বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ 

 

“বিজ্ঞান!
গাহি তোমার জয়গান তোমার জয় যাত্রার রথের অপপ্রতীগত গতি জয়ের নাহি শেষ।
সর্বত্র জয়ী তুমি”
—মহ: আহরাব

বিজ্ঞান’ শব্দের অর্থ হল বিশেষ জ্ঞান। মানুষ প্রাকৃতিক বিষয়গুলির গুণ ও শক্তি আবিষ্কার করে যখন তা নিজেদের কাজে লাগাতে পারল, তখনই বিজ্ঞানের জন্ম হল। আদিমকালে মানুষ যখন আগুনের ব্যবহার শিখল, তখনই সে বিজ্ঞানের সূচনা করল।

তারপর মানুষ গৃহ নির্মাণ করেছে, কৃষিক্ষেত্র রচনা করেছে, বন্যপশুদের পোষ মানিয়ে নিজেদের কাজে লাগিয়েছে। কাপড় বুনেছে, পাত্র তৈরি করেছে, চাক ও চাকার গুণ ও শক্তি আবিষ্কার করেছে। যানবাহন উদ্ভাবন করে জলেস্থলে বিচরণ করার শক্তি অর্জন করেছে। এইভাবে যতই বিজ্ঞানের অগ্রগতি হয়েছে, মানুষ ততই সভ্য ও শক্তিশালী হয়েছে। আধুনিককালে মানুষ বাষ্পশক্তি, বিদ্যুৎশক্তি, সর্বশেষে আণবিক শক্তি আবিষ্কার করেছে। বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে মানুষ আজ জল, স্থল ও অন্তরিক্ষ জয় করেছে। তার সুখস্বাচ্ছন্দ্যের অন্ত নেই। দূরদূরান্তের সকল দৃশ্য ও শব্দকে বেতার, চলচ্চিত্র ও দূরদর্শনের সাহায্যে নিজের নিভৃত গৃহকোণে টেনে এনেছে। আজ মানুষ মহাকাশে উড়ছে, চাঁদে গিয়ে বেড়াচ্ছে। গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে যাওয়ার ফন্দি আঁটছে। বিজ্ঞান মানুষকে নিত্যনতুন সৃজনের শক্তি দিয়েছে। বিজ্ঞানকে মানুষ কীভাবে ও কী জন্য ব্যবহার করবে, তারই ওপর আজ নির্ভর করছে সমস্ত জীবলোকের ভবিষ্যৎ। বিজ্ঞানের দৌলতেই মানুষের জীবনে আজ সীমাহীন সুখস্বাচ্ছন্দ। জোর গলায় তাই বলতে পারি বিজ্ঞানই সভ্যতার জনক।

মানুষ যেদিন প্রথম আগুন জ্বালাতে শিখল, বলা যায় সভ্যতার ইতিহাসে সেই তার প্রথম পদক্ষেপ। সেই আগুন যেমন খাদ্যের মধ্যে দিয়ে প্রাণের দীপ্ত শিখাটিকে প্রজ্জ্বলিত রেখেছে তেমনি চলমান রেখেছে জগৎজোড়া সভ্যতার রথের চাকা। দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত আমরা তার প্রভাব অনুভব করি। সকালে উঠে দাঁতের মাজন, মুখ ধোওয়া হলে উষ্ণ চায়ের পেয়ালা, সঙ্গে ঝকঝকে সংবাদপত্র—এ সবই বিজ্ঞানের দান। রোগী, শিশু ও বয়স্ক মানুষের উপযোগী রকমারি খাদ্য ও পানীয়, রান্নাঘরে গৃহিনীর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য হিটার, কুকার, রান্নার গ্যাস, হটপট, ফ্লাক্স, কাপড় কাচার ওয়াশিং মেশিন সবই বিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা পেয়েছি। দুপুরে অফিস যাওয়া এবং ছেলেমেয়ের স্কুল কলেজ যাওয়ার ব্যবস্থা বিজ্ঞানই করেছে। জেমস্ ওয়াটের বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কারের পর যোগাযোগ ব্যবস্থার যে উন্নত হয়েছিল আধুনিক বিদ্যুৎ সেখানে যুগান্তর এনেছে। বাস, ট্যাক্সি, ট্রাম, রেল, পাতাল রেল, বিমান প্রভৃতি দ্রুতগামী যান আজ হাজার হাজার মাইল পথকে অতিক্রম করে যাচ্ছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। সকালে কাজে বেরিয়ে সন্ধ্যায় গৃহে ফিরে অবসর বিনোদনের কত ব্যবস্থাই না বিজ্ঞান করেছে। রেডিও, টেপরেকর্ডার, টিভি, আধুনিক বিজ্ঞানের সব অবিস্মরণীয় দান। এছাড়া টেলিগ্রাফ, টেলিফোন, কম্পিউটার মানুষের ব্যক্তিগত ও অফিসের কাজকে করেছে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ। শিক্ষার ক্ষেত্রেও তার দান কম নয়। ক্লাসরুমের চক, ডাস্টার, ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি, অডিও-ভিস্যুয়াল সবই বিজ্ঞানের দান।

চিকিৎসা বিজ্ঞানেও ঘটেছে অভাবনীয় উন্নতি। এইডস্, ক্যানসার আজও দুরারোগ্য হলেও বিজ্ঞানের ওষুধ ক্যানসারের যন্ত্রণাকে কিছুটা প্রশমিত করেছে। কুষ্ঠ ও যক্ষা আজ নিরাময়যোগ্য। ক্লোরোমাইসেটিনের কল্যাণে টাইফয়েডের পরিণাম আজ আর অবধারিত মৃত্যু নয়। রঞ্জন-রশ্মি, রেডিয়াম, ক্যানসারের ক্ষতকে নিয়ন্ত্রিত করে, সাপের তীব্র বিষ জীবনদায়ী ওষুধে পরিণত হয়, কলেরা, ধনুষ্টঙ্কারের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দেওয়া হয়,লুই পাস্তুরের সিরাম জলাতঙ্ককে প্রতিরোধ করে। এছাড়া হৃৎপিণ্ড, ব্রেন অপারেশন প্রভৃতি শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের দান অপরিমেয়। অপারেশনের ক্ষেত্রে ল্যাপারসকস্টিক সার্জারি এক অভাবনীয় উন্নতি করেছে।

বিজ্ঞানের দান থেকে কৃষিবিজ্ঞানও বঞ্চিত নয়। উন্নত বীজ, উৎকৃষ্ট সার, কীটনাশক ওষুধ বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে। সে আবিষ্কার করেছে জলসেচের পাম্প মেসিন, বীজ বোনার শস্য ঝাড়াই-মাড়াইয়ের যন্ত্র; ভূমি কর্ষণের জন্য ট্রাক্টর এবং পাওয়ার টিলার তার বিস্ময়কর অবদান। এই সব ক্ষেত্রে পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞানের অনেক সময় সার্থক সমন্বয় ঘটেছে। বিজ্ঞান আজ গবেষণাগারের টেস্ট টিউবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় সে মর্ত্যজীবনকে অবলম্বন করে মহাকাশ অভিযানেও রত। সমুদ্রবিজ্ঞান, আবহাওয়া বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান আধুনিক বিজ্ঞানের কতই না বিভাগ, উপবিভাগ। আসলে জীবনের সর্বত্রই বিজ্ঞান ।

বিজ্ঞান শিক্ষা ব্যবস্থাকে করেছে আধুনিক ও উন্নত। বর্তমানে রেডিও এবং টেলিভিশন ছাড়াও ইন্টারনেট ও কম্পিউটার প্রযুক্তি শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। ঘরে বসেই আজ যেকোনো তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে। আবহাওয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহারে মানুষ প্রকৃতির রোষানল থেকে মুক্তি পেয়েছে। বিজ্ঞান আজ প্রতি মুহূর্তে আমাদের একান্ত সঙ্গী। বিজ্ঞানের বলে মানুষ দুঃখ ও প্রকৃতিকে জয় করেছে। রোবটের আবিষ্কার আজ মানুষের সময় ও শ্রম বাঁচিয়ে দিচ্ছে। টাবলেট কম্পিউটার, ট্যাব, থ্রিজি, ফোর জি ইত্যাদি প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে বিনোদনে ও বিস্ময়ে ভরিয়ে তুলেছে।

তবু, ঈশ্বরের কোন সৃষ্টিই নিখুঁত নয়। যে সূর্য প্রাণ দেয়, সেই আবার দহন করে; যে বিদ্যুৎশিখা দৃষ্টিনন্দন, তারই স্পর্শ মৃত্যু ঘটায়। বিজ্ঞানেরও দুটি দিক আছে—সৃষ্টি ও ধ্বংসের। যে আণবিক শক্তি মানুষের অশেষ কল্যাণ করতে পারে, সেই শক্তির তৈরি বোমাতে হিরোশিমা নাগাসাকির মত সমৃদ্ধ শহর নিমেষে ধ্বংস হয়ে যায়। আধুনিক পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ বিশ্বের মানুষের দৃষ্টিতে সর্বনাশা দুঃস্বপ্নের কালোছায়া ঘনিয়ে তুলেছে। প্রশ্ন জাগছে, তবে কি বিজ্ঞান আশীর্বাদ না, অভিশাপ?

মানব সভ্যতার দ্রুত অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার বিজ্ঞান। বিজ্ঞান মানব জীবনকে সহজ, সরল ও বিনোদনপূর্ণ করে তুলেছে। তবে বিজ্ঞান শুধু উপকার করছে না, তৈরি করেছে নানা সঙ্কট ও আশঙ্কারও। বিজ্ঞানের বলে মানুষ বেকারে পরিণত হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিভিন্ন তেজষ্ক্রিয় পদার্থ মানুষ ও পরিবেশের ক্ষতি করছে। পৃথিবীর ওজন স্তরকে নষ্ট করছে। ফলে পৃথিবীর উত্তাপ বেড়ে যাচ্ছে, মেরু অঞ্চলে বরফ গলা শুরু করেছে। এছাড়াও বর্তমানে পৃথিবীতে বৈজ্ঞানিক অস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার মানুষকে আতঙ্কিত করেছে। সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া যুদ্ধ- বিগ্রহগুলো তার স্পষ্ট প্রমাণ। দেশে দেশে আজ বৈজ্ঞানিক মরণাস্ত্র তৈরি ও পরীক্ষার মহড়া চলছে। ফলে মানব সভ্যতাই আজ ধ্বংস ও হুমকির মুখে পড়েছে। তাই বিজ্ঞান আজ আশীর্বাদ না হয়ে অভিশাপের কারণ হয়ে উঠেছে।

বিজ্ঞানের দ্বারা উদ্ভাবিত মরণাস্ত্রের ব্যবহার মানুষকে তার অস্তিত্ব সম্পর্কে সংশয়াকুল করে তুলেছে। তীর ধনুকের পরিবর্তে মানুষ আজ উদ্ভাবন করেছে ট্যাংক, কামান, মর্টার এবং অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়াও আবিষ্কার করেছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, পরমাণু বোমা, জীবানু বোমা, হাইড্রোজেন বোমা ইত্যাদি। যা মুহূর্তে সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে। ১৯৪৫ সালের ৬ ও ৯ আগস্ট জাপানের হিরোসিমা ও নাগাসাকির ভয়াবহ ধ্বংসলীলাও স্বার্থান্বেষী ক্ষমতালোভী মানুষের হৃদয়কে কোমল করতে পারেনি। আজও রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে আধিপত্য ও শক্তি প্রদর্শনের জন্যে বিজ্ঞানকে কে কত ভয়ংকর ঘাতক করতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে। ভীয়েতনাম, ইরান, ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে অগণিত নিরীহ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আজ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আতঙ্কিত মানুষ শুনছে নক্ষত্রযুদ্ধের কথা, যা আরো ভয়াবহ। ফলে দেখা যাচ্ছে যে সভ্যতার গায়ে বিজ্ঞান বাসা বেঁধেছে, তারই বিনষ্টে আজ সে মেতে উঠেছে। অবশ্য এর জন্য বিজ্ঞান দায়ী নয়, আধিপত্য শক্তি প্রদর্শনকারী, স্বার্থান্বেষী, বর্বর মানুষরাই এর জন্য দায়ী।

বিজ্ঞান এক অফুরন্ত শক্তি ও সম্ভাবনার উৎস। যা মানুষের উপকার ও অপকারে অনায়াসে ব্যবহার করা যায়। বিজ্ঞানের অনাবিষ্কৃত ক্ষেত্র আমাদের জীবনকে দিতে পারে নতুন কোনো সম্ভাবনার আভাস। তাই বিজ্ঞানের শক্তিকে অনাকাক্সিক্ষত খাতে প্রয়োগ থেকে সরে আসতে হবে। বিজ্ঞানের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিৎ করতে হবে। বিজ্ঞানের কারণে সৃষ্টি হওয়া যাবতীয় সমস্যার সমাধানে বিজ্ঞানের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। সর্বোপরি গোটা পৃথিবীতে এক সারিতে দাড়াতে হবে যাতে বিজ্ঞানের কোনো ধ্বংসাত্মক ব্যবহার না হয়। শক্তিশালী দেশগুলোর মজুতকৃত যাবতীয় ধ্বংসাত্মক অস্ত্র বিনষ্ট করতে হবে। তাহলেই বিজ্ঞান অভিশাপ না হয়ে আশীর্বাদে পরিণত হবে। বিজ্ঞানের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে মানব সভ্যতা।

পৃথিবীতে আজ স্বার্থে স্বার্থে বেঁধেছে সংঘাত। বিজ্ঞানের অবদানকে সম্বল করে জঙ্গি আর সন্ত্রাসবাদীরা ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছে। কবির ভাষায় বলা যায়-

“বিজ্ঞান বিজ্ঞান বিজ্ঞতা ঝটকায়
হাজারো নিরীহ প্রাণ
অকারণ বলিদান”
– সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

কিন্তু একটু স্থির হয়ে চিন্তা করলেই বোঝা যাবে, বিজ্ঞানের কোনো দোষ নেই, সে যন্ত্র মাত্র; যন্ত্রী মানুষ তাকে যেভাবে ব্যবহার করবে, তার ফল সেভাবেই ফলবে। মানুষ যদি হিংসা বিদ্বেষ ভুলে বিজ্ঞানকে সর্বমানবের কল্যাণে ব্যবহার করে তবে সে ভবিষ্যতে আমাদের জীবনে ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে আসবে, পৃথিবী হয়ে উঠবে সর্বমুখে ভরা। নাহলে মানবসভ্যতার ধ্বংস অনিবার্য। কিন্তু বিজ্ঞানকে বাদ দিয়ে আজ আমরা জীবনের অস্তিত্ব চিন্তাই করতে পারি না। মানবপ্রীতি ছাড়া বিজ্ঞানশক্তি যেমন ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে, তেমনি বিজ্ঞানশক্তি ছাড়া মানবপ্রেমও হয় অর্থহীন, অক্ষম। যে কোনো পরিকল্পনা বা মানবহিতৈষণাকে সার্থকভাবে রূপায়িত করতে হলে বিজ্ঞানের সাহায্য অবশ্যই প্রয়োজন। তাই সমস্ত বিভেদ, বিসংবাদ ভুলে বিশ্বমানবের কল্যাণে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা আগামী দিনে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ হোক—এই প্রার্থনা।

বিজ্ঞান অবশ্যই মানব সভ্যতার জন্য কল্যাণময়ী। কতগুলো স্বার্থান্বেষী নরপিশাচ মানুষই বিজ্ঞানকে মানুষের অকল্যাণে নিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানকে আশীর্বাদ থেকে অভিশাপে পরিণত করেছে। বিজ্ঞান যেন এ যুগের তিলোত্তমা যার হাতে আছে অমৃতভান্ডার কিন্তু তার নয়ন কটাক্ষে প্রলয়। তাই মানুষের জীবনে বিজ্ঞানের সার্থক ও ইতিবাচক প্রয়োগ ঘটাতে হবে। বিজ্ঞানের অপব্যবহার রোধে সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে সঠিক পথে পরিচালনা করলেই মানব সভ্যতার অগ্রগতি নিশ্চিত হবে।

বিজ্ঞানের সঠিক প্রাঞ্জল ব্যবহার বাঁচতে শেখাবে আমাদেরকে। বিজ্ঞানের সঠিক ব্যবহার বিশ্ব মানবকে এক নতুন পথের দিশা দেখাবে। বিজ্ঞানের সঠিক ব্যবহার না হলে প্রকৃতি একদিন আমাদের ভয়ংকর কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে বাধ্য করবে। আমাদের উচিত বিজ্ঞানের সঠিক ব্যবহার করে আর্শীবাদের সিংহাসন প্রতিষ্ঠিত করা।