পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
কলমে – শ্রেয়সী মিশ্র, এম.এ(বাংলা), মেদিনীপুর কলেজ
★ ভূমিকা :-
আদিম সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই মানুষ সহ সকল প্রানী জগৎ পরিবেশের সাথে একসূত্রে গাঁথা হয়ে রয়েছে। পরিবেশের প্রতিটি উপাদান ছাড়া মানবজীবন কল্পনা করা অসম্ভব। গাছপালা, নদী নালা, সমভূমি, মরুভূমি সবকিছুরই বিশেষ বিশেষ ভূমিকা রয়েছে মানব জীবনে। এবং একে অপরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত। অমূল্য সম্পদের ভান্ডার হল আমাদের এই পরিবেশ, এই পরিবেশ ই তার সবটুকু উজাড় করে আমাদের কে এবং সকল প্রানী জগত কে বাঁচিয়ে রেখেছে। সেই আদিম কাল থেকে মানুষ কখনো পরিবেশের বুকে আশ্রয় খুঁজে নিয়েছে তার, আবার কখনো পরিবেশের উপাদান দিয়ে জ্বালিয়েছে আগুন, কখনো আবার খাদ্যের ও জোগান করেছে। ক্রমে ক্রমে আদিম যুগ থেকে আজ আমরা এসে পৌঁছেছি একবিংশ শতাব্দীতে,সমান ভাবে আমাদের প্রকৃতি, আমাদের পরিবেশ আজ ও আমাদের সহায় হয়ে রয়েছে। তবে হ্যাঁ বিশুদ্ধতার দিক দিয়ে বিচার করলে হয়তো আমরা এই সময়ে পিছিয়ে আছি ।তার একমাত্র কারণ এই তথাকথিত শিক্ষিত মানুষরাই। পরিবেশের সকল উপাদান কে অবলীলাক্রমে করে চলেছে কলুষিত, বায়ু কে করে তুলছে বিষাক্ত। ধীরে ধীরে যত শ্লথ গতিতে মানুষ এই ধরিত্রী কে শস্যশ্যামলা করেছিল ,ঠিক তার বিপরীত দ্রুত গতিতে করে চলেছে দূষিত, বিষাক্ত এক চাদরে মুড়ে দিচ্ছে আমাদের পুরো পৃথিবী কে। এই নগরায়নের যুগে এসে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ও নিজের সময় বাঁচানোর জন্য ব্যবহৃত সকল অত্যাধুনিক জিনিস ব্যবহার করে মানুষ সুজলা সুফলা এই পৃথিবী থেকে ক্রমশ হারিয়ে ফেলছে তার সকল সৌন্দর্য। মানুষ নরকীয় হয়ে যতই খারাপ কাজ করবে, পরিবেশ ঠিক ততটাই ফেরত দেবে, সেটা মানুষ ভুলে যায়। মানুষ কী কখনো কল্পনা করে দেখে না? কেমন হবে সে পৃথিবী? যেখানে জলের অভাবে প্রানহানি ঘটবে, যেখানে প্রান খুলে শ্বাসপ্রক্রিয়া না চালাতে পেরে সবাই কে হাতে হাতে ঘুরতে হবে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে, তাপমাত্রা এতোটাই শীর্ষে যাবে যখন ঘর থেকে বেরোনো টাই হয়ে উঠবে দায়। তখন মানুষ পারবে তো নিজের অস্তিত্ব টুকু বাঁচিয়ে রাখতে? সবুজ আভাময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পৃথিবী ধীরে ধীরে চলেছে এক প্রগাঢ় অন্ধকারের মুখে। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মননে পরিবেশের এই ক্ষীয়মান রুগ্ন রূপ ধরা দিয়েছিল অনেক আগেই। তার প্রভাব পেয়েছি আমরা তাঁর লেখনীর মধ্য দিয়ে, ‘সভ্যতার প্রতি’ কবিতায় জানানো তাঁর দাবির মধ্য দিয়ে ও —
“দাও ফিরে সে অরণ্য,লও এ নগর
লও যত লৌহ লোষ্ট্র,কাষ্ঠ ও পাথর
হে নবসভ্যতা! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্ৰাসী
দাও সে তপোবন পুন্যচ্ছায়ারাশি।”
কবি উদাত্ত ভাবে গ্ৰাম্য জীবন ফিরে পাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর চিত্তে বহুদিন আগে ধরা দিয়েছিল পরিবেশের এই বীভৎস রূপ।
★ পরিবেশে দূষণ কয় প্রকার ও কী কী :-
আমাদের চারপাশে অবস্থিত সকল প্রানী জগৎ সহ, নদী নালা, পুকুর,গাছপালা, ঘরবাড়ি, সমভূমি, মরুভূমি, পাহাড় , সকল কিছু নিয়েই আমাদের পরিবেশ। এই পরিবেশের অন্তর্গত সকল উপাদান ই প্রতিনিয়ত ধ্বংসের দিকে অগ্ৰসর হচ্ছে মানুষের হাত ধরে। প্রকৃতি প্রদত্ত অমূল্য এই সম্পদ কে মানুষ নানা ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে করছে কলুষিত। দূষিত বা দূষণ অর্থে অনুপোযোগী, ক্ষতিকারক কিছু কেই আমরা বুঝি। এই পরিবেশ দূষনের প্রক্রিয়া টা সম্পন্ন হচ্ছে মানুষের দ্বারা। দূষনের প্রকারভেদ বলতে গিয়ে আমরা বলতে পারি
১) জলদূষণ : – আমাদের জীবনে এক অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হল জল।জল ছাড়া কোনো জীবন কল্পনা করা কখনোই সম্ভব নয়। এককথায় বলতে গেলে জল ই জীবন। একটা চাতক পাখি ও আকাশ পানে চেয়ে থাকে এক ফোঁটা জলের প্রত্যাশায়। কিন্তু এই সমাজ কোনো ভবিষ্যৎ কল্পনা না করেই চালিয়ে যাচ্ছে বিধ্বংসী কর্মকান্ড। পারমাণবিক চুল্লি বা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ, চাষের প্রয়োজনে জমিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন কীটনাশক মা ধুয়ে ধুয়ে বিভিন্ন জলাশয়ে মিশছে, বায়ুদূষণের ফলে বিভিন্ন সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড প্রভৃতি বায়ুতে মিশে অম্ল বৃষ্টির মাধ্যমে জলাশয় দূষন, এছাড়া ও গৃহস্থালীর বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আগত বিভিন্ন দূষিত পদার্থ, বিভিন্ন শিল্প বা কারখানায় পেট্রো রসায়ন শিল্পে, পলিথিন বা প্লাস্টিক শিল্পে ব্যবহৃত প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ যেমন- পারদ, সীসা, জিংক প্রভৃতি জলাশয়ে মিশে জলকে দূষিত করে তুলেছ ক্রমান্বয়ে।
২) বায়ু দূষণ : – মানুষ ও সমগ্ৰ জীবমন্ডলের বেঁচে থাকার জন্য সর্বাগ্ৰে প্রয়োজন বিশুদ্ধ বায়ু।শিল্প বিপ্লব, পারমানবিক বিস্ফোরন, যানবাহনের ধোঁয়া, কলকারখানার বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়ে বায়ু র সাথে মিলিত হয়ে বায়ু কে দূষিত করছে । বায়ুদূষণের অন্যতম কারন হল অত্যাধিক গাছ কেটে ফেলা । এইসকল কারনে বায়ু তে বিভিন্ন গ্যাস যেমন – কার্বন মনোক্সাইড, সালফার -ডাই -অক্সাইড এর পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৩) মৃত্তিকা দূষণ : – পরিবেশের বাকি সকল উপাদান গুলির মতো গুরুত্বপূর্ণ আর একটি হল মৃত্তিকা। যার ওপর আমরা ইচ্ছেমতো বানিয়ে যাচ্ছি বড় বড় সব বাড়ি ,যার ওপর জায়গা করে নেয় সকল ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রানী। সেই মাটি টুকু ও রেহাই পারছে না এই অমানবিক ক্রিয়াকলাপ এর হাত থেকে। মানুষ ও জীবজন্তুর কঠিন ও তরল বর্জ্য পদার্থ, কয়লা ও অন্যান্য খনিজ পদার্থের প্রক্রিয়াকরনের বর্জ্য পদার্থ সব মাটিতে জমিয়ে রাখা , গৃহস্থালীর ও শিল্প কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ মাটিতে নিক্ষেপ করা, হাসপাতাল বিভিন্ন গবেষণা গারের নিক্ষিপ্ত পদার্থ মাটিতে মিশে এছাড়া বায়ু দূষণের ফলে ঘটিত অম্ল বৃষ্টি মৃত্তিকার গুনগত মান কমিয়ে মাটি কে দূষিত করছে।
৪) শব্দ দূষণ — ট্রাম, ট্রেন,ট্যাক্সি, বিভিন্ন যানবাহনের আওয়াজে রীতিমতো ঘটছে শব্দদূষণ । এছাড়া সাধারণ বিমান, জেট বিমান ,যুদ্ধ বিমান প্রভৃতি তীব্র গতিতে চললে রে আওয়াজ সৃষ্টি হচ্ছে,তার থেকে ও ঘটছে শব্দদূষণ । বিভিন্ন গোলাবারুদ এর আওয়াজ থেকে ও ঘটে শব্দদূষণ।
★ প্রতিকারের উপায় :-
মানব সমাজ এর কথা মাথায় রেখে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাভাবিক জীবন যাপনের কথা মাথায় রেখে, পরিবেশ দূষণের প্রক্রিয়া কে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রনে আনা না গেলে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে দোষী সাব্যস্ত হয়েই থাকতে হবে আমাদের প্রজন্ম কে। বিভিন্ন দূষণের প্রতিকারের উপায় গুলি নিম্নরূপ
ক) জল দূষণের প্রতিকারের উপায় —
১) কৃষি জমিতে রাসায়নিক সার , কীটনাশক ও আগাছা নাশক যথাসম্ভব কম পরিমাণে ব্যবহার কম করলে, কৃষি জমি থেকে ধুয়ে আসা পদার্থ জলে না মিশলে,জলদূষনের পরিমাণ অনেক টা কমবে।
২) তাপ ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও লৌহ ইস্পাত কেন্দ্র গুলি থেকে নির্গত জল একটি শীতল করে নদী বা সমুদ্রের ফেললে জলের ভৌত ধর্ম বজায় থাকবে।
৩) সমুদ্রের অগভীর অংশ থেকে খনিজ তেল উত্তোলন ও খনিজ তেল পরিবহনের সময় যাতে তেল সমুদ্রে না পড়ে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
খ) বায়ু দূষণ প্রতিকারের উপায় —
১) যানবাহনের পুরোনো ইঞ্জিন বাতিল বা সংস্কার করতে হবে।
২) চুল্লী থেকে কোনো কণা যাতে সরাসরি বাতাসে না মেশে সেদিকে নজর দিতে হবে।
৩) বনসম্পদ ধ্বংস না করে জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে।
গ) মৃত্তিকা দূষণ প্রতিকারের উপায় —
১) কোনোরকম অপচনশীল বস্তু মাটিতে ফেলা যাবে না
২) কৃষি কাজে অত্যাধিক রাসায়নিক সার, কীটনাশক এর ব্যবহার কম করার দিকে খেয়াল রাখা।
৩) সেচের কাজে ভৌম জলের পরিবর্তে, নদী নালা ও পুষ্করিনীর জল ব্যবহার করা।যাতে জমির লবণতা বৃদ্ধি জনিত সমস্যা দূর করা যায়।
ঘ) শব্দদূষণ প্রতিকারের উপায় –
১) শব্দবাজি পোড়ানো বন্ধ করতে হবে।
২) যানবাহনে শব্দ দূষণ কমানোর জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার করতে হবে।
৩) উচ্চ আওয়াজে মাইক বাজানো বন্ধ করতে হবে।
★ পরিবেশ রক্ষায় দৃষ্টান্তমূলক কর্মসূচি :-
এখনো চোখ মেলে দেখলে এতো অমানবিকতার ভিড়ে ও বহু মানুষ কে দেখতে পাওয়া যায় যাঁরা প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছেন। নিজের সাথে সাথে অন্যের মধ্যে ও পরিবেশ নিয়ে সচেতনতার বোধ আনার চেষ্টা করে চলেছেন নিয়মিত। তাঁদের মধ্যে নানান দৃষ্টান্তমূলক কাজ কর্ম করেছেন এবং বিভিন্ন আন্দোলনে সামিল হয়েছেন, সেই আন্দোলন গুলির মধ্যে অন্যতম হল-
◆ চিপকো আন্দোলন –এটি একটি বন সংরক্ষন কএন্দ্রইক আন্দোলন। উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল ও কুমায়ুন হিমালয়ের অন্তর্গত চামোলি জেলায় চিপকো আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। আন্দোলনের কেন্দ্রে ছিলেন সুন্দরলাল বহুগনা, তাঁর নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ গাছ কে আঁকড়ে রেখে, কেটে ফেলা থেকে বাঁচিয়ে ছিলেন।১৯৭৩ সালে শুরু হয়েছিল এই আন্দোলন। অরন্য কে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন সকল গ্ৰামবাসী এবং ইতিহাসের খাতায় এক নজরকাড়া ঘটনার উদ্ভব করতে পেরেছিলেন।
এছাড়া বিভিন্ন পুরস্কারে ও ভূষিত হয়েছেন বহু ব্যক্তি। এমন কিছু ব্যক্তিত্বের মধ্যে আছেন –
১)সালুমারাদা থিমাক্কা , তিনি আলা মারাদা থিমাক্কা নামেও পরিচিত। কর্ণাটক রাজ্যের একজন ভারতীয় পরিবেশ বিদ। যিনি ৪৫ কিলোমিটার হাইওয়েতে ৩৮৫ টি বটগাছ রোপন ও পরিচর্যার জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও তিনি ৮০০০ টি অন্যান্য গাছ লাগিয়েছেন। তাঁর এই দৃষ্টান্তমূলক কাজের জন্য তাঁকে ২০১৯ সালে ভারত সরকার কর্তৃক ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছিল।
২) তুলসী গৌড়া, কর্ণাটক রাজ্যের হোনালি গ্ৰামের একজন ভারতীয় পরিবেশ বিদ। তিনি ৩০,০০০ এর ও বেশি তারা রোপন করেছেন, এছাড়া বনবিভাগের নার্সারি দেখাশোনা করেছেন। ২০২১ সালে তিনি ভারত সরকার কর্তৃক ‘পদ্মশ্রী’পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।
৩)ওয়াঙ্গারি মাথাই , যিনি পরিবেশ বিষয়ক দৃষ্টান্তমূলক কাজে নিয়োজিত হয়ে ২০০৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়ে প্রথম আফ্রিকান নারী হয়ে উঠেছিলেন।
*পরিবেশ রক্ষায় ছাত্রসমাজের ভূমিকা :- ভবিষ্যৎ প্রতিষ্ঠার অন্যতম পথিকৃৎ হল ছাত্রসমাজ। তাদের মধ্য দিয়ে ও সম্ভব পরবর্তী প্রজন্ম কে প্রান খুলে বাঁচার ব্যবস্থা করে দেওয়া।অগ্ৰ গতির দূত এই ছাত্রসমাজ। পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে সকল স্তরের মানুষের ভূমিকা থাকলে ও, ছাত্র সমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সমস্যা আছে মানে তার প্রতিকার ও আছে। ছাত্র সমাজে এগিয়ে এসে হাল টা ধরলেই আবার ফিরে আসবে সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা পৃথিবী। ছাত্র সমাজ এই কাজের জন্য আলোচন সভার আয়োজন করতে পারে। সেখানে তারা বৃক্ষরোপণ,শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের সচেতনতা, জল ও বাতাস কে দূষণ মুক্ত রাখার জন্য মানুষ কে বোঝানোর চেষ্টা। পরিকল্পিতভাবে বিদ্যালয়ে বা পড়ে থাকা জমিতে বৃক্ষরোপণ। এইসবের মাধ্যমে তারা পরিবেশকে এক সবুজ আভায় মুড়ে ফেলতে পারে।
★ উপসংহার :-
পরিবেশকে চালনা করার ক্ষমতা কারোর নেই। মানব সমাজ যদি কল্পনা করেই থাকেন যে, এই অবারিত সম্পদের ভান্ডার কোনো দিন দূষিত হয়ে নিঃশেষ হবে না, বা কোনোদিনই ফুরোবে না, তাহলে নিতান্তই ভুল ধারণা পোষণ করে আছেন। কবে, কখন হঠাৎ করে পরিবেশ এক লহমায় পাল্টা জবাব দিয়ে ফেলবে তা কল্পনার ও বাইরে। আজ সচেতন না হলে আমাদের এই পৃথিবী একদিন পোড়ো বাড়ির ন্যায় রূপ ধারণ করবে, তাতে বাস করা তো দূর যার ভয়ঙ্কর রূপ ও গভীর আর্তনাদ প্রত্যেক টা মানব জীবনের অস্তিত্ব কে ও ধুলিসাৎ করে ফেলবে। আমাদের পুরো সমাজ এর উচিত পরস্পর পরস্পরের সাথে থেকে এক হয়ে পরিবেশের প্রত্যেকটি উপাদান কে সন্তানতুল্য মনে করে তার পরিচর্যা করা ও দূষনমুক্ত রাখা। তাহলেই সম্ভব এতো পশু- পাখি, কীটপতঙ্গ, পরিবেশ সহ প্রত্যেকটি উপাদান, মানবজীবন সহ পুরো পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা।