সংবর্ত
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
এখনও বৃষ্টির দিনে মনে পড়ে তাকে।
প্রাদেশিক শ্যামলিমা যেই পাংশু সাধারণ্যে ঢাকে,
অমনই সে আসে,
রেখারিক্ত ভাবচ্ছবি, অবিচ্ছিন্ন স্মৃতির উদ্ভাসে
লাক্ষণিক, – নেত্রসার, কপোলপ্রধান
প্রাকপ্রচ্ছদ নটী যেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘোচে ব্যবধান
দৃশ্য ও দ্রষ্টার মধ্যে : ভুলে যাই
উত্তরচল্লিশ আমি ; উদগ্রীব হয়েও যদি চাই,
তবু গলকম্বলের থর
মুকুরের অধিকাংশ জোড়ে ; নতোদর
লুকায় পায়ের ডগা অধোমুখে ক্কচিৎ তাকালে ;
স্থানবিনিময় করে চাঁদিলে কপালে,
চুলের প্রলেপ ওড়ে নামমাত্র বাতাসে যখন।
বীমাই জীবন
বুঝি বটে, কিন্তু ঠিক মাসে মাসে কিস্তির যোগান
দিতে গিয়ে বাজারখরচে পড়ে টান।
অথচ ডাক্তার বলে তন্তুক্ষয়
এ-বয়সে নিতান্ত নিশ্চয় ;
পুষ্টিকর পথ্য বিনা অতএব গত্যন্তর নেই ;
এবং যেকালে আজও রয়েছি বেঁচেই,
তখন কী করে মরি, মৌরসের উচ্ছেদ না হোক,
অন্তত চৌধুরীদের ভদ্রাসনক্রোক
স্বচক্ষে না দেখে :
তাতে যদি দুলালেরা নম্রতা বা কান্ডজ্ঞান শেখে।।
বৃষ্টির বিবিক্ত দিনে ভুলি সে সকলই ;
এ বাড়ির অনুমিত গলি
মনে হয় অগ্রণীর পদপ্রার্থী পথ
যার প্রান্তে মুদ্রিত জগৎ
স্ফূর্তির প্রতীক্ষা করে।
তখন থাকে না মনে – দিগন্তরে
উচ্ছিষ্ট উঞ্ছের বাটোয়ারা,
হিংসার প্রমারা,
স্থগিত মারীর বীজ শস্যশূন্য মাঠে ;
চড়ে বসে নিহত বা নির্বাসিত স্বৈরীদের পাটে
প্রতিদ্বন্দ্বী সর্বেসর্বা যত ; নিরর্থক
পুষার একর্ষি নাম, অসূর্যের পুরাণ ঝলক,
হিরণ্ময় পাত্র ঠেলে ফেলে,
দেয় মেলে
অন্ধতম অতিপ্রজ বল্মীকে বল্মীকে ;
বিমানের ব্যূহ চতুর্দিকে,
মাতরিশ্বা পরিভূ কবির কন্ঠশ্বাস।
মূল্যহ্রাস
সর্বত্র সর্বথা
আবশ্যিক, – বোঝে না সে-সোজা কথা
শুধু যার ভূসম্পত্তি আছে ;
উদয়াস্ত ভেবে মরি, – খেয়ে, পরে, নেহাৎ যা বাঁচে,
নির্ভয়ে তা খাটাতে পারি না।
অথচ প্রত্যহ শুনি চার্চিলের স্বেচ্ছাচার বিনা
অসাধ্য সাম্রাজ্যরক্ষা, অব্যর্থ প্রলয়,
এবং যে ব্যক্তিস্বত্ত্ব সভ্যতার সম্মত আশ্রয়,
তারও অব্যাহতি নেই অপঘাত থেকে :
একা হিটলারের নিন্দা সাধে আজ বাধে কি বিবেকে ?
কিন্তু তার দিব্য আবির্ভাবে
প্রেতার্ত অভাবে
জাগে যেন প্রজ্ঞাপারমিতার অভয় ;
ক্লেদ – মেদ – খেদের আলয় –
জঘন্য জান্তব দেহে দেশ-কাল সংকলিত মল
সংসক্ত থাকে না আর ; তন্মাত্রাসম্বল
হয় তনু আচম্বিতে।
নির্বিকার স্বপ্নের নিভৃতে,
বিয়োগান্ত নাটকের উদ্যোগী নায়ক, আমি পাতি
যৌবরাজ্য, – ব্যোমযান, কামান, পদাতি
যে-রাষ্ট্রের অঙ্গ নয় ; ন্যায়, ক্ষমা, মিতালি, মনীষা
যার মুখ্য অবলম্ব, জিজীবিষা
সামান্য লক্ষণ ;
শ্বাপদসংকুল নয় যেখানে কানন,
দুরাক্রম্য নয় গিরিচূড়া,
পরিস্রুতসুরা
নিদাঘের অফুরন্ত দিন,
সুবর্ণধারার শষ্পশ্যামল পুলিন
উৎপিঞ্জর তারুণ্যের লাস্যময় লীলায় মুখর,
গন্ধবহসম্মার্জিত স্বরাট অম্বর
দেয় ফিরে
অবরোহী সন্ধ্যার শিশিরে
অনুপূর্ব মানুষের অভ্যুদিত চিত্তের প্রসাদ ;
জয়যুক্ত স্ট্রেসেমান্ – ব্রিয়াঁর সংবাদ।।
হয়তো তখনই
উপশয়ী সংবর্তের আড়ালে অশনি
লেলিহান করবালে ধার দিতে শুরু করেছিল।
প্রবাদের ধুয়ো ধরেছিল
তৎপূর্বে অন্তত
মুসোলীনি যুদ্ধগামী বর্বরের মতো ;
এবং উদ্বাস্তু ট্রটস্কি ইতিমধ্যে দেশে দেশান্তরে
ঘুরে মরেছিল, পুরাকালীন শহরে
গলঘন্ট কুষ্ঠরোগী, যত দ্বার সব বন্ধ দেখে,
যেমন নির্জনে যেত ভিক্ষাব্যতিরেকে।
কিন্তু তার
বভ্রু কেশে অস্তগত সবিতার উত্তরাধিকার,
সংহত শরীরে
দ্রাক্ষার সিতাংশু কান্তি, নীলাঞ্জন চোখের গভীরে
তাচ্ছিল্যের দামিনীবিলাস ;
গ্যেটে, হ্যেল্ডার্লিন, রিল্কে টমাস্ মানের উপন্যাস
দেওয়ালের খোপে খোপে, বাখের সনাটা
ক্লাভিয়েরে, শতায়ু ওকের পাটা
তেজস্ক্রিয় উৎকোণ পটলে ;
বায়ব্য অঞ্চলে
রক্ষিত মঙ্গলদ্বীপ, অনাদি নগরী,
মালা জপে, কাটায় শর্বরী
স্বপ্নাবিষ্ট সভ্যতার নিশ্চিন্ত শিয়রে –
লেগেছিল হাস্যকর স্বভাবত সে সবের পরে
কূটাগার থেকে দেখা স্বস্তিকলাঞ্ছন
বালখিল্য নাটসীদের সমস্বর নামসংকীর্তন
মশালের ধূমার্ত আলোকে :
বরঞ্চ বৃষ্টির দিনে স্তব্ধশোকে
নির্বাক বিদায়
স্মরণীয় স্বস্থ মর্যাদায় ।।
অবশ্য বুঝেছি আজ এ সিদ্ধান্ত নিতান্তই মেকী ;
কারণ অন্বয়ব্যতিরেকী
সত্য-মিথ্যা, ভালো-মন্দ, সুন্দর-কুৎসিত,
এবং সে নিত্যবিপরীত
দ্বন্দ্বসমাসের সঙ্গে তুলনীয় মেরুবিপর্যয়
বিকল্পস্বভাব ক্ষেত্রে। নিঃসংশয়
উপরন্তু এও
বিশ্বামিত্র দস্যুরাই ব্যক্তিনামধেয়
যদিচ প্রাজ্ঞের মতে, তবু ব্যক্তিনামধেয়
যদিচ প্রাজ্ঞের মতে, তবু ব্যষ্টিসংকল্পের ঝোঁকে
প্রাগুক্ত দোলকে
কখনও বিলম্ব বটে, কদাচিৎ দ্রুতি।
তবে কেন ভোলে প্রতিশ্রুতি ?
বারোটা উত্তীর্ণ, কিন্তু টেলিফোন করে কই লীলা ?
অথচ রঙ্গিলা
নয় সে দীপ্তির মতো ; অন্তত সে জানে
সমাজের ঘুম নেই, শ্রুতি আছে দেওয়ালের কানে ;
গোপন সুযোগ
নিতান্ত দুর্লভ তাই, উপভোগ
পরিণামচিন্তায় ব্যাহত।
তাহলে কি অসময়ে ফিরেছে প্রমথ
নিন্দুকের প্রেরণায় ? এত দিনে সফল নতুবা
সে বাচাল যুবা
যার পেশা কৃতীর সম্ভ্রমহানি ?
ইচ্ছায় সামর্থ্য নেই মানি ;
তথাপি টাকার আজ্ঞা প্রলয়েও লঙ্ঘনীয় নয় :
বন্ধকীর নিলামে বিক্রয়
মারোয়াড়ীদের গ্রাসে তুলে দেয় বাঙালীর দায়।
সুতরাং যে মাঝারীবয়সীকে চায়,
সে নিশ্চয় প্রকৃতিভিখারী,
নচেৎ বিকারী।।
বৃথা স্বপ্ন ; সংকল্প অক্ষম ;
মতিভ্রম
বৃষ্টির বিবিক্ত দিনে অসংলগ্ন স্মৃতির সংগ্রহে
কিংবা শুধু মৌখিক বিদ্রোহে
নিঃসঙ্গ জরার আর্তি ভোলার প্রয়াস।
কিন্তু মানবেতিহাসে মাঝে মাঝে আসে মলমাস,
কর্মচ্যুত পৃথিবী যখন
উন্মার্গ ঘুমের ঘোরে, নাক্ষত্রিক সহযাত্রিগণ,
সে অপচারীকে ভুলে, ছোটে লোকাতীতে ;
নির্বাণ নিশীথে
কারারুদ্ধ আয়ুর মিয়াদ,
রোমান্থ বিস্বাদ,
বিষায়িত ভবিষ্যের ধ্যান,
অভিজ্ঞান
শকুন্তের স্পর্শকলুষিত।
প্রমাবিরহিত
অন্ধ বিশ্বাসের বশে তখন মানুষ খোঁজে ফের
অশক্ত বা অসম্পৃক্ত অধিদৈবতের
পুরাতন পদপ্রান্তে সংগতি বা পৈতৃক অমিয়,
কার্যত যদিও
ঐকান্তিক শূন্য তাকে করে বিশ্বম্ভর ;
কারণ তখন বায়ু না অনিলে মেশে না, অবস্কর
ভস্মান্ত হয় না, অনুব্যবসায়ী ক্রতু
বোঝে সন্তাপেও ব্যাপ্ত ব্রহ্মান্ডের বীতাগ্নি বেপথু।
অন্তর্হিত আজ অন্তর্যামী :
রুষের রহসে লুপ্ত লেনিনের মামি,
হাতুড়িনিষ্পিষ্ট ট্রটস্কি, হিটলারের সুহৃদ স্টালিন,
মৃত স্পেন, ম্রিয়মান চীন,
কবন্ধ ফরাসীদেশ। সে এখনও বেঁচে আছে কি না,
তা সুদ্ধ জানি না।।
■ প্রশ্নোত্তর আলোচনা –
১) সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ‘সংবর্ত’ কবিতায় ‘সংবর্ত’ কথার অর্থ কী ?
মহাপ্রলয়
২) ‘সংবর্ত’ কবিতায় সংবর্ত কথাটি কতবার আছে ?
১ বার
৩) ‘সংবর্ত’ কবিতায় সংবর্ত কথাটি কবিতার কোন স্তবকে আছে ?
চতুর্থ
৪) ‘সংবর্ত’ কবিতায় স্তবক সংখ্যা কয়টি ?
৬টি
৫) ‘সংবর্ত’ কবিতায় মোট চরণ সংখ্যা কত?
১৬৬ (২৪+২৮+২৪+৩০+৩০+৩০)
৬) ‘সংবর্ত’ কবিতায় তৃতীয় স্তবকে ক’টি চরণ ?
২৪টি
৭) সংবর্ত’ কবিতায় কোন কোন স্তবকে ত্রিশটি করে চরণ আছে ?
চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্তবকে
৮) ‘সংবর্ত’ কবিতার প্রথম লাইন কী ?
এখনও বৃষ্টির দিনে মনে পড়ে তাকে
৯) ‘সংবর্ত’ কবিতার শেষ লাইন কী ?
তা সুদ্ধ জানি না
১০) ‘বৃষ্টির দিনে’ কথাটি ‘সংবর্ত’ কবিতায় কতবার আছে ?
২ বার (১ম স্তবক ও ৪র্থ স্তবক)
১১) ‘বৃষ্টির বিবিক্ত দিনে’ কথাটি সংবর্ত কবিতায় কতবার আছে ?
২ বার (২য় ও ৬ঠ স্তবকে)
১২) ‘বৃষ্টির বিবিক্ত দিনে’ – ‘সংবর্ত’ কবিতায় বিবিক্ত কথার অর্থ কী ?
নিভৃতে
১৩) ‘এখনও বৃষ্টির দিনে মনে পড়ে তাকে’ – কাকে ?
লীলাকে
১৪) ‘চুলের প্রলেপ ওড়ে নামমাত্র বাতাসে যখন’ – ‘সংবর্ত’ কবিতায় কার সম্বন্ধে বলা হয়েছে ?
কথকের সম্বন্ধে
১৫) ‘এ বয়সে নিতান্ত নিশ্চয়’ – কী ?
তন্তুক্ষয়
১৬) ‘ভুলে যাই _ আমি’ – কী ?
উত্তর চল্লিশ
১৭) ‘সঙ্গে সঙ্গে ঘোচে ব্যবধান’ – ‘সংবর্ত’ কবিতায় কীসের মধ্যে ব্যবধান ঘোচে ?
দৃশ্য ও দ্রষ্টার মধ্যে
১৮) ‘স্থান বিনিময় করে _’ – ‘সংবর্ত’ কবিতায় কারা স্থান বিনিময় করে ?
চাঁদিতে কপালে
১৯) ‘সংবর্ত’ কবিতায় অধোমুখে ক্কচিৎ তাকালে নতোদর কী লুকায় ?
পায়ের ডগা
২০) ‘এ বয়সে নিতান্ত নিশ্চয়’ কী ?
তন্তুক্ষয়
২১) “_ বিনা অতএব গত্যন্তর নেই” – কী বিনা ?
পুষ্টিকর পথ্য বিনা
২২) ‘মনে হয় অগ্রনীর পদপ্রার্থী পথ’ – কাকে মনে হয় ?
এ বাড়ির অনুমিত গলিকে
২৩) ‘স্থগিত _ বীজ শস্যশূন্য মাঠে’ – ‘সংবর্ত’ কবিতা অনুযায়ী পূরণ করো
মারীর
২৪) ‘সংবর্ত’ কবিতায় ‘সবত্র সর্বথা আবশ্যিক’ কী ?
মূল্যহ্রাস
২৫) ‘সংবর্ত’ কবিতায় ‘একর্ষি’ কথার অর্থ কী ?
একাকী গমনশীল
২৬) ‘সংবর্ত’ কবিতায় ‘মাতরিশ্বা’ কথার অর্থ কী ?
বৈদিক মতে বায়ু
২৭) ‘সংবর্ত’ কবিতায় ‘অন্ধতম অতিপ্রজ..’ – অতিপ্রজ কথার অর্থ কী ?
উৎপাদনশীল
২৮) ‘সংবর্ত’ কবিতায় কী বিনা অসাধ্য সাম্রাজ্যরক্ষা ?
চার্চিলের স্বেচ্ছাচার বিনা
২৯) হিটলারের প্রসঙ্গ ‘সংবর্ত’ কবিতায় কোন স্তবকে আছে ?
দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ স্তবকে
৩০) ‘সংবর্ত’ কবিতায় প্রেয়সীর দিব্য আবির্ভাবে মনে কীসের অভয় জাগে ?
প্রজ্ঞাপারমিতার
৩১) ‘সংবর্ত’ কবিতায় কথকের পাতা যৌবরাজ্যের মুখ্য অবলম্বগুলি ক্রমানুসারে সাজাও।
ন্যায় – ক্ষমা – মিতালি – মনীষা
৩২) ‘সংবর্ত’ কবিতায় কথকের পাতা যৌবরাজ্যের অঙ্গ কী কী নয় বলে উল্লেখ আছে ক্রমানুসারে লেখ।
ব্যোমযান – কামান – পদাতি
৩৩) ‘সংবর্ত’ কবিতায় কথকের পাতা যৌবরাজ্যের মুখ্য অবলম্ব কী ?
জিজীবিষা
৩৪) ‘সংবর্ত’ কবিতায় উল্লেখিত ‘জিজীবিষা’ কথার অর্থ কী ?
বাঁচার ইচ্ছে
৩৫) ‘সংবর্ত’ কবিতায় ‘অনুপূর্ব মানুষের অভ্যুদিত চিত্তের প্রসাদ’ কী ?
জয়যুক্ত স্ট্রেসেমান ব্রিয়াঁর সংবাদ
৩৬) ‘সংবর্ত’ কবিতায় ‘জয়যুক্ত স্ট্রেসেমান ব্রিয়াঁর সংবাদ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?
১৯২৬ সালে গুস্তাভ স্ট্রেসেমান এবং আরিস্তিদ ব্রিয়াঁ শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন। এখানে শাস্তির বিজয় ঘোষণা অর্থে সংবর্ত কবিতায় উল্লেখ করা হয়েছে।
৩৭) ‘সংবর্ত’ কবিতায় কে দেশ দেশান্তরে ঘুরে মরেছিল ?
উদ্বাস্তু ট্রটস্কি
৩৮) ‘সংবর্ত’ কবিতায় বাখের সনাটা কোথায় বলে উল্লেখ আছে ?
ক্লাভিয়েরে
৩৯) ‘সংবর্ত’ কবিতার কোন স্তবকে টমাস মানের উপন্যাসের প্রসঙ্গ আছে ?
চতুর্থ স্তবকে
৪০) ‘সংবর্ত’ কবিতায় ‘কূটাগার থেকে দেখা স্বস্তিকলাঞ্ছন’ কে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ?
বালখিল্য নাটসীদের সমস্বর নামসংকীর্তন
৪১) ‘সংবর্ত’ কবিতায় ‘দ্বন্দ্বসমাসের সঙ্গে তুলনীয় কী ?
মেরুবিপর্যয়
৪২) ‘সংবর্ত’ কবিতায় দ্বন্দ্বসমাসের সঙ্গে মেরুবিপর্যয় তুলনীয় কোন ক্ষেত্রে ?
বিকল্পস্বভাব ক্ষেত্রে
৪৩) ‘_ উত্তীর্ণ, কিন্তু টেলিফোন করে কই লীলা ?’
বারোটা
৪৪) “তাহলে কি অসময়ে ফিরেছে _ / নিন্দুকের প্রেরণায় ?”
প্রমথ
৪৫) ‘সংবর্ত’ কবিতায় কটি দ্বিরুক্ত শব্দের উল্লেখ আছে ?
৫টি, (সঙ্গে সঙ্গে, মাসে মাসে, বল্মীকে বল্মীকে, খোপে খোপে, মাঝে মাঝে)
৪৬) ‘সংবর্ত’ কবিতার কোন স্তবকে বিশ্বামিত্র প্রসঙ্গ আছে ?
৫ম স্তবকে
৪৭) “অথচ প্রত্যহ শুনি চার্চিলের স্বেচ্ছাচার বিনা/অসাধ্য সাম্রাজ্যরক্ষা” – “সংবর্ত” কবিতার কোন স্তবক থেকে পঙক্তিটি গৃহীত হয়েছে ?
দ্বিতীয় স্তবক
৪৮) “সংবর্ত” কবিতাটি কাব্যগ্রন্থের কততম কবিতা ?
৯ সংখ্যক
৪৯) “সংবর্ত” কাব্যগ্রন্থটি কাকে উৎসর্গ করা হয় ?
আবু সয়ীদ আইয়ুবকে
৫০) “সংবর্ত” কবিতাটির রচনাকাল উল্লেখ করো।
৬ই সেপ্টেম্বর, ১৯৪০খ্রি: