আমার জীবন – রাসসুন্দরী দাসী
ঊদ্ধৃতিমূলক প্রশ্নোত্তর আলোচনা
১) “তাহা আমি কিছুই জানি না, সে সমুদয় আমার মা জানেন” – কোন কথা ?
◆ লেখিকার চার পাঁচ বছর পর্যন্ত শরীরের অবস্থা ও মনের ভাব কেমন ছিল
২) “আমার কাঁদার বিশেষ কারণ এই যে” – বিশেষ কারণটি কী ছিল ?
◆ যে লেখিকাকে মেরেছে তার কথা লেখিকার বাড়িতে শুনলে তাকে গালি দেবে
৩) “মার ঐ কথা শুনিয়া আমার মনে এত ভয় হইল যে” – কোন কথা শুনে লেখিকার মনে ভয় হল ?
◆ ছেলেধরা এসেছে, ছেলে পেলে ছালার মধ্যে পুরে নিয়ে যায়
৪) “মার ঐ কথা আমার মনে মনেই থাকিল” – কোন কথা ?
◆ যে সকল ছেলে দুষ্টুমি করে এবং ছেলেপিলেকে মারে ঐ সকল ছেলেকে ছেলে ধরায় নিয়ে যায়
৫) “গঙ্গাস্নানের অর্থ আমি বিশেষ কিছুই জানি না ; এইমাত্র জানি” – রাসসুন্দরী দেবী বাল্যে গঙ্গাস্নানের কী অর্থ জানতেন ?
◆ পথে বসে জলপান খায় আর কাপড়ে একটা বোঁচকা বেঁধে মাথায় করে পথে হেঁটে যায়
৬) “আমার বোধ হইল আমি যেন কত অমূল্য রত্নই প্রাপ্ত হইলাম, আমার আনন্দের আর সীমা থাকল না” – কী পেয়ে লেখিকার এমন মনে হয়েছিল ?
◆ গঙ্গাস্নানের জন্য মায়ের দেওয়া পুঁটলি পেয়ে
৭) “আমার সঙ্গিনী ঐ অপরাধে আমাকে একটা চড় মারিল” – কোন অপরাধে ?
◆ সঙ্গিনীকে আঁচিয়ে (মুখ ধুয়ে) দেবার জন্য জল আনতে পারেননি লেখিকা
৮) “এই বলিয়া আমার (রাসসুন্দরী দাসীর) মুখে আর একটা ঠোকনা মারিল” – কী
বলে ?
◆ উনি একটি সোহাগের আরসী, কিছু না বলিতেই কাঁদিয়া ওঠেন
৯) “আমি মনে মনে ঐ সকল পড়াই শিখিলাম” – কী পড়া ?
◆ ক, খ চৌত্রিশ অক্ষর
১০) “আমি মনে মনে তাহাও খানিক শিখিলাম” – আর কী শিখলেন ?
◆ পারসী
১১) “আমি তাহাকে দেখিয়া ছেলেধরা ভাবিয়া ভয়ে এককালে মৃতপ্রায় হইলাম” – কাকে দেখে ছেলেধরা ভেবেছিলেন ?
◆ গোবৈদ্যকে
১২) “মার ঐ কথাতে আমার মনে অনেক সাহস হইল” – কোন কথাতে ?
◆ তোমার যখন ভয় পাইবে তখন তুমি সেই দয়ামাধবকে ডাকিও, দয়ামাধবকে ডাকিলে তোমার আর ভয় থাকিবে না
১৩) “তিনি অতি অল্পকালেই বিধবা হন” – কে ?
◆ লেখিকার পিসিমা
১৪) “ঐ কথা শুনিয়া আমি অত্যন্ত ভাবিত হইলাম, আমার মন এককালে ব্যাকুল হইয়া পড়িল” – কোন কথা শুনে ?
◆ তিনি পদ্মলোচন রায়ের কন্যা
১৫) “এতদিবস আমি জানিতাম” – রাসসুন্দরী দাসী কী জানতেন ?
◆ তিনি মায়ের মেয়ে
১৬) “বিশেষ আমার মনে এই দৃঢ় বিশ্বাস ছিল” – কী বিশ্বাস ছিল ?
◆ লেখিকার মায়ের বিয়ে হয়নি
১৭) “আমি এই কথা যত ভাবিতে লাগিলাম, ততই আমার মন বিষণ্ণ হইতে লাগিল” – কোন কথা ?
◆ তিনি পদ্মলোচন রায়ের কন্যা
১৮) “সেস্থানে লোকের বসতি নাই এবং বৃক্ষাদি কিছুই নাই ; কেবল ক্রোশখানেক অন্তরে একটা নদী আছে” – কোন স্থানের কথা বলা হয়েছে?
◆ লেখিকার বাড়ির কাছে অবস্থিত মাঠের কথা বলা হয়েছে
১৯) “আমরা তিনজনে প্রাণপণে কাঁদিতে লাগিলাম” – তিনজন কে কে ?
◆ লেখিকা, তার দাদা ও ভাই
২০) “আমার মা বলিলেন, এই যে, আমাদের দালানে ঠাকুর আছেন তাঁহারি নাম _ ” – কী নাম ?
◆ দয়ামাধব
২১) “আমি ঐ ছেলেকে দেখিয়া ভারি সন্তুষ্ট হইলাম” – কে, কোন ছেলেকে দেখে ?
◆ রাসসুন্দরী দেবী, তাঁর মামার ছেলেকে দেখে
২২) “খুড়ীমার ঐ সকল খেদোক্তি শুনিয়া আমার মনে ভারি কষ্ট হইত” – কোন খেদোক্তি ?
◆ আমার মরণ হইলেই বাঁচি, আমি আর কাজ করিতে পারি না
২৩) “আমি উহার জন্যেই বাঁচি” – কে কার জন্য বাঁচেন ?
◆ লেখিকা রাসসুন্দরী দাসীর জন্য তাঁর খুড়িমা
২৪) “দৈবাৎ সে ছেলেটি পীড়িত হইয়া মারা গেল” – কোন ছেলেটি ?
◆ লেখিকার মামার ছেলেটি
২৫) “ঐ কথা আমার মনের মধ্যে এত যন্ত্রণা দিতে লাগিল যে, আমার মন একেবারে আচ্ছন্ন ও অবসন্ন হইয়া পড়িল” – কোন কথা ?
◆ লেখিকাকে তার মা একজনকে দিবেন, অন্য কোথাও রাখবেন
২৬) “আমার ঐ কথা শুনিয়া ও এই প্রকার ব্যবহার দেখিয়া ঐ স্থানের সকল লোক কাঁদিতে লাগিলেন” – কোন কথা শুনে ?
◆ মা!, তুমি আমাকে দিও না
২৭) “তাঁহার সেই কোল যেন আমার মায়ের কোলের মত বোধ হইতে লাগিল” – কার কথা বলা হয়েছে ?
◆ লেখিকার শাশুড়ি
২৮) “ঐ এক বৎসর আমি মার কাছে সচ্ছন্দচিত্তে কালযাপন করিয়াছিলাম” – কোন বৎসর ?
◆ লেখিকার বিবাহ পরবর্তী একবছর
২৯) “এই প্রকার সকল বিষয়ে বৌদিগের কর্ম্মের রীতি ছিল। আমি ঐ রীতিমতেই চলিতাম” – কোন রীতি ?
◆ বুক পর্যন্ত ঘোমটা দিয়ে থাকত যে পায়ের পাতা ভিন্ন অন্যদিকে দৃষ্টি চলত না
৩০) “তখনকার লোকেরমনভাব এইরূপ ছিল” – কেমন ছিল ?
◆ মেয়েছেলের গৃহকর্ম্ম ছাড়া আর কোনো কর্ম্ম নেই
৩১) “তখনকার মেয়েছেলের এই প্রকার নিয়ম ছিল” – কী প্রকার ?
◆ যে বৌ সে হাতখানেক ঘোমটা দিয়ে ঘরের কাজ করবে, কারো সঙ্গে কথা বলবে না
৩২) “তখন আমার মনে মনে নিতান্ত চেষ্টা হইল যে আমি লেখাপড়া শিখিয়া পুঁথি পড়িব” – কখন ?
◆ লেখিকার যখন চোদ্দ বছর বয়স
৩৩) “আমার মনে আর একটি দৃঢ় বিশ্বাস ছিল” – কী বিশ্বাস ছিল ?
◆ যেন ঐ গ্রামের লোক তাঁহাদিগের নিজ পরিবার অপেক্ষাও আমাকে স্নেহ করেন
৩৪) “কিন্তু এইটি ভারি আক্ষেপের বিষয় ছিল যে,” – কোনটি ?
◆ মেয়েছেলে বলিয়া লিখিতে পড়িতে পাইতাম না
৩৫) “সে পাকও নিতান্ত কম নয়” – কত পরিমাণ পাকের কথা বলা হয়েছে ?
◆ সন্ধ্যায় দশ বারো সের চাল পাক করতে বলা হয়েছে
৩৬) “মনুষ্য মাত্রেরই এ বিষয় ভালোমতে জানা আবশ্যক। প্রায় লোক এ সকল বিষয় জ্ঞাত নহেন” – কোন বিষয়ে ?
◆ সন্তানের জন্য মায়ের কত যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়
৩৭) “এই কথাটি আমার মনে ভারী আক্ষেপের বিষয় হইয়া রহিয়াছে” – কোন কথাটি ?
◆ লেখিকা তাঁর মায়ের সেবা করতে পারেননি
৩৮) “এটা কি সাধারণ আক্ষেপের বিষয়” – কোনটি ?
◆ মৃত্যুকালে মাকে দেখতে না পাওয়া
৩৯) “আমাদিগের দেশের সকল আচার ব্যবহারই বড় মন্দ ছিল না, কিন্তু এই বিষয়টি ভারী মন্দ ছিল” – কোন বিষয় ?
◆ মেয়েরা বিদ্যার্জনে বঞ্চিত ছিল
৪০) “আমি এই স্বপ্ন দেখিয়া জাগিয়া উঠিলাম” – কোন স্বপ্ন ?
◆ লেখিকা যেন চৈতন্যভাগবত পাঠ করছেন
৪১) “আমি জাগিয়াও চোখ বুজিয়া বার বার ঐ স্বপ্নের কথা মনে করিতে লাগিলাম” – কোন স্বপ্ন ?
◆ চৈতন্যভাগবত পাঠের স্বপ্ন
৪২) “ইহাতে আমি কৃতকৃতার্থ হইলাম। আমার জীবন সফল হইল” – কীসে লেখিকার জীবন সফল হল ?
◆ তিনি যে স্বপ্নে চৈতন্যভাগবত পড়লেন
৪৩) “আমি পাকের ঘরে থাকিয়া ঐ কথাটি শুনিলাম” – কোন কথা ?
◆ রাসসুন্দরী দেবীর স্বামী তাঁর বড়ছেলের উদ্দেশ্যে বলছেন – বিপিন আমার চৈতন্যভাগবত পুস্তকখানি এখানে থাকিল, আমি যখন তোমাকে লইয়া যাইতে বলিব, তখন তুমি লইয়া যাইও
৪৪) “আমি তো লিখিতে পড়িতে জানি না, কিরূপে পুস্তক চিনিব ?” – লেখিকা কীভাবে চৈতন্যভাগবত গ্রন্থ চিনেছিলেন ?
◆ চিত্র পুত্তলিকা দেখে
৪৫) “আমি ঐ পুস্তক খুলিয়া একটি পাত লুকাইয়া রাখিলাম” – কোথায় লুকিয়ে রেখেছিলেন ?
◆ রান্নাঘরের হেঁসেলের মধ্যে খোড়ীর নীচে
৪৬) “আমি তাহার একটি তালের পাতাও লুকাইয়া রাখিলাম” – কার তালের পাতা ?
◆ বড়ছেলে বিপিনের লেখা তালের পাতা
৪৭) “আহা কি আক্ষেপের বিষয়!” – আক্ষেপের বিষয় কী ?
◆ মেয়ে বলে পড়াশোনা করতে না পারা
৪৮) “আমি যে লোকের অধীনী হইয়া একাল পর্যন্ত দিবস গত করিয়াছি বাস্তবিক তিনি বেশ লোক ছিলেন” – কার কথা বলা হয়েছে ?
◆ লেখিকার স্বামীর কথা
৪৯) “এটি স্ত্রীজাতির পক্ষে প্রধান দোষ বলিয়া সকলে সিদ্ধান্ত করিয়া রাখিয়াছেন” – কোনটি ?
◆ লেখাপড়া শেখা
৫০) “এই প্রকারে চিন্তা করিয়া করিয়া পড়িতে শিখিয়াছি, তখন আমার বয়ঃক্রম _ বছর” – কত বছর ?
◆ ২৫ বছর
৫১) “একদিবস আমার বড় ছেলেটিকে সেই ঘোড়ার ওপর চড়াইয়া বাটীর মধ্যে আমাকে দেখাইতে আনিল” – ঘোড়াটির নাম কী ?
◆ জয়হরি
৫২) “কিন্তু জগদীশ্বর সদয় হইয়া এ বিষয়ে আমাকে কোন কষ্ট দেন নাই” – কোন বিষয়ে ?
◆ সন্তানদের কুকর্ম বিষয়ে
৫৩) “সময়ে সময়ে আমার যদিও অত্যন্ত বিপদ ঘটিয়াছিল, তথাপি আমার মনের এত প্রফুল্ল ভাব ছিল যে, ঐসকল মহাবিপদে আমাকে এককালে অবসন্ন করিতে পারে নাই” – লেখিকা কোন মহাবিপদের কথা বলেছে ?
◆ পুত্রশোক
৫৪) “সে কি পর্য্যন্ত আহ্লাদিত হইলাম, তাহা বলা যায় না, আনন্দরসে শরীর একেবারে ঢলাঢল হইল” – কোন বিষয়ে ?
◆ বড়ছেলের বিয়ে দিয়ে পুত্রবধূ এনে লেখিকা যখন শাশুড়ি হলেন
৫৫) “তাহা শুনিয়া ভারি আহ্লাদিত হইয়া আমাকে বলিতে লাগিলেন, আহা! তুমি লেখাপড়া জান, ইহা আমরা এতদিবস কিছুই জানি না” – কী শুনে ?
◆ লেখিকা পুঁথি পড়তে পারেন
৫৬) “আমার বহু দিবসের বাঞ্ছা জগদীশ্বর পূর্ণ করিলেন” – কোন বাঞ্ছা ?
◆ লেখিকার পড়তে পারার বাঞ্ছা
৫৭) “সে যাহা হউক, লোকে বলে _ আর _ এ দুইটিই সমান কথা” – কোন দুটি কথা ?
◆ অস্ত্রের প্রহার ও পুত্রশোক
৫৮) “অদ্য _ অবধি এতকাল পরে সেই বাল্য অবস্থাটি ঘটিয়াছে” – সাল তারিখ উল্লেখ করো
◆ ১২৮০ সালের ২৭শে ভাদ্র
৫৯) “অদ্য ১২৮০ সালের ২৭শে ভাদ্র অবধি এতকাল পরে সেই বাল্য অবস্থাটি ঘটিয়াছে” – বাল্য অবস্থা কী ?
◆ নিজের হাতে খেতে না পারা
৬০) “এ কথাটি আমার বেশ স্মরণ আছে” – কোন কথাটি ?
◆ লেখিকা যে পর্যন্ত নিজের হাতে খেতে শিখেছেন সে পর্যন্ত কখনো অন্যের হাতে খাননি
৬১) “আমি মনের মধ্যে এই কথাটি ভাবিলে আমার মনে ভারি আশ্চর্য্য বোধ হয়” – কোন কথা ?
◆ বাড়ির সমস্ত বই পড়তে পারা
৬২) “সে ত পল্লীগ্রাম, অনেক চেষ্টা করিয়া দেখিলাম, গ্রামের মধ্যে পাওয়া গেল না” – লেখিকা কী খুঁজছিলেন ?
◆ সপ্তকান্ড রামায়ণ
৬৩) “পরে সকলে শুনিয়া আমার প্রতি ভারি সন্তুষ্ট হইলেন, আমি ইহা বড় ভাগ্যের কথা বলিয়া মানিয়াছি” – কোন কথা ?
◆ লেখিকা বই পড়ার জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন
৬৪) “এই কথাটি আমার নিকটে ভারি কঠিন কর্ম্ম বোধ হইত” – কোন কথা ?
◆ দাও
৬৫) “আমার মন সেই সপ্তকান্ড বাল্মীকি পুরাণের জন্য নিতান্ত ব্যাকুল হইল। কিন্তু ইতিমধ্যে আমার সেই ছেলেটি কলিকাতা হইতে বাড়ি আসিল” – কোন ছেলে ?
◆ পঞ্চম পুত্র দ্বারকানাথ
৬৬) “তাহার নিকট বলিলাম, _ ! তোমাদের ঘরে অনেক পুস্তক আছে, কিন্তু সপ্তকান্ড নাই” – শূন্যস্থান পূরণ করো
◆ দ্বারি
৬৭) “আমার মন ঐ পুস্তক পাবার জন্য এত ব্যাকুল হইয়াছিল যেন আমার শরীরে কত রোগ উপস্থিত হইয়াছে” – কোন বইয়ের কথা বলা হয়েছে ?
◆ সপ্তকান্ড রামায়ণ
৬৮) “আমি এত যত্নে এ পুস্তক আনিলাম, কিন্তু পড়িতে পারিলাম না” – কোন পুস্তক ?
◆ সপ্তকান্ড রামায়ণ
৬৯) “আমি এত যত্নে এ পুস্তক আনিলাম, কিন্তু পড়িতে পারিলাম না” – কেন পড়তে পারলেন না ?
◆ ক্ষুদ্র ছাপার অক্ষরের কারণে
৭০) “মধ্যে মধ্যে এই কথাটি আমার মনে বিষম যন্ত্রণাদায়ক হইত” – কোন কথাটি ?
◆ লেখিকা লিখতে পারেন না
৭১) “কিন্তু এই কথাটি আমার মনে ভারি আক্ষেপের বিষয় যে” – কোন কথা ?
◆ লেখিকা লিখতে পারেন না
৭২) “এই বলিয়া কাগজ, কলম, দোয়াত, কালি সমুদয় সংগ্রহ করিয়া আমাকে দিয়া সে কলিকাতায় পড়িতে চলিল” – সে কে ?
◆ সপ্তম পুত্র কিশোরীলাল
৭৩) “এই বলিয়া কাগজ, কলম, দোয়াত, কালি সমুদয় সংগ্রহ করিয়া আমাকে দিয়া সে কলিকাতায় পড়িতে চলিল” – কী বলে ?
◆ মায়ের পত্রের উত্তর না পাইলে কি বিদেশে থাকা যায়! পত্রের উত্তর দিতেই হবে
৭৪) “আমি ভাবিতে লাগিলাম কি করিব, একি দায় আমার যে বিষম সঙ্কট হইল” – কী দায় ?
◆ ছেলের পত্রের উত্তর দেবার দায়
৭৫) “সেই স্থানে আমাদিগের ছয় মাস থাকিতে হইল” – কোথায় ?
◆ কাঁঠালপোতা
৭৬) “সেই স্থানে আমাদিগের ছয় মাস থাকিতে হইল” – কেন ?
◆ লেখিকার স্বামীর চোখের চিকিৎসার জন্য
৭৭) “পরমেশ্বর আমার মস্তক মুন্ডন করিয়াছেন” – কবে ?
◆ ১২৭৫ সালের ২৯ শে মাঘ
৭৮) “আমার শিরে স্বর্ণমুকুট ছিল ; কিন্তু এতকাল পরে সেই মুকুটটি খসিয়া পড়িল” – কোন প্রসঙ্গে লেখিকা এই কথা বলেছেন ?
◆ স্বামীর মৃত্যু প্রসঙ্গে
৭৯) “ঐ স্বপ্নে তিনি যে প্রকার দেখিয়াছিলেন, বাস্তবিক সেই সমুদয় ঘটনা সত্য হল” – তিনি কে ?
◆ জগন্নাথ মিশ্র
৮০) “ঐ স্বপ্নে তিনি যে প্রকার দেখিয়াছিলেন, বাস্তবিক সেই সমুদয় ঘটনা সত্য হল” – কী দেখেছিলেন ?
◆ পুত্র নিমাইচাঁদ মস্তক মুন্ডন করে সন্ন্যাসী হয়ে নবদ্বীপ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন
৮১) “ভরতের স্বপ্নে যে সকল ঘটনা ঘটিয়াছিল, প্রাতে উঠিয়া শুনিলেন সেই প্রকার সমুদয় ঘটনা ঘটিয়াছে” – ঘটনাটা কী ?
◆ রাজা দশরথের মৃত্যু হয়েছে, রাম লক্ষণ সীতা তিনজনই বনবাসে গিয়েছেন এবং অযোধ্যার সকলে কান্না করছেন
৮২) “একদা সেইরূপ আশ্চর্য্য একটি স্বপ্ন আমিও দেখেছিলাম” – আশ্চর্য স্বপ্ন বলতে কী বুঝিয়েছেন ?
◆ নিদ্রিত অবস্থায় দেখা স্বপ্ন পরে সত্যি হওয়া
৮৩) “একদা সেইরূপ আশ্চর্য্য একটি স্বপ্ন আমিও দেখেছিলাম” – কী স্বপ্ন ?
◆ তৃতীয় পুত্রের মৃত্যু
৮৪) “আমার সেই ছেলেটি বহপরমপুরে পড়িতে গিয়াছে” – কোন ছেলে ?
◆ তৃতীয় পুত্র প্যারীলাল
৮৫) “আমি স্বপ্নে দেখিতেছি,…তাহার যেন মৃত্যু হইল। তখন তাহাকে মাটিতে শোয়াইয়া একখানা কাপড় দিয়া ঢাকিয়া রাখিল” – কাকে ?
◆ প্যারীলালকে
৮৬) “আমি প্যারীলালের মুখে কথা শুনিয়া এবং আমার প্যারী জীবিত আছে দেখিয়া যেন এককালের স্বর্গের চন্দ্র হাতে পাইলাম” – প্যারীলালের মুখে কী কথা শুনেছিলেন ?
◆ মা পুঁথি শুনিবেন
৮৭) “পরে আমি সেই তারিখটি লিখিয়া রাখিলাম” – কোন তারিখ ?
◆ স্বপ্নে দেখা পুত্রের মৃত্যুর তারিখ
৮৮) “মা ঠাকুরাণী! উহার কোলে বড় বাবু” – কার কোলে ?
◆ তকি সর্দারের কোলে
৮৯) “মা ঠাকুরাণী! উহার কোলে বড় বাবু” – বড় বাবু কে ?
◆ লেখিকার বড় ছেলে বিপিন
৯০) “কখনও ঐ বাটীর মধ্যে আসিতেন না, এবং আমিও তাঁহাকে দেখি নাই” – কার কথা বলা হয়েছে ?
◆ বাড়ির গোমস্তা হরিমোহন শিকদার
৯১) “সেই ঠাকুরটি তখন আমার একপাশে বসিয়া একবার মাথায় হাত দিয়া দেখিতেছেন” – কোন ঠাকুর ?
◆ হরিমোহন শিকদার
৯২) “সেই গাছের হেলিয়া পড়া ডালখানির উপরে একটা কুকুর শুইয়া রহিয়াছে” – কোন গাছ ?
◆ বাবলা গাছ
৯৩) “আমার জীবন বৃত্তান্ত এই পর্যন্তই লিখিত হইল। অপর বৃত্তান্ত প্রাণান্ত পরিচ্ছেদ হইলে লিখিত হইবেক” – উদ্ধৃতিটি কত নম্বর রচনায় উল্লেখ আছে ?
◆ চতুর্দশ রচনা, প্রথম ভাগ
৯৪) “তাহাতে আমার বোধ হয় এ পুস্তকখানি অঙ্গহীন হইয়াছে” – কীসে ?
◆ লেখিকার স্বামীর কথা উল্লেখ না করায়
৯৫) “আমি যে তাঁহার গুণবর্ণনে সমর্থ হইব, আমি এমন যোগ্য নহি” – কার গুণ বর্ণনে ?
◆ স্বামীর গুণবর্ণনে
৯৬) “ঐ গ্রামের বার আনা মিরালি আমুদের সম্পত্তি, অন্য চারি আনা হিস্যা ইঁহাদের আছে” – কোন গ্রামের ?
◆ তেঁতুলিয়া গ্রামের
৯৭) “বাটিতে কেবল সেই ছেলেটি আছে। ইতিমধ্যে এক দিবস সেই মিরালি আমুদ হুকুম দিয়া ইহাদিগের অনেক প্রজাকে ধরিয়া মারপিট করিতে আরম্ভ করিল” – কোন ছেলের কথা বলা হয়েছে ?
◆ বড় ছেলে বিপিনবিহারী
৯৮) “ঐ কর্ত্তাটির উত্তর দেশে কতকটা এলাকা আছে” – কোন কর্ত্তার ?
◆ লেখিকার স্বামীর
৯৯) “তখন আমার ঐ ছেলেটিকে উপলক্ষ করিয়া একখানি পত্র দিয়া একজন লোককে মিরালি আমুদের নিকটে পাঠাইয়া দিলাম” – কোন ছেলেকে ?
◆ বড়ছেলে বিপিনকে
১০০) “তিনি বাটীতে আসিয়া না জানি কত রাগ করিবেন। ইহা ভাবিয়া আমার অতিশয় দুর্ভাবনা উপস্থিত হইল।” – কর্ত্তার রাগ করার কারণ কী ?
◆ লেখিকার বয়ান অনুযায়ী,
প্রথমত, অনেককাল ঐ মোকদ্দমা চলে আসছে, কেউ নিষ্পত্তি করেনি।
দ্বিতীয়ত, কর্ত্তার বিনা অভিপ্রায়ে লেখিকার দ্বারা মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল।
১০১) “তখন আমার নিকটে যাহারা ছিল, তাহাদিগের নিকটে ঐ স্বপ্নের কথা বলিতেছি” – কোন স্বপ্ন ?
◆ স্বর্ণচাঁপা পুষ্পবৃষ্টির স্বপ্ন
১০২) “ইতিমধ্যে আমার সপ্তম পুত্রবধূর প্রসব বেদনা উপস্থিত হইয়াছে” – সপ্তম পুত্রের নাম কী ?
◆ কিশোরীলাল
১০৩) “সেই স্বর্ণচাঁপা পরমেশ্বর আমাকে দিয়াছেন” – কীভাবে ?
◆ সপ্তম পুত্রের পুত্র রূপে
১০৪) “সেই মেয়েটি দৌড়িয়া ঐ বেশরখানি আনিয়া আমার হাতে দিল” – কোন মেয়েটি ?
◆ জেলেদের মেয়ে
১০৫) “আমাকে দিবে বলিয়া এই ৬০ বৎসর কত কষ্টে এবং যত্নে রাখিয়াছিলে এবং আমার হাতেই দিলে” – কী ?
◆ বেশর
১০৬) “এখনকার নিয়ম দেখিয়া বড় সন্তোষ হইয়াছি” – কোন নিয়ম ?
◆ মেয়েরা লেখাপড়া শিখতে পারে
১০৭) “আমার জীবন চরিত – দ্বিতীয় ভাগ – এই পর্য্যন্তই ক্ষান্ত থাকিল। আমার জীবনান্ত হইলে আমার বংশের মধ্যে যিনি ইচ্ছা করেন তিনি আমার শেষ ভাগ লিখিবেন” – কততম রচনায় উল্লেখ আছে ?
◆ পঞ্চদশ রচনা
– – – – –