ছোটগল্পকার প্রেমেন্দ্র মিত্র
চল্লিশ বছর বয়সে প্রেমেন্দ্র মিত্র ‘কেন লিখি’ প্রবন্ধে জানাচ্ছেন –
“লেখাটা শুধু অবসর বিনোদন নয়, মানসিক বিলাস নয়। সামনে ও পেছনের এই দূর্ভেদ্য অন্ধকারে দুর্জ্ঞেয় পণ্যময় জীবনের কথা জীবনের ভাষায় বলার বিরাট বিপুল এক দায়।…আমি লেখার একটি কারণই বুঝি, – বুঝি যে সত্যিকার লেখা শুধু প্রাণের দায়েই লেখা যায় – জীবনের বিরাট বিপুল দায়।”
– এই তাড়না থেকেই তিনি ‘গোটা মানুষের মানে’ খুঁজতে কলম ধরেছেন।
প্রেমেন্দ্র মিত্রের সাহিত্যজীবনে অনুপ্রবেশ ১৯২৩ – ২৪ খ্রিস্টাব্দে ছোটগল্পাকার হিসাবে। সেইসময় বাংলা সাহিত্যে স্বমহিমায় বিরাজিত রবীন্দ্রনাথ , চলিত ভাষাকে আশ্রয় করে ‘সবুজ পত্র’ হাতে আলোড়ন সৃষ্টি করেন প্রমথ চৌধুরী। সাধারণের ঘরের কথাকে আবেগ সান্দ্র করে সাহিত্যের পাতায় স্থান দিচ্ছিলেন শরৎচন্দ্র। অন্যদিকে যুদ্ধ পরবর্তী হতাশা, উদভ্রান্ত রোমান্টিকতা আর নিম্নবর্গীয়দের নিরাবরণ বেদনা নিয়ে ‘কল্লোল গোষ্ঠী’ নিজেদের স্বতন্ত্র পথ প্রস্তুত করছিলেন। এই আবহে ‘অচিন-বুদ্ধ-প্রেমেন’ এই তকমা নিয়ে কল্লোল গোষ্ঠীর ত্রয়ী অগ্রগামী অন্যতম লেখক হিসাবে কলম হাতে আবির্ভূত হলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র।
যদিও প্রেমেন্দ্র মিত্রের প্রথম দুই গল্প বেরিয়েছিল ‘প্রবাসী’তে। মেসবাড়ির মালপত্র ও কাগজ বান্ডিলের মধ্যে আবিস্কার করা হল একটি পোস্টকার্ড – চিঠি – ‘বৌমার আজো জ্বর এসেছে। দেখতে দেখতে দুমাস হয়ে গেল।’ চিঠি পড়ে কী মনে হল, সেই রাতেই গল্প লিখে পাঠিয়ে দিলেন ‘প্রবাসী’র ঠিকানায়। ‘প্রবাসী’ নামজাদা লেখক ছাড়া গল্প নেয় না। আশা – নিরাশার ধুকপুকানি, হঠাৎই এক বন্ধু খবর দিলেন –
“এ মাসের প্রবাসীতে প্রকাশিত একটা গল্পের লেখকের নাম হুবহু তোমার যা তাই-ই”।
‘প্রবাসী’তে পরপর দু’মাসে দুই গল্প – ‘শুধু কেরাণী’ আর ‘গোপনচারিনী’। এরপর বন্ধু অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত জানালেন ‘কল্লোল’ নামে সাহিত্যপত্রিকায় ‘শুধু কেরাণী’ গল্প নিয়ে বারো পাতার প্রশংসাপত্র বেরিয়েছে, ‘গোপনচারিনী’ নিয়ে চার পাতা। এই পত্রিকার বয়স দুই অথচ সেখানে চাঁদের হাট। ক্রমে আলাপ হল ‘কল্লোল’ পত্রিকার দুই সম্পাদক, শৈলজানন্দ, কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখের সঙ্গে। জানা গেল, প্রেমেন শুধু গল্প নয় কবিতাতেও হাত পাকা। সেই শুরু হয়ে গেল পথচলা। ‘কল্লোল’ -এ প্রকাশিত প্রথম গল্প ‘সংক্রান্তি’ ১৩৩১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ সংখ্যায়।
প্রেমেন্দ্র মিত্রের সাহিত্য ভান্ডারে ভরা আছে ২০ টি কাব্যগ্রন্থ , ৫৪টি উপন্যাস, ৬২টি কিশোর কথাসাহিত্য, ১৭টি গোয়েন্দা উপন্যাস, ৭টি নাটক, ৬টি অনুবাদ গ্রন্থ, এবং ২৮টি গল্পগ্রন্থ ইত্যাদি। প্রেমেন্দ্র মিত্রের ২৮টি গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –
বেনামী বন্দর (১৯৩০), পুতুল ও প্রতিমা (১৯৩২), মৃত্তিকা (১৯৩৫), অফুরন্ত (১৯৩৬), মহানগর (১৯৩৭) , নিশীথ নগরী (১৯৩৮) , ধূলিধূসর (১৯৩৮), কুড়িয়ে ছড়িয়ে (১৯৫৪০), সামনে চড়াই (১৯৪৭), সপ্তপদী (১৯৫৫) ইত্যাদি।
গল্পকার প্রেমেন্দ্র মিত্রের গল্পের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ঠ্যগুলি হল –
বাংলা সাহিত্যক্ষেত্রে আবির্ভাব কালে প্রেমেন্দ্র মিত্র এবং যুবনাশ্ব লক্ষ্য ছিল প্রায় একই, যুবনাশ্ব ‘পটলডাঙ্গার পাঁচালি’তে যাদের কথা বলেছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র বলেছিলেন ‘ফুটপাথে’ নাটকে। শহর জীবনের একেবারে নিচের অন্ধকারাচ্ছন্ন অভিশপ্ত মানুষদের কথা – এদের নিয়ে ‘ফুটপাথে’ লেখার পর লিখেছিলেন ‘পাঁক’ উপন্যাসও। ‘পাঁক’ উপন্যাসটি শ্রী মিত্রের সাহিত্যিক প্রতিষ্ঠার পর প্রকাশিত হলেও ‘ফুটপাথে’ নাটকটি এখনো গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি। এবং একসময় সদর্পে ‘আমি কবি যত ইতরের’ ঘোষণা করেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন তাদের থেকে।
প্রেমেন্দ্র মিত্র উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন সমাজে মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রাধান্য এবং এই সারস্বত সমাজ প্রসন্ন দৃষ্টিতে নিম্নবিত্ত শ্রেণির প্রতি আগ্রহী নয়। এছাড়া যে সত্য তিনি সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে হৃদয়ঙ্গম করেছিলেন তা হল – একজন শিল্পীর পক্ষে প্রধান হল সেই সমাজের চিত্রকর হওয়া যার সঙ্গে কেবল সহানুভূতির সম্পর্ক নয়, সমানুভূতিরও সম্পর্ক। এবং প্রেমেন্দ্র মিত্র হয়ে উঠলেন বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণির নিপুণ চিত্রকর ও ভাষ্যকার।
তবে এ কথাও উল্লেখ্য যে একসময় তিনি আবেগের বশে ইতরের কবি হওয়া ঘোষণা করলেও প্রথম থেকেই তার কঠিন ও প্রশস্ত জীবনবোধের ওপর সাহিত্য সৌধ গড়ে তোলার প্রয়াস লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তবে প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্পে অনুপস্থিত থেকে গেছে উচ্চবিত্ত শ্রেণি, তাৎপর্যহীন ভেবে অগ্রাহ্য করেছেন তাদের। আর মধ্যবিত্ত সমাজের সাধ ও সাধ্যের দ্বন্দ্বই হয়ে উঠেছে তাঁর গল্পের উপজীব্য বিষয় –
● মধ্যবিত্ত সমাজের একটা বিরাট অংশ সামাজিক মর্যাদাচ্যুত, অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে ভুলন্ঠিত। স্বচ্ছন্দে নয়, প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নিরন্তর টিকে থাকাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। সামন্ততন্ত্রের বিলোপে ধনতান্ত্রিক পৃথিবীতে সার্বিক সংকটের প্রসব মূল্যবোধের বিপর্যয়। ব্যর্থতা হতাশা গ্লানিতে অবশ মধ্যবিত্তের মন, তাদের নির্মম বাস্তব উঠে এসেছে প্রেমেন্দ্র মিত্রের হয়তো, পুন্নাম, চুরি ইত্যাদি গল্পে। বিংশ শতকের প্রতিনিধি হয়ে ‘একরাত্রি’ গল্পে বলছেন –
“এ যুগে আমরা সবাই অল্পবিস্তর অভিশপ্ত, পতিত। আমাদের আকাশ শূন্য হয়ে গেছে, পৃথিবী যান্ত্রিক প্রাত্যহিকতায় কঠিন।”
‘শুধু কেরাণী’ গল্পে প্রেমেন্দ্র মিত্র দেখিয়েছেন দারিদ্র্যক্লিষ্ট মানুষের জীবন পাখির বাসার মতোই পলকা, সেখানে অনাড়ম্বর, গভীর হৃদয়াবেগের সুতো দিয়ে ঘর বাঁধা হলেও দারিদ্র্য অভাব ইত্যাদি কালবৈশাখির উন্মত্ততায় সব ফুরিয়ে যায়, সে ঘর টেকে না। বিশ্বযুদ্ধোত্তর পরিবেশে ভালোবাসার গভীরতা নয়, টাকা পয়সাই নির্মম বাস্তব। অর্থাভাবে স্ত্রীর চিকিৎসা করতে না পারায় স্বামীর মনের নিদারুণ রক্তক্ষরণ স্ত্রীর স্তিমিত করুণ হাসিতে প্রকাশ করেছেন প্রেমেন্দ্র মিত্র –
“একটা হাসি আছে – কান্নার চেয়েও নিদারুণ – কান্নার চেয়ে যেন বেশি হৃৎপিন্ড নেংড়ানো।”
● পৃথিবীর যেদিকটা আলোকিত সেদিকটা যেমন সত্য, অপরদিকের অন্ধকারাচ্ছন্ন দিকটাও সমানসত্য। সমাজের ক্ষেত্রেও সে কথা একইভাবে প্রযোজ্য। তাই সেই অনালোকিত সমাজের দিকটাও নিপুণ চিত্রকরের মতো ফুটিয়ে তুলেছেন। রহস্যের অথবা উপেক্ষার আড়ালে থাকা সেইসব মানুষগুলো তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, হতাশা, ব্যর্থতা গ্লানি নিয়ে উপস্থিত হয়েছে প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখনীতে। ‘একটি রাত্রি’, ‘সংসার সীমান্তে’ কিংবা ‘পয়লা চোরের কেচ্ছা’ তারই নিদর্শন।
‘সংসার সীমান্তে’ গল্পটি এমন দুই নারী পুরুষের গল্প যারা প্রকৃত অর্থে সংসার সীমানার বাইরে বসবাসকারী অতি নগন্য মানুষ – অঘোর দাস একজন চোর, আর রজনী বিগতযৌবনা রূপহীনা পতিতা। এই নরনারীর মধ্যেও যে মধুর প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক হতে পারে তা তথাকথিত ভদ্র সম্প্রদায়ের ভাবনার বাইরে। সন্দেহ নেই বাংলা সাহিত্যে এমন প্রেম বিরল, আর প্রেমেন্দ্র মিত্র বসলেন সেই রূপকথার গল্প লিখতে। গল্পে পলাতক আসামি অঘোর বর্ষাক্লান্ত গভীর রাতে চুরি করতে গিয়ে পালিয়ে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছে রজনীর ঘরে। আবার ভোরে সকলের অলক্ষে পালিয়ে গিয়েও দুপুরে আবার এসেছে। কলঙ্কিত ইতিহাসে রূপকথার গল্প বুনেছে সেবা – মন কষাকষি – শাসন কিংবা ‘আজ একটু অম্বল রাঁধতে পারিস’ এর মতো আবদারে। এরপর সেই রূপকথার গল্প ঘর বাঁধার প্রস্তুতি নিয়েছে। আর ঠিক তখনই আছড়ে পড়েছে বাস্তবের মাটিতে। রজনীর ধার শোধার জন্য প্রয়োজনীয় কুড়ি টাকা জোগাড়ে শেষ চুরি করতে গিয়ে অঘোরের পাঁচ বছরের জেল আর রজনীর ডিবার নিবো নিবো আলো হাতে প্রতীক্ষা – নির্মম বাস্তবের শাশ্বত ছবি, এ ছবি স্বপ্ন দেখা ও স্বপ্নভঙ্গের ইতিকথা – এর মধ্যে দিয়েই বলে ‘সংসার সীমান্তে’ থাকা মানুষের জীবন।
● প্রেমেন্দ্র মিত্রের গল্পগুলি যেমন আমাদের মানুষ সম্পর্কে অভিজ্ঞতাকে প্রশস্ত করে তেমনি চরিত্রের নানা দিকগুলিকে পূজ্য অথবা ঘৃণ্য নয়, হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করতে শেখায়। ‘গোটা মানুষের মানে চাই’ এই দাবি নিয়ে তিনি আলো ফেলেন মধ্যবিত্তের চেতনে অবচেতনে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি দিয়ে মনের ভেতরকার সমস্ত বোধগুলির চরিত্র নিয়ে পরীক্ষা করেন। তাই তাঁর অধিকাংশ গল্পেই পাঠকের মানুষের সম্পর্কে প্রাথমিক অভিজ্ঞতার সঙ্গে অন্তিম অভিজ্ঞতার অসঙ্গতি চোখে পড়ে। চোখের সামনে যা আছে তা নয় মানুষের জীবনের ও মনের অনালোকিত অধ্যায়কে মূল্যায়ন করাই তাঁর কলমের মুন্সিয়ানা। ‘সাগর সংগম’এর দ্রাক্ষায়ণী, ‘স্টোভ’এর বাসন্তী কিংবা ‘অনাবশ্যক’এর স্বর্ণময়ী এই গোত্রেরই অন্তর্ভূক্ত।
সংস্কার ও মানবতার দ্বন্দ্ব ‘সাগরসংগমে’ গল্পের উপজীব্য বিষয়। রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারের কূলবিধবা দাক্ষায়ণীর নিঃসঙ্গ জীবনে বেঁচে থাকার একমাত্র আশ্রয় ছিল আচার ধর্মকেন্দ্রিক কঠোর নিয়মনিষ্ঠা। এ হেন দাক্ষায়ণীর গঙ্গাযাত্রা পথে সঙ্গী হয় পতিতা মেয়ে বাতাসী। তারপর পরিবেশ ও পরিস্থিতির চাপে জন্মগত সংস্কারের আবরণ খসে সুপ্ত মাতৃত্ব বোধ প্রকাশ পায়। গঞ্জের চালাঘরে মেয়েটিকে কোলের কাছে শুইয়ে মাতৃত্বের ওম অনুভব করে। কিন্তু গল্পের শেষে বাতাসি মারা যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বাতাসীর পরিচয় হয় দাক্ষায়ণীর মেয়ে। জীর্ণ সংস্কার হেরে যায় মানবতা সর্বোপরি মাতৃত্বের কাছে। নিরন্তর গোটা মানুষের মানে খুঁজে পাওয়া প্রেমেন্দ্র মিত্রের কাছে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি দাক্ষায়ণী।
● শেষ মুহূর্তে তাক লাগিয়ে চমক সৃষ্টি করার কৌশল তিনি পছন্দ করতেন না। পেঁয়াজের খোসার মতো কুহকের অন্ধকার থেকে তাঁর বক্তব্যকে উন্মোচন করতেন তিনি। এজন্য তাঁর অধিকাংশ গল্পের শুরু সন্ধ্যা বা রাত্রিবেলা – এই সেই জীবনের প্রকৃতস্বরূপ যা কুহকভরা, ক্রমে ক্রমে তা উন্মোচিত হবে। তাই শ্রী মিত্রের গল্পে চমক থাকলেও আকস্মিকতা নেই।
মূলত পরিসমাপ্তির অনেক আগেই অধিকাংশ সময়ের পাঠকের অজ্ঞাতেই প্রেমেন্দ্র মিত্র শুরু করেন অন্তিম চমকের জন্য সযত্ন প্রস্তুতি। শুরু তে বোঝা না গেলেও গল্পের শেষে চমকের আঘাতে সচেতন হয়ে পেছন ফিরে তাকাতে হয়। এক্ষেত্রে তাঁর ‘কুয়াশায়’ , ‘বিকৃত ক্ষুধার ফাঁদে’ গল্পগুলি শ্রেষ্ঠ নিদর্শন।
সবশেষে বলা যায়, ছোটগল্প খন্ডের মধ্যে অখন্ডকে সংবৃত রাখে, বিন্দুর মধ্যে সিন্ধুর স্বাদকে সঞ্চিত করে, প্রতীকের মধ্যে বহন করে প্রকৃতিকে। তেমনি প্রেমেন্দ্র মিত্র ও তাঁর গল্পের ক্ষেত্রকে সীমাবদ্ধ করেছিলেন মধ্যবিত্ত পরিসরে। তাঁর পদচারণার ক্ষেত্র প্রসঙ্গে তার অনুধাবনা সর্বদা আন্তরিক ও যথার্থ। সমালোচক সুরজিৎ দাশগুপ্ত এ প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন – একটি ক্ষুদ্র ক্ষেত্রের মধ্যেও কত উপসর্গ, কত কৌণিকতা কত প্রান্তিকতা, কত সুরভেদ, কত কুটিল স্রোত ও জটিল সুড়ঙ্গ কত উদাত্ত আকাঙ্ক্ষার মধ্যে কত গোপন অলিগলি থাকতে পারে বা আছে প্রেমেন্দ্র মিত্র তার পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপ অন্বেষণ ও বিশ্লেষণ করে তাঁর সার্বিক মনোভঙ্গির পরিচয় পাঠকের সামনে উপস্থাপন করেছেন।
◆ ঋণস্বীকার :
প্রেমেন্দ্র মিত্রের শ্রেষ্ঠ গল্প, দে’জ পাবলিশার্স
প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্প – সুরজিৎ দাশগুপ্ত, সৃষ্টিমুখ পত্রিকা