আমার জীবন – রাসসুন্দরী দাসী
মন্তব্য যুক্তিমূলক প্রশ্নোত্তর আলোচনা
১) মন্তব্য – লেখিকাকে বাল্যে অন্য সঙ্গিনীরা বিনা অপরাধেই মারত।
যুক্তি – লেখিকা তার সকল খেলার সঙ্গিনীদের ভয় করতেন।
২) মন্তব্য – রাসসুন্দরী দাসী ছেলেবেলায় কারো সঙ্গে কথা বলতেন না।
যুক্তি – লেখিকা ছেলেবেলায় পরিষ্কার করে কথা বলতে পারতো না।
৩) মন্তব্য – লেখিকার সঙ্গে কেউ বড় করে কথা বলতো না।
যুক্তি – লেখিকার বড় কথা শুনলেই কান্না আসত।
৪) মন্তব্য – রাসসুন্দরী দেবী গোবৈদ্যকে দেখে দুহাত দিয়ে চোখ ঢেকে থরথর করে কাঁপছিলেন।
যুক্তি – রাসসুন্দরী দেবী গোবৈদ্যকে ছেলেধরা ভেবেছেন।
৫) মন্তব্য – লেখিকাকে ছোটবেলায় কখনো একা রাখা যেত না।
যুক্তি – লেখিকা অচেনা মানুষ বিশেষত বয়স্কদের দেখলে ভয় পেতেন এমনকি দাঁতে দাঁতও লেগে যেত।
৬) মন্তব্য – রাসসুন্দরী দেবী ভাবতেন তার মায়ের বিয়ে হয়নি।
যুক্তি – শাঁখা গহনাহীন মহিলারা অবিবাহিত এই ধারণা রাসসুন্দরী দেবী পিসির থেকে পেয়েছিলেন।
৭) মন্তব্য – রাসসুন্দরী দেবী জানতেন তিনি তার মায়ের মেয়ে।
যুক্তি – লেখিকার জ্ঞান হবার আগেই চার বছর বয়সে বাবা মারা যান।
৮) মন্তব্য – বাড়িতে আগুন লাগায় ঘরদোর জিনিসপত্র সবকিছু পুড়ে গেলেও বাড়ির কারো মনে খেদ ছিল না।
যুক্তি – লেখিকা ও তার দাদা এবং ভাই বেঁচে আছেন দেখে তারা আহ্লাদিত হয়েছিলেন।
৯) মন্তব্য – স্থানে স্থানে পোড়া হাড়ি, খুঁটি পাতিল ভাঙা চোরা পড়ে আছে দেখে লেখিকা আহ্লাদিত হয়েছিলেন।
যুক্তি – লেখিকা খেলার জন্য এসব সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পেরেছিলেন।
১০) মন্তব্য – রাসসুন্দরী দাসীর বাহির বাটিতে পড়াশোনা রহিত হল।
যুক্তি – বাড়ি পুড়ে যাওয়ায় স্কুল উঠে যায়।
১১) মন্তব্য – লেখিকার মা তার মামার ছেলেকে তাদের বাড়িতে এনেছিলেন।
যুক্তি – লেখিকার মামা গৃহশূন্য হয়েছিল।
১২) মন্তব্য – লেখিকার খুড়িমা মরণ হলেই বাঁচি বলে কাঁদতেন।
যুক্তি – খুড়িমার হাতে পায়ে রসের বেদনা ছিল।
১৩) মন্তব্য – রাসসুন্দরী দেবী প্রথম শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে লোকজনের আমোদ আহ্লাদ দেখে কাঁদতে শুরু করেছিলেন।
যুক্তি – শ্বশুরবাড়িতে রাসসুন্দরী দেবীর চেনা পরিচিত কেউ ছিল না।
১৪) মন্তব্য – বিয়ের পরেও লেখিকাকে সকলে নির্বোধ বলত।
যুক্তি – লেখিকা বারো বছর বয়সেও পাঁচ বছরের শিশুর মতো ব্যবহার করতেন।
১৫) মন্তব্য – যেন কলুর বলদের মতো দুই চক্ষু ঢাকা থাকিত, আপনার পায়ের পাতা ভিন্ন অন্য কোনো দিকে দৃষ্টি চলিত না।
যুক্তি – তখনকার বৌদের বুক পর্যন্ত ঘোমটা দিয়ে বাড়ির সকল কাজ করতে হত, কারোর সঙ্গে কথা বলা চলত না।
১৬) মন্তব্য – লেখিকার মনটি আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত বড় ভালো ছিল।
যুক্তি – ঐসময় লেখিকার কোনো সাংসারিক চিন্তা ছিল না।
১৭) মন্তব্য – লেখিকার স্বামীর জন্য আগে এক প্রস্থ পাক হত।
যুক্তি – লেখিকার স্বামীর স্নান করলেই ভাত চাই, অন্য কিছু আহারকরতে পছন্দ করতেন না।
১৮) মন্তব্য – রাসসুন্দরী দেবী লেখা শেখার বিষয়ে ক্ষান্ত দিয়ে কেবল গোপনে পড়তেন।
যুক্তি – লেখার সরঞ্জাম নিয়ে লেখা শিখতে বসলে লেখিকাকে পাছে কেউ কটু কথা বলে।
১৯) মন্তব্য – রাসসুন্দরী দাসী বাড়ির ঘোড়াটিকে দেখামাত্রই লুকোতেন।
যুক্তি – ঘোড়াটি তার স্বামীর বলে লজ্জা পেতেন।
২০) মন্তব্য – সে কি পর্য্যন্ত আহ্লাদিত হইলাম, তাহা বলা যায় না, আনন্দরসে শরীর একেবারে ঢলঢল হইল।
যুক্তি – আমি (রাসসুন্দরী দেবী) আমার পুত্রবধূর শাশুড়ী হইলাম।
২১) মন্তব্য – লেখিকার আপনার হাতে খাওয়া হল না, অন্য একজনের হাতে খেতে হল ১২৮০ সালের ২৭শে ভাদ্র।
যুক্তি – রাসসুন্দরী দেবীর ডান হাতের মাঝের আঙুলে আঘাত লেগেছিল।
২২) মন্তব্য – রাসসুন্দরী দেবী সপ্তকান্ড রামায়ণ হাতে পেয়েও পড়তে পারলেন না।
যুক্তি – পুত্র দ্বারকানাথের পাঠানো সপ্তকান্ড রামায়ণ বইটির ছাপার অক্ষর অত্যন্ত ক্ষুদ্র ছিল।
২৩) মন্তব্য – রাসসুন্দরী দেবী তার পুত্রদের পত্র পড়লেও তার প্রত্যুত্তরে পত্র লিখে পাঠাতেন না।
যুক্তি – রাসসুন্দরী দেবী পড়তে পারলেও লিখতে পারতেন না।
২৪) মন্তব্য – রাসসুন্দরী দেবীকে একসময় কিছুকাল স্বামীর সঙ্গে কৃষ্ণনগরে থাকতে হল।
যুক্তি – রাসসুন্দরী দেবীর স্বামীর চোখের পীড়ার চিকিৎসার জন্য কৃষ্ণনগরে যেতে হয়েছিল।
২৫) মন্তব্য – রাসসুন্দরী দেবীর বড়ছেলে বিপিনকে থানা থেকে তকি সর্দার কোলে করে এনেছিল।
যুক্তি 1 – বিপিন ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়ে কোমর ভেঙে ফেলেছিলেন।
যুক্তি 2 – বিপিন ভাঙা কোমর নিয়ে ঘোড়ায় উঠতে পারেননি এবং তখন পালকিও পাওয়া যায়নি।
২৬) মন্তব্য – গয়া কাশী কিরূপ কিরূপ বৃন্দাবন
তীর্থবাসী হয়ে লোক রয় কি কারণ।
যুক্তি – বেদে বলে বৃন্দাবন গোলোক সমান।
তাহা ছাড়ি কেন লোক রয় অন্যস্থান।
২৭) মন্তব্য – বারাণসী পুরী বটে দ্বিতীয় কৈলাস।
যুক্তি – সন্ন্যাসী রামাত দন্ডী তথা করে বাস।
২৮) মন্তব্য – রাসসুন্দরী দেবীর আমার জীবন গ্রন্থের পঞ্চদশ রচনায় মনে হয়েছে এ গ্রন্থটি অঙ্গহীন হয়েছে।
যুক্তি – রাসসুন্দরী দেবী তাঁর আমার জীবন চরিতের মধ্যে কর্ত্তার সম্বন্ধে কোন কথা
লিখিত হয়নি।
২৯) মন্তব্য – কর্তার অনুপস্থিতে লেখিকা মোকদ্দমা নিষ্পত্তি করে ভাবিত হয়েছিলেন।
যুক্তি 1 – মোকদ্দমা বিষয়ে লেখিকা কিছুই জানতেন না উপরন্তু এতদিন ধরে চলে আসা মোকদ্দমা নিষ্পত্তি করে ফেলেছেন।
যুক্তি 2 – কর্ত্তার বিনা অভিপ্রায়ে মোকদ্দমা নিষ্পত্তি হয়েছিল।
৩০) মন্তব্য – বাড়িতে ২০-২৫জন চাকরাণী থাকলেও লেখিকাকে একা বাড়ির লোক, চাকর ও অতিথি সকলের জন্য রান্না করতে হত।
যুক্তি – সেসময় ব্রাহ্মণের পাক করার প্রথা ছিল না।
– – – –