প্রসঙ্গ ওয়েব সিরিজ : বিনোদনের মুকুটে নতুন পালক না সিনেমার পথের কাঁটা
কলমে : ধৃতি সিনহা
নির্বাক থেকে সবাক, সাদা-কালো থেকে রঙিন – রূপালি পর্দার এই ধারাবাহিক পরিবর্তনের পথিকৃৎ লুমিয়্যের ব্রাদার্সের নাম কে না জানে! The Arrival of a Train At The Station নামের বিশ্বের প্রথম চলচ্চিত্র দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তা আজ ও চলছে ! চলচ্চিত্রের নামটাও তাৎপর্যপূর্ণ। সত্যিই Arrival of a Train – যা হয়তো যাত্রীদের পৌঁছে দিতে চেয়েছিল বিনোদনের নতুন এক রাজ্যে।শুরুটা ফরাসীদের হাতে হলেও ভারতে বিশেষত হিন্দি ছায়াছবির শ্রীবৃদ্ধিতে দাদাসাহেব ফালকের (ধুন্দিরাম গোবিন্দ ফালকে) নাম কালজয়ী হয়ে আছে। বাংলার গর্ব হীরালাল সেন আর মতিলাল সেন – ভারতীয় লুমিয়ার ব্রাদার -তাদের পরিচালনায় বাংলা চলচ্চিত্র জগতেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। দাদাসাহেব ফালকের রাজা হরিশচন্দ্র থেকে ভারতীয় নির্বাক চলচ্চিত্রের যে পথ চলা শুরু হয়েছিল তা ‘কন্ঠ’ পেয়েছে ১৯৩১ এ । হিন্দিতে আলম আরা ও বাংলায় জামাইষষ্ঠী – প্রথম সবাক সিনেমার খেতাব পেয়েছে। অন্যান্য ভারতীয় ভাষাতেও তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র। অস্কারও এসেছে শ্রী সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালির হাত ধরে। আজ কিন্তু ভারতীয় বা বাংলা চলচ্চিত্রের ক্রমবিকাশ নিয়ে আলোচনা করবনা। অনেক মননশীল প্রবন্ধ আছে এ বিষয়ে। আজ বরং ওয়েব সিরিজের দুনিয়ায় যাওয়া যাক। ব্যাপারটা নতুন। তাহলে কেন এতক্ষণ “বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে” ঘুরলাম? ঐ ধূসর জগত থেকেই তো একদিন যাত্রা শুরু হয়েছিল। তাই উৎস থেকেই আজকের আলোচনাও শুরু করলাম।
২০১৪ তে টি ভি এফ প্লে (TVF Play) এই অ্যাপলিকেশন সফটওয়্যারে পার্মানেন্ট রুমমেটস ( Permanent Roommates) দিয়ে ভারতীয় ওয়েব সিরিজের পথ চলা শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে জুড়ে আছে ওটিটি (OTT) শব্দটা। OTT এর পুরো কথা Over – The- Top, যার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে – “Which implies that a content provider is going over the top of existing internet services”. এই ‘Internet Services’ এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে ওয়েব সিরিজের ‘প্রাণভোমরা’। বাড়ির ওয়াই ফাই (Wi-Fi) কানেকশনটা চালিয়ে দিলেই OTT র দরজায় সবাইকে স্বাগত। ওয়াই ফাই না থাকলেইবা কি! ফোনে তো ইন্টারনেট আছেই – নিজের পছন্দ মতো প্ল্যাটফর্ম বেছে নিলেই হল! প্রতি মাসে বা এক বছরের সাবস্ক্রিপশন নিয়ে ওয়েবের দুনিয়ায় “কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা”। সিনেমা থেকে শুরু করে সিরিয়াল, কার্টুন, ওয়েব সিরিজ, ট্যালেন্ট হান্ট – কত সম্ভার! ২০১৪ থেকে ২০২২ মাত্র আট বছরে যেমন বেড়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের(OTT Platform ) সংখ্যা তেমনি বেড়ে চলেছে ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয়তাও।
মেট্রোরেলে, ট্রেনে, বাসে আজ প্রায় সবাইয়ের মাথা নিচু! না না লজ্জায় নয় ! চোখ দুটো আটকে গেছে মোবাইলের স্ক্রিনে। কেউ পড়েন, কেউ বুঁদ মোবাইল গেমে, কেউ বা দেখে নিচ্ছেন সিরিয়ালের শেষটুকু – ‘কালকে আর দেখা হল কই’ ! এই তো সুবিধা। এছাড়াও আছে বাড়তি পাওনা- নিজের পছন্দ মতো বিষয় (কনটেন্ট) বেছে নেওয়ারও সুযোগ পাওয়া যায়।আর এই সু্যোগ করে দিচ্ছে বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো। ডিজনি+হটস্টার(Disney+Hotstar ), আমাজন প্রাইম ভিডিও (Amazon Prime Video ), নেটফ্লিক্স(Netflix ), জি ফাইভ(Zee5 ), জিও সিনেমা (Jio Cinema) এবং আরো অনেকে। স্মার্ট টিভি থেকে শুরু করে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ ই শুধু নয় মোবাইলের ছোট পর্দাতেও দেখে নেওয়া যাচ্ছে কত কিছু! টিভির রিমোট নিয়ে ছোটখাটো খুনসুটি গুলো আজ প্রায় হারিয়েই গেছে। তবে তার দায় পুরোপুরি ভাবে প্রযুক্তির ওপর চাপিয়ে দিলে অন্যায় হবে।
এবার প্রসঙ্গ ওয়েব সিরিজ – ‘নাম দিয়ে যায় চেনা’। বেশ কয়েকটা পর্ব বা এপিসোড নিয়ে তৈরি হয় ওয়েব সিরিজগুলো। গড়ে প্রায় পঁয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চান্ন মিনিট পর্যন্ত সময় থাকে এক একটা পর্বের। প্রতি পর্বের শুরুতে আগের পর্বের অংশবিশেষও খুব ছোট করে দর্শকদের বলে দেওয়া হয়। সাধারণত থাকেনা কোনো বিজ্ঞাপনের ঝামেলা, ‘গানের গুঁতো’( হালফিলের একধরনের নিম্নমানের বলিউডি ও টলিউডি গানের কথা ভেবে বলা ) থেকেও মেলে ছাড়, নিজের রুচি, সময়সুযোগ মত দেখার সুবিধাই এর জনপ্রিয়তার আসল কারণ। পাশাপাশি দেখেনি সিনেমার বা চলচ্চিত্রের হালহকিকত। নির্বাক ছবি দিয়ে যার পথ চলা শুরু হয়েছিল পরবর্তী সময়ে টকিস(Tlkies), থিয়েটার, সিনেমা হল হয়ে টিভি থেকে স্মার্ট টিভি থেকে মোবাইল – আজ সিনেমা দেখা যাচ্ছে সবখানে। তবু সিনেমা হলে গিয়ে দেখার রোমাঞ্চ আলাদা। বড় পর্দায় চাঁদের পাহাড়, এলডোরেডো, টাইটানিক, জুরাসিকপার্ক ইত্যাদি দেখার অনুভূতি অন্যরকম। থ্রিডি চশমা আর পপকর্ণ কিন্তু সিনেমা হলের একচেটিয়া। এই ব্যাপারে এখনো ওয়েব সিরিজকে টেক্কা দিতে পারে সিনেমা (চলচ্চিত্র)।
যেদিন টেলিভিশন প্রথম এসেছিল বাড়িতে – ডি ডি ওয়ান (D D One ), ডি ডি টু (D D Two ) – দুটো চ্যানেল ই তো ছিল। কত সুন্দর, রুচিসম্মত সব অনুষ্ঠান – সংখ্যায় কম ছিল ঠিক ই কিন্তু আনন্দের অভাব হতনা। সিনেমারও তো তখন ঐদুটো চ্যানেলই ভরসা! তারপর এল ক্যাসেট , ভি সি আর (VCR) । সেই শুরু। ডি ডি ওয়ান, টু এর ওপর আর সবসময় ভরসা না করলেও চলে। তারপরেই তো ডিশ টিভি (Dish TV ) থেকে সবার জন্য ‘সুলভ মূল্যে’ কেবল নেটোয়ার্ক(Cable Network )। চ্যানেলের বন্যা- অনুষ্ঠানেরও। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সিনেমার সংখ্যাও। সব থেকে বেশি যা বেড়েছে তা হল বিজ্ঞাপন! টেলিভিশনে সিনেমা দেখার সময় বড় বিরক্ত করে তারা! আপনাদেরও নিশ্চয়ই তাই মত? সাম্প্রতিক কালের সিনেমার (বানিজ্যিক ভিত্তিতে বানানো, বাংলা ও হিন্দি ছবির ক্ষেত্রে ) কনটেন্ট নিয়ে সমালোচনা না করে শুধু এটুকু বলা যেতে পারে বেনো জল ঢুকছে হুহু করে! কিছু দিনের আয়ু নিয়ে আসা এই ছবিগুলো খুব তাড়াতাড়ি মুছে যাচ্ছে মানুষের মন থেকে, বলা ভালো হয়তো তেমন ভাবে দাগ ও কাটতে পারছেনা। কারণ আরো আছে , আমরা যারা দর্শক, অনেক ক্ষেত্রে রুচিবোধের তফাৎ ও হয়তো ঘটে গেছে আমাদের। তাই কনটেন্ট ভালো হলেও সফল হওয়ার দৌড়ে অনেক সময়েই পিছিয়ে পড়ছে তারা। অনেকে মনে করেন একটানা বেশি সময় ধরে সিনেমা দেখতেও আগ্রহ কমছে এই প্রজন্মের।
ওয়েব সিরিজ -হৈহৈ রৈরৈ – হিন্দি ভাষার ঝুলি থেকে – সেক্রেড গেমস (Sacred Games) না পাতাল লোক(Patal Lok), বুলবুল (Bulbul) না বম্বে বেগমস (Bombay Begums) হতে পারে ফ্যামিলি ম্যান(Family Man), বাংলায় মন্দার, মোহমায়া, ব্যোমকেশ, দময়ন্তী – সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ নেই। বিষয়বৈচিত্র্য(কন্টেন্ট) ওয়েব সিরিজে অনেক বেশি। নিজের প্রিয় ভাষা বেছে নিলেই চোখের সামনে খুলে যাবে নামের তালিকা। এক ছাতার তলায় সিরিজের সম্ভার। ছোট দৈর্ঘ্যের এই সিরিজগুলো দর্শকদের কাছে খুব কম সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ঊঠেছে। ২০১৮ সালের এক সমীক্ষা(ব্যক্তিগত উদ্দোগে করা) বলছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখানো আটটা বিভাগের মধ্যে মোট দর্শকের ৩৪%ই দেখেন ওয়েব সিরিজ। দর্শকের একটা বড় অংশ স্বীকারও করেন সিনেমা দেখার ক্ষেত্রেও টেলিভিশনের থেকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মই বেশি পছন্দ তাদের। ২০২০ সালের এক গবেষণামূলক সমীক্ষায়(ব্যক্তিগত উদ্দোগে করা) স্পষ্ট হয়েছে জনমানসে ওয়েব সিরিজের প্রভাবের কথা। আঠার থেকে বাইশ বছরের দর্শকদের সংখ্যা ছিল বেশি। তাদের অনেকেই স্বীকার করে নিয়েছেন প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দু ঘন্টা তারা ওয়েব সিরিজ দেখে থাকেন। অনেক সময় সবকটা পর্ব একবারে দেখতে গিয়ে সামাজিক অনুষ্ঠান বা পরিবারের সাথে সময় কাটানো যথেষ্ঠ বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একভাবে দেখার ফলে তারা অনিদ্রায় ভোগেন বা কখনো কখনো বিষণ্ণতাও তদের ঘিরে ধরে। শারীরিক কসরতের অভ্যাসও চলে যেতে থাকে।
অসুবিধা আরো আছে – মনে রাখা প্রয়োজন ওয়েব সিরিজের সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্রের দরকার হয়না। U/A র ভাগ না থাকায় অবাধ হিংসা-যৌনতা-অত্যাচারের ‘যন্তর-মন্তর ঘরে’ কৈশোরের ‘মগজধোলাই’ হতে খুব বেশি সময় লাগেনা। শিষ্ট শব্দ কাকে বলে! আটকানোর কেউ নেই। দর্শক ধরে রাখতে সিরিজের গল্পকে অযথা টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কাজেই এপিসোড সংখ্যা বাড়ছে ঠিকই কিন্তু গল্পের ঠাস বুনট আর থাকছেনা। কোনো কোনো প্ল্যাটফর্ম অশ্লীল- সস্তা বিনোদনমূলক সিরিজ নিয়ে আসছে নামমাত্র সাবস্ক্রিপশনে! রাতারাতি লাভের অঙ্ক বাড়াতে যে বিকৃতির পথে এগিয়ে চলেছে ওয়েব সিরিজ (নির্দিষ্ট কিছু প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে এর মাত্রা বেশি) নতুন প্রজন্মের ওপর তার প্রভাব নিয়ে চিন্তিত সমালোচকমহলও। সিনেমা নিয়েও এধরণের আলাপ আলোচনা আগে হয়েছে। বিভিন্ন বিতর্কিত ছবি নিয়ে চলেছে তর্ক-বিতর্ক, সামাজিক-ধর্মীয়-সাংস্কৃতিকভাবে স্পর্শকাতর (Sensitive) বিষয় হয়তো আটকে গেছে সেন্সরবোর্ডের জালে! অনেক ক্ষেত্রে বাস্তবের সবটা সিনেমার পর্দায় ভেসে ওঠেনা সত্যি তবে বিকৃতির এমন সম্প্রচারের দৌড়ে সিনেমা এখনো পিছিয়ে আছে।
আলোচনার এই পর্বে শুধু দর্শক নন অভিনেতাদের কথাও বলব। ওয়েব সিরিজে মুখ্য চরিত্রাভিনেতার ধারণা খুব বেশি কাজ করেনা, অনেক অখ্যাত অভিনেতাও তাদের অভিনয় শৈলী দেখানোর সুযোগ বেশি পান বলে সমালোচকেরা মনে করছেন। তাদের মতে ওয়েব সিরিজ ‘বক্স-অফিস’ নির্ভর (যেমন সিনেমা) নয় তাই ‘নায়ক প্রধান’ হয়ে হয়ে ওঠার সুযোগ কম। সিনেমায় যারা পার্শ্বচরিত্র হিসাবে অনেক সময় আড়ালে থেকে যান, মুখ্য চরিতাভিনেতার থেকে চোখ যাদের ওপর প্রায় পড়েইনা – এই একচেটিয়া ‘নায়কতন্ত্র’ এ ওয়েব সিরিজ দাঁড়ি টানতে চলেছে বলেও কেউ কেউ মনে করেন। নারীচরিত্রের দিকে তাকালেও দেখা যাবে সিনেমায় (বিশেষ করে গত কয়েক বছরে এই প্রবণতা আরো বেড়েছে) মহিলাদের ভূমিকা প্রায় ‘কাঠের পুতুল’ এর কাছাকাছি পৌঁছেচে। আলাদা করে চোখে পড়ার মতো নারীচরিত্র সিনেমায় (বানিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি) কবে দেখেছি মনে করে বলতে হবে! এক্ষেত্রে ওয়েব সিরিজে মহিলাদের ভূমিকা লক্ষ্য করার মতো। রূপালি জগত নারীকে পন্য হিসাবে দেখে আসছে, ওয়েব সিরিজও তার ব্যতিক্রম নয় তবু মহিলাদের চরিত্রায়নের ক্ষেত্রে অনেক বেশি বৈচিত্র্য দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছে যার একটা ইতিবাচক দিক আছে বলে মনে হয়।
সুয়োরানী-দুয়োরানীর গল্পের মতো সিনেমা-ওয়েব সিরিজের কথা বলার সময় এখনো আসেনি। দর্শকের রুচিবোধের ওপর নির্ভর করে তার ভালো-মন্দের বোধ। সমালোচকরা মনে করেন সিনেমা আর ওয়েব সিরিজের দর্শক আলাদা আলাদা অর্থাৎ রুচিগত পার্থক্যই শুধু নয় দুই শ্রেণির দর্শকদের মধ্যে বৈপরীত্য আছে অন্যক্ষেত্রেও। তবে আগামী দিনে সিনেমার বদলে ওয়েব সিরিজ বিনোদন জগতে রাজত্ব করবে এমন প্রতিস্পর্ধার কথা সচেতন দর্শক বা সমালোচকমহলে শোনা যায়নি। তর্ক-বিতর্ক চলছে অনেক, ওয়েব সিরিজের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের কথাও আলোচিত হচ্ছে,এর পাশাপাশি বাদ যাচ্ছেনা সিনেমার চর্বিতচর্বণ বিষয় প্রসঙ্গও। বক্সফিস যেমন নিয়ন্ত্রণ করে দেয় সিনেমার ভাগ্য তেমনি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রেও রয়েছে বিভিন্ন নির্ণায়ক। সমীক্ষা বলছে ইতিমধ্যেই কিন্তু কমতে শুরু করেছে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা( কোনো কোনো প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে)। ‘লাইক-ডিসলাইক’ এর ফাঁদে আটকে যাচ্ছে শুধু সিনেমা নয়, ওয়েব সিরিজও।
সবশেষে, বিনোদনের দুনিয়ার একমাত্র কথা ‘বিনোদন’ মানে তুষ্টিসাধন। তাই সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ নয়, বিনোদনের আসল চাবিকাঠি কিন্তু দর্শকের হাতে, তারাই ঠিক করে দেবে সিনেমা-সিরিজের ভবিষ্যৎ।
তথ্যসূত্র –
https://uniqueknowledgebangla.blogspot.com/2020/08/history-of-indian-cinema-and-bengal.html
https://www.amity.edu/gwalior/jccc/pdf/jccc%20june%202019%20final-131-137.pdf
https://www.ijcrt.org/papers/IJCRT2009142.pdf
https://www.youtube.com/watch?v=pypUlEi94IQ&t=5910s