ইতিহাসের গাঁথাসমূহে আটকে রয়েছে। তারা কখন নিজের ঐতিহ্যকে ভুলে যায়নি।
বলাবাহুল্য সারা বছর যাবৎ পালিত উৎসব-অনুষ্ঠান গুলি মানুষের এই বিস্মৃতিকে আটকানোর ক্ষেত্রেও এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে এসেছে। এই উৎসব-অনুষ্ঠান গুলি উদযাপনের পিছনে থাকা ইতিহাসগুলি বর্তমানেও প্রচার হয়ে চলেছে বিশ্বের কোণে কোণে। ঠিক এমন ভাবেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সাথে জড়িত একুশের চেতনাও ইতিহাসেরই কান্ডারি , আজও মানুষ এই দিনটিকে পালনের মাধ্যমে নিজেদের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও আবেগকে সার্থক ভাবে অটুট রেখেছে।