প্রথম প্রতিশ্রুতি উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর
॥ পর্ব – ১ ॥
(১)
১) লেখিকা সত্যবতীর গল্প পেয়েছিল – বকুলের খাতা থেকে।
২) বকুল – সুবর্ণলতার মেয়ে।
৩) সংসারে বকুলের ভূমিকা – অপরাধীর মতো।
৪) কাহিনির শুরুতে সত্যবতীর বয়স – ৮ বছর।
৫) গ্রামে ‘নাড়ি টেপা বামুন’ নামে পরিচিত – রামকালী।
৬) অপ্রতিহত প্রতাপে পাড়াসুদ্ধ ছেলেমেয়েদের দলনেত্রী – সত্যবতী।
৭) সত্যবতীর যথেচ্ছাচারের ওপর কারো এঁটে উঠতে না পারার কারণ – রামকালীর প্রশ্রয়।
৮) রামকালীর বাড়ির নাম – নাড়ি টেপার বাড়ি।
৯) রামকালীর বাবার নাম – জয়কালী।
১০) ছোট রামকালীকে তার বাবা ভার দিয়েছিল – জনার্দনের পুজো আরতি করার।
১১) রামকালীল বাড়ির গৃহদেবতা – জনার্দন।
১২) জনার্দনের পুজো করার সময় রামকালী যে ভুল করেছিল – জল দেয়নি খেতে।
১৩) রামকালীর এই ভুল প্রথম যার নজরে পড়ে – রামকালীর পিসঠাকুমা যশোদা।
১৪) রামকালীকে তার বাবা মেরেছিল – খড়ম দিয়ে।
১৫) নাড়ি টেপার বাড়ি নাম হবার আগে ঐ বাড়ির নাম – চাটুয্যে বাড়ি।
১৬) রামকালীকে গ্রাম্য যুবকটি দেখেছিল – মুকশাবাদে।
১৭) নবাব বাড়ির কবিরাজের নাম – গোবিন্দগুপ্তর বাড়িতে।
১৮) রামকালী গৃহত্যাগ করে যার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল – গোবিন্দ গুপ্তের বাড়িতে।
১৯) রামকালী গোবিন্দ গুপ্তর থেকে শিখেছিল – কবিরাজি বিদ্যা।
২০) রামকালীর বেঁচে থাকার খবর পেয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়েছিল – জয়কালী।
২১) রামকালীর মা – দীনতারিণী।
২২) রামকালীর মা – জয়কালীর দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী।
২৩) রামকালীর বেঁচে থাকার সত্যতা যাচাই করতে গিয়েছিল – কুঞ্জকালী ও জয়কালীর এক ভাগ্নে।
২৪) কুঞ্জকালী – জয়কালীর প্রথম পক্ষের বড় ছেলে।
২৫) গোবিন্দ গুপ্ত বৃদ্ধাকালে যেখানে থাকতে চায় – কাশীবাসে।
২৬) রামকালীর ব্যবহার করা পালকিটা – গোবিন্দ গুপ্তের।
২৭) রামকালী মানুষ হয়ে ফিরে আসাটা দেখাতে পারল না – জয়কালীকে।
২৮) ব্রাহ্মণ জনোচিত পেশা ছেড়ে রামকালী বেছে নিয়েছে – আয়ুর্বেদ।
২৯) রামকালীকে ‘বামুনের ঘরের চাঁড়াল’ বলেছিল – জয়কালী।
(২)
৩০) রামকালী দেশে ফিরে বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রণামি দিয়েছিল – একজোড়া ধুতি আর নগদ ২টাকা।
৩১) রামকালী বিয়ে করেছিল – ৩০বছর বয়সে।
৩২) রামকালীকে কন্যাদান করেছিল – ফেলু বাড়ুয্যে।
৩৩) রামকালীর স্ত্রী – ভুবনেশ্বরী।
৩৪) ভুবনেশ্বরীর বিয়ে হয়েছিল – ৯ বছর বয়সে।
৩৫) রামকালী নিজের বিয়ের খরচের জন্য দীনতারিণীকে দিয়েছিল – ৫০০টাকা।
৩৬) সত্যবতী যখন জন্মায় তখন রামকালীর বয়স – ৪৫/৪৬বছর।
৩৭) সত্যবতী যখন জন্মায় ভুবনেশ্বরীর বয়স – ১৫/১৬ বছর।
(৩)
৩৮) নিরামিষ ঘরে থাকার অধিকারী – দীনতারিণী, শিবজায়া, কাশীশ্বরী ও মোক্ষদা।
৩৯) নিরামিষ ঘরে রান্নার দায়িত্ব – দীনতারিণীর।
৪০) সত্যবতী ঠাকুমার থেকে চাইতে এসেছিল – পান্তাভাত।
৪১) সত্যবতী পান্তাভাত চাইতে এসেছিল – মানপাতা করে।
৪২) সত্যবতী পান্তাভাত চেয়েছিল – মাছ ধরবে বলে।
৪৩) সত্যবতী মাছের টোপ করবে – কেঁচো ও পান্তাভাত দিয়ে।
৪৪) সত্যবতীকে ছিপ তৈরি করে দিয়েছে – নেড়ু।
৪৫) আমিষ হেঁশেলে দিনে দু’বেলা পাত পড়ে – ২০০-২৫০ লোকের।
৪৬) সত্যদের আমিষ হেঁশেল দায়িত্বে পড়ে – সত্যর বড় জেঠীর।
(৪)
৪৭) উপন্যাসের কাহিনিটি শুরু হয়েছে – চৈত্রের শেষ থেকে।
৪৮) সত্যবতী যে গরুদুটোকে ডাকছিল তার নাম – শ্যামলী ও ধবলী।
৪৯) রায়মহাশয়ের গঙ্গাযাত্রার জন্য রামকালী ধার দিয়েছিলেন – পালকি।
৫০) রায়মহাশয়ের বয়স – ৯২বছর।
৫১) রায়মহাশয়কে যে গঙ্গায় নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত হয়েছিল – ত্রিবেণীর গঙ্গায়।
৫২) রায়মহাশয়কে গঙ্গায় নিয়ে যাবে – তার তিন নাতি।
৫৩) রামকালীর নিত্যকর্মের প্রধান কর্ম – ২ক্রোশ হাঁটা।
৫৪) জটা তার বউকে চেয়েছিল – পান
৫৫) সত্য তার বাবাকে যার নাড়ী ছেড়ে যাবার খবর দিয়ে ডাকতে এসেছিল – জটাদার বৌয়ের।
৫৬) জটার বাড়িতে সত্যর সঙ্গে গিয়েছিল – পুণ্যি ও নেড়ু।
৫৭) কৈফিয়ৎ দিয়ে কথা রামকালী একমাত্র বলে – সত্যবতীকে।
৫৮) রামকালী জটার বউকে খাইয়েছিল – স্বর্ণসিঁদুর।
৫৯) মৃত ভেবে জটার বৌকে শোয়ানো হয়েছিল – তুলসী তলায়।
৬০) নেড়ু কুঞ্জর ১৪সংখ্যক ছেলে।
৬১) সত্যবতীর একান্ত আপত্তি – হেরে যেতে।
৬২) সত্যবতীর খেলাঘর – চিলেকোঠার ছাদের ওপর।
৬৩) ‘বৌঠাঙানো দাদার পিঠে ব্যাঙে মারুক লাথি’ সত্য যার সম্পর্কে এই ছড়া করেছে – জটাদা।
(৫)
৬৪) মোক্ষদা রোদের মধ্যে বসেছিল – আমতেল মাখতে।
৬৫) বকুল গাছের ছায়াটা সরে গেছে – দাওয়া থেকে।
৬৬) মোক্ষদা বসেছিল – তসরের শাড়ি পড়ে।
৬৭) মোক্ষদার রোদের হাত থেকে পিঠ রক্ষা করেছিলেন – খুঁটির ছায়ায়।
৬৮) বদ্যি চাটুয্যের বাড়ির দুর্গোৎসবের যে জিনিসটা বিখ্যাত – তিলের নাড়ু।
৬৯) তিলের নাড়ুটা যার ডিপার্টমেন্ট – মোক্ষদার।
৭০) মোক্ষদা দিনে স্নান করে – ১৪-১৫বার।
৭১) পুজোর মরশুম যেতে না যেতেই যার কাজ শুরু করে মোক্ষদা – বড়ির।
৭২) বছরে বদ্যি চাটুয্যের বাড়িতে বড়ি তৈরি হয় – ১২-১৪ মণ।
৭৩) মাঘ মাসে যে জিনিস খাওয়া গো মাংস খাওয়ার সমান – মুলো খাওয়া।
৭৪) বড়ির পর মোক্ষদার কাজ হয় – কুল, তেঁতুল নিয়ে।
৭৫) যে দিন তেষ্টার কথাটা মনে আনা পাপ – একাদশীর দিন।
৭৬) সত্যর ছড়া বাঁধার খবর মোক্ষদাকে দিয়েছিল – শিবজায়া।
৭৭) জটার বৌয়ের জন্য রামকালী ওষুধ পাঠিয়েছিল – সত্যকে দিয়ে।
৭৮) পাঠানো ওষুধ খাবার কথা বলেছে – পান বাটা রসের সঙ্গে।
(৬)
৭৯) রামকালীকে কলমের আম দিয়েছিল – জিরেটের জমিদার।
৮০) রামকালীর পালকির প্রধান বেহারা – গদাই ভুঁইমালী।
৮১) জিরেটে রোগী দেখতে গিয়ে রামকালী গ্রাম ছাড়া – ৪দিন।
৮২) পালকির বেহারাদের জাতীয় পোষাক – মোটা সাতহাতি খেঁটে।
৮৩) খেঁটে হল – ধুতির সংক্ষিপ্ত সংস্করণ।
৮৪) বিয়ের বরের পালকি দেখতে গিয়ে রামকালীর বেহারারা পালকি নামিয়েছিল – পাকুড় গাছের তলায়।
৮৫) যে বিয়ের বরের সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়েছিল তার নাম – রাজু মুখোপাধ্যায়।
৮৬) বিয়ের বরের বাড়ি – বলাগড়।
৮৭) বিয়ের বর জাতিতে – মুখুটি কুলীন।
৮৮) রামকালীর পায়ের ধুলো নিয়েছিল – বরের জ্যাঠা।
৮৯) বরের পিতামহ ও প্রপিতামহের নাম – ৺গঙ্গাধর মুখোপাধ্যায় ও গুণধর মুখোপাধ্যায়।
৯০) বরের অসুস্থতা রামকালী বুঝতে পেরেছিল – কপালের চন্দনরেখা দেখে।
৯১) বরের মধ্যে রামকালী যার লক্ষণ দেখেছিল – শিরঃশূলী সান্নিপাতিক।
৯২) রামকালীর কথা অগ্রাহ্য করেছিল – বরের পিসেমশাই।
৯৩) বর বিয়ে করতে যাচ্ছিল – পাটমহলের লক্ষ্মীকান্ত বাড়ুয্যের বাড়ি।
(৭)
৯৪) সত্যবিহীন খেলা ওদের দলের লোকের কাছে – শিবহীন দক্ষযজ্ঞের শামিল।
৯৫) সত্য তার সমস্ত সঙ্গিনীদের কাছে প্রাণের দেবতা হবার কারণ – সত্যর নির্ভীকতা।
৯৬) আমের নেশাকে গিন্নীরা বলেন – আমের মদ।
৯৭) যিনি আমকে জগন্নাথের নামে উৎসর্গ করেছে – হর ভটচাযের মা।
৯৮) ঢাউশ ফজলী আমটা যাদের খাবার জন্য – কর্তাদের।
৯৯) বৌ ঝি ছেলেপুলেদের জন্য যে আম থাকে – রাশির আম।
১০০) বেলসুবাসী আম থাকে যাদছর জন্য – গিন্নীদের।
১০১) যে আমগুলো পার করার সহজ উপায় মুঠো মুঠো নুন – মধুকুলকুলি, বৌপালানে বা বাদর ভ্যাবাচ্যাকা আম।
১০২) আম খাবার জন্য যার দোকান থেকে সত্য নুন আনত – চরণ মুদি।
১০৩) সমাজে সত্যর প্রতিষ্ঠা আছে – কবরেজের মেয়ে হিসাবে।
১০৪) সত্যর সঙ্গিনীদের মধ্যে কল্পনাপ্রবণ – খেদি।
১০৫) সত্য যাকেমেয়ে জাতের কলঙ্ক বলেছিল – জটাদার বৌকে।
১০৬) রামকালীর ঘোড়ার পিঠে চাপিয়ে যাকে নিয়ে গিয়েছিল – রাসুকে।
১০৭) রামকালীর যে কাজ সত্যর নিয্যস অন্যায় মনে হয়েছে – রাসুর দ্বিতীয় বিয়ে দেওয়া।
(৮)
১০৮) বিয়ে করতে আসা বরের অসুস্থতার সংবাদ পাটমহলে দিয়েছিল – রামকালী।
১০৯) পাটমহলে যার বিয়ের আয়োজন হয়েছিল – লক্ষ্মীকান্ত বাড়ুয্যের নাতনির।
১১০) লক্ষ্মীকান্ত বাড়ুয্যের নাতনির নাম – পটলী।
১১১) পটলীর বয়স – ৮বছর।
১১২) পটলীর মায়ের নাম – বেহুলা।
১১৩) পটলীর বিয়ের আয়োজনের মধ্যে আসা দুঃসংবাদের জন্য যে নিজেকে দায়ী করছে – পটলীর মা।
১১৪) পটলীর মায়ের নাম – বেহুলা।
১১৫) পটলীর বাবার নাম – শ্যামাকান্ত বাড়ুয্যে।
১১৬) বিবাহবিভ্রাট নাটকের প্রধান নায়িকা – পটলী।
১১৭) পটলীর সঙ্গে বিয়ে দেবার জন্য প্রথম যার প্রস্তাব এসেছিল – দয়াল মুখুয্যে।
১১৮) দয়াল মুখুয্যের সঙ্গে পটলীর বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল – রাখহরি ঘোষাল।
১১৯) দয়াল মুখুয্যের যে রোগ আছে – হাঁপানি।
১২০) হাঁপানিকে জীওজ ব্যধি বলেছেন – রাখহরি ঘোষাল।
১২১) বে মালিক সুন্দরী যুবতীদের পক্ষে উপযুক্ত স্থান – কাশী।
১২২) পটলীকে নিয়ে কাশীবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল – লক্ষ্মীকান্ত বাড়ুয্যে।
(৯)
১২৩) বিবাহবিভ্রাট থেকে পটলীকে বাঁচাতে রামকালী পটলীর স্বামী হিসাবে নির্বাচন করেছিল – রাসুকে।
১২৪) রাসুর প্রথম স্ত্রীর নাম – সারদা।
১২৫) বিয়ের মন্ডপে দাঁড়িয়ে রাসু যে সত্য আবিষ্কার করেছিল – মানুষ কি অদ্ভূত নির্বোধ জীব।
১২৬) রাসু সারদার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিল – সারদা বেঁচে থাকতে রাসু আর বিয়ে করবে না।
১২৭) রামকালী চাটুয্যের বাড়ির দরজা যে কাঠের – কাঁঠাল কাঠের।
১২৮) রামকালীর সংসারে যে দু’জন অখন্ডপোয়াতি – নন্দরাণী ও কুঞ্জর বৌ।
১২৯) বৌছত্র আঁকার আলপনার জন্য চাল লাগে – এক সের পাঁচ পো।
১৩০) বৌছত্র আলপনা আঁকার জন্য চাল ভিজিয়েছিল – রামকালীর খুড়ি নন্দরাণী।
১৩১) নন্দরাণী – রামকালীর জেঠতুতো খুড়ি
১৩২) রাসুর দ্বিতীয় বিয়ের আগমনে দুধ ওথলানোর দায়িত্ব পড়েছিল – সারদার ওপর।
১৩৩) শুভকর্মের যে দুটো কাজে বিধবাদের সমাজপতিরা ছাড় দিয়েছেন – শাখ আর উলু।
১৩৪) বর বউয়ের গৃহপ্রবেশে দুধ ওথলানোয় জ্বাল দিয়েছিল – সত্য।
১৩৫) রামকালীর মুখের ওপর হক কথা শুনিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে একা – মোক্ষদা।
১৩৬) দুধ জ্বাল দিতে গিয়ে হাতে ফোস্কা পড়েছিল – সত্যর।
১৩৭) রামকালীকে সত্য যে ব্রতর কথা বলেছিল – সেঁজুতি ব্রত।
১৩৮) সেঁজুতি ব্রত করতে হয় – সতীনকাঁটা উদ্ধারের জন্য।
১৩৯) মেয়েমানুষ জাতটাকে রামকালীর মনে হয়েছে – কুয়োর গোড়া।
১৪০) সারদা জলে ডুবে আত্মহত্যা করার সংকল্পের কথা জানিয়েছে – সাবিপিসিকে।
(১০)
১৪১) মেয়েমানুষ জাতটার প্রতি রামকালী উপলব্ধি করতে পারে না – সম্ভ্রমবোধ ও সম্যক মূল্যবোধ।
১৪২) জলে ডুবে মরতে চাওয়া মানুষটি আসলে – কাটোয়ার বৌ।
১৪৩) কাটোয়ার বৌকে রামকালী যে ভেবে ভুল করেছিল – সারদা ভেবে।
১৪৪) কাটোয়ার বৌয়ের নাম – শঙ্করী।
১৪৫) শঙ্করীর সেদিন যে কাজ করার কথা ছিল – লক্ষ্মীর ঘরে সন্ধে দেবার পালা।
১৪৬) কাটোয়ার বৌ যার বিধবা নাতবৌ – কাশীশ্বরী।
১৪৭) বিধবাদের আচার অনুযায়ী রাতে চালভাজা খেলে তার সঙ্গে যে জিনিস আলাদা পাত্রে রেখে খেতে হয় – শশা।
(১১)
১৪৮) শঙ্করীকে নিয়ে পালাতে চেয়েছিল – নগেন।
১৪৯) নগেন – শঙ্করীর কাকিমার বোনপো।
১৫০) শঙ্করী বিধবা হবার যত বছর পর শ্বশুরবাড়ি আসে – ১৮বছর।
১৫১) শ্বশুরবাড়ি আসা আগের দিন শঙ্করী নগেনের সঙ্গে দেখা করেছিল – আমবাগানে ভরদুপুরে।
১৫২) শঙ্করী শ্বশুরবাড়ি এসেছিল – ফাল্গুন মাসে।
১৫৩) শঙ্করী কাকিমাকে যেখানে যাচ্ছি বলে নগেনের সঙ্গে দেখা করেছিল – বকুল ফুলের বাড়ি যাবার অজুহাতে।
১৫৪) শঙ্করীর মনে অপরাধের জায়গা হয়ে আছে – আমবাগান।
(১২)
১৫৫) রাসুর বিয়ে উপলক্ষে শঙ্করীর বাপের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করতে গিয়েছিল – নাপিত বৌ আর রাখু।
১৫৬) বাগদী বৌ বাসন মাজতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছিল – ডাল খাবার বাটি।
১৫৭) বাগদি বৌ গলায় কাপড় দিয়ে প্রণাম করেছিল – সত্যকে।
১৫৮) দাগা দাগা রুই মাছ আর আম বাঘড়ার টক কাজ করছে যার মনে – সারদার।
১৫৯) সারদা মা হয়েছিল – ১৬বছর বয়সে।
১৬০) বাড়ির মেয়েদের যার সঙ্গে শোবার ব্যবস্থা – দীনতারিণী।
১৬১) বাড়ির মধ্যে সবথেকে সেরা ঘর – সারদা রাসুর।
১৬২) সারদার ঘরের বিশিষ্টতা – ঘরে ঘুলঘুলির বদলে জানলা আছে।
১৬৩) সারদার ঘরটা যেখানকার মিস্ত্রিরা বানিয়েছিল – বর্ধমানের।
১৬৪) সারদা রাসুকে দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে না ছোঁবার শপথ যে ঠাকুরের নামে করিয়েছিল – সিংহবাহিনী।
১৬৫) কালরাত্রির দিন রাসু শুতে গিয়েছিল – চন্ডীমন্ডপে।
১৬৬) সত্যর যে গন্ধটা ভারি বিশ্রি লাগে – সাজিমাটির গন্ধ।
১৬৭) রামকালী রাসুর জন্য ঘর বানিয়ে দিয়েছিলেন – দক্ষিণের উঠোনে।
১৬৮) রাসুর ঘরের জোড়াপালঙ্ক বানাতে মিস্ত্রি এসেছিল – চন্দননগর থেকে।
১৬৯) জোড়াপালঙ্ক বানাতে মিস্ত্রিরা সময় নিয়েছিল – দেড় মাস।
১৭০) রাসুর দ্বিতীয় বিয়ের কালরাত্রির দিন রাসুকে সারদার ঘরে শোবা্য ব্যবস্থা করেদিয়েছিল – ভুবনেশ্বরী।
(১৩)
১৭১) রাসু পটলীর বৌভাতে যে দুইপ্রকার মিষ্টি আনানো হয়েছিল – ছানাবড়া ও বোঁদে।
১৭২) গ্রামে যে গল্প এখনো ফুরোয়নি – রাসু-সারদার বিয়ের গল্প।
১৭৩) রাসু সারদার বিয়েতে মিষ্টির কারিগর এসেছিল – নাটোর, কোষ্টনগর, মুড়োগাছা থেকে।
১৭৪) হালুইকর ঠাকুর এনে রান্না করার প্রথা প্রম গ্রামে চালু করেছিল – রামকালী।
১৭৫) হালুইকর ঠাকুর এনে রান্নার ব্যবস্থা রামকালী দেখেছিলেন – মুর্শিদাবাদে।
১৭৬) রাসু পটলীর বিয়েতে রান্না হবে – ষোলো কুড়ির মতো পদ এবং দুই রকম মিষ্টি।
১৭৭) মিষ্টির ভিয়েনে শেকড় হয়ে বসে থাকার ভার রামকালী যাকে দিয়েছিলেন – কুঞ্জকালীকে।
১৭৮) রামকালী দইয়ের ভার দিয়েছিলেন – তুষ্ট গোয়ালাকে।
১৭৯) তুষ্টু যে পরিমাণ দইয়ের যোগান দিতে পেরেছিল – ৫মণ।
১৮০) রামকালীকে যে দুইজন জব্দ করতে পারে – সত্য ও মোক্ষদা।
১৮১) মোক্ষদা রামকালীকে ডাকতে পাঠিয়েছেন – নেড়ুকে।
১৮২) পটলীর বৌভাতের দিন যাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি – শঙ্করীকে।
১৮৩) শঙ্করীকে খুঁজে না পাওয়ার কথা রামকালীকে জানিয়েছিল – মোক্ষদা।
১৮৪) মোক্ষদা ছাড়া শঙ্করীর নিখোঁজ হবার খবর জানত – কাশীশ্বরী।
১৮৫) কুঞ্জকালী ভিয়েনে বসে খাচ্ছিলেন – এক সরা ছানাবড়া।
(১৪)
১৮৬) জীবনে কোনো সমস্যা সমাধানে রামকালী যার দরবারে হাজির হন – বিদ্যারত্ন।
১৮৭) বিদ্যারত্ন মশাই গঙ্গাস্নানে যান – প্রাতঃসন্ধ্যা সেরে।
১৮৮) বিদ্যারত্ন মশায়ের বাড়ি থেকে গঙ্গা – তিন ক্রোশ দূরে।
১৮৯) যার মা গঙ্গাযাত্রা থেকে ফিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল তিরানব্বই বছর বয়সে – নিবারণ চক্রবর্ত্তীর মা।
১৯০) বিদ্যারত্নের গ্রামের নাম – দেবীপুর।
১৯১) চেঁচামেচি ও সকলকে ধমকানো যার গুণ – রামকালীর সেজোকাকার।
১৯২) যিনি রামকালীকে কুলত্যাগিনী বধূর সন্ধান করতে বারণ করেছিলেন – বিদ্যারত্ন মশাই।
১৯৩) কুলত্যাগের কথা শুনে রামকালীর বাড়িতে প্রথমে খাবে না বলেছিল – নিবারণ চৌধুরীর মামা বিপিন লাহিড়ী।
১৯৪) বিদ্যারত্নের কথামতো যা রামকালীর জন্য নয় – রজোগুণ।
(১৫)
১৯৫) নেড়ু মকশো করতে বসেছিল – পেয়ারাতলায়।
১৯৬) সত্য নেড়ুর তালপাতায় লিখে দিয়েছিল – কর, খল, ঘট।
১৯৭) সত্য কালি তৈরি করে – বটপাতার ঠুলি গড়ে তার মধ্যে পুঁইমেটুলির রস গুলে।
১৯৮) সত্যর লেখা দেখে বিস্ময়াহত হয়েছিল – নেড়ু।
১৯৯) কলকাতার মেয়েদের লেখাপড়ার কথা সত্য জানতে পারে – ছোটো মামিমার কাছ থেকে।
২০০) সত্যর লেখার খবর অন্দরমহলে প্রচার করে – নেড়ু।
২০১) সত্যর লেখার কথা রামকালীকে জানায় – ভুবনেশ্বরী।
২০২) সত্য তার বাবার কাছে পড়ার সুযোগ পায় – দুপুরবেলা।
(১৬)
২০৩) ভুবনেশ্বরীর বাপেরবাড়িতে গিন্নী – ভাজেরা।
২০৪) ভুবনেশ্বরীর ভাজ – ২টো, নিভাননী ও সুকুমারী।
২০৫) ভুবনেশ্বরী বাপের বাড়ি গিয়েছিল যার সঙ্গে – মোক্ষদা।
২০৬) মোক্ষদার সঙ্গে ভুবনেশ্বরী বাপের বাড়ি গিয়েছিল – পায়ে হেঁটে।
২০৭) ভুবনেশ্বরীর বাপের বাড়ি মোক্ষদার যে আত্মীয়ের বাড়ির পথে পড়ে – সইয়ের বাড়ি।
২০৮) ভুবনেশ্বরীর জন্য বাপের বাড়িতে দরজা খুলেছিল – সুকুমারী।
২০৯) ভুবনেশ্বরী বাপের বাড়ি গিয়েই যে শিল্পকর্মের প্রশসা করেছিল – পাখার ঝালর।
২১০) ভুবনেশ্বরী রামকালীর হুকুমে বাপের বাড়ি আসে – পালকি করে।
২১১) নিভাননী মোক্ষদাকে যা খেতে দেবার কথা বলে – গুড়ের পানা।
২১২) গুড়ের পানা হল – আখের গুড় জলে গুলে তাতে পাতিলেবুর রস মেশানো সরবত।
২১৩) ভুবনেশ্বরীকে সুকুমারী যা খেতে দিতে চায় – মিছরি নারকেল গাছের ডাবের জল।
২১৪) ভুবনেশ্বরীর বাপের বাড়িতে যার সঙ্গে দরকার ছিল – সুকুমারীর সঙ্গে।
২১৫) ভুবনেশ্বরীর আনা কাগজে সত্যবতী লিখেছিল – ত্রিপদী ছন্দে দেবীবন্দনা।
২১৬) ভুবনেশ্বরী সত্যর লেখা দেবীবন্দনা পড়তে দিয়েছিল – সুকুমারীকে।
২১৭) সত্যর শ্বশুরবাড়ি থেকে লোক আসার খবর মোক্ষদাকে দিয়েছিল – রাখাল।
২১৮) ভুবনেশ্বরীকে সে খবর দিয়েছে – মোক্ষদা।
২২০) ভুবনেশ্বরী যার সঙ্গে বাড়ি ফিরেছিল – নিভাননী।
২২১) সত্যর শ্বশুরবাড়ি থেকে এসেছিল – নাপিতানী।
২২২) সত্যর শ্বশুরবাড়ি থেকে নাপিতানী যা খবর এনেছিল – সত্যকে নিয়ে যাবার।
২২৩) সত্যকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যেতে চায় – তেসরা আশ্বিন।
(১৭)
২২৪) সত্যর বাপের বাড়ি – নিত্যানন্দপুর গ্রামে।
২২৫) সত্যর শ্বশুরবাড়ি – বারুইপুর গ্রামে।
২২৬) সত্যর বাবা নাপিতবৌকে উপহার দিয়েছিল – একজোড়া ফরাসডাঙার থান, একখানা কেটে ধুতি আর নগদ ৫টাকা।
২২৭) বিবাহের সময় সত্যকে পাঠানোর কথা হয়েছিল – কুমারীকাল অর্থাৎ ১২বছর বয়স পূর্ণ হলে।
২২৮) নাপিতানী সত্য সম্পর্কে বলেছিল – বাচাল।
২২৯) সত্যর শাশুড়ির নাম – এলোকেশী বাড়ুয্যে।
২৩০) বারুইপুর গ্রামের বউ মেয়েদের বাপেরবাড়ি শ্বশুরবাড়ি যাড়ার ভরসাস্থল – নাপিতবৌ।
২৩১) সত্যর বরের নাম – নবকুমার।
২৩২) নবকুমারের বিয়ে হয়েছিল – ১৫ বছর বয়সে।
২৩৩) নবকুমার ইংরাজি পড়ে যার কাছে – ভবতোষ বিশ্বাসের কাছে।
২৩৪) নবকুমারের বন্ধু – নিতাই।
২৩৫) এলোকেশী যে মাসে নবকুমারের বিয়ে দেবে বলেছিল – অঘ্রান মাসে।
২৩৬) বৌ না আসার দুঃখে নবকুমার যা খায়নি – সরল পুঁটির টক।
২৩৭) নবকুমারের পিসতুতো দিদি – সদু, সৌদামনী।
২৩৮) নবকুমারের বাবার নাম – নীলাম্বর মুখুয্যে
২৩৯) নবকুমারের বাবা খান – আধসের সর দিয়ে টাটকা ভাজা খই আর আটটা মনোহরা।
২৪০) নবকুমারের যা শেখার বেয়াড়া খেয়াল – ইংরাজি শেখার।
২৪১) এলোকেশী ভয় পায় – ভুতে।
২৪২) মাতৃসন্নিধানে নবকুমারের ভূমিকা – চোরের মতো।
২৪৩) নীলাম্বরের চিঠি রামকালীর বাড়িতে নিয়ে যায় – রাখাল ও গোবিন্দ আচার্যর ছেলে গোপনা।
(১৮)
২৪৪) তুষ্ট গোয়ালার নাতি – রঘু।
২৪৫) রঘু মারা যায় – সাপের বিষে।
২৪৬) সাপের বিষ ছিল – বসাকদের আখের খেতে।
২৪৭) রঘুর জন্য রামকালীকে ডাকতে এসেছিল – নেড়ু।
২৪৮) আশ্বিনমাসে ছেলেদের দ্বিপ্রহরিক খেলা – আখ চুরি।
২৪৯) সাপের বিষের কথা শুনে জনৈক গ্রামবাসী ডাকতে গিয়েছিল – বিন্দে ওঝাকে।
২৫০) বিন্দে ওঝার বাড়ি – হাড়িপাড়ায়।
২৫১) সাপের গর্ত আবিষ্কারের দায়িত্ব ছিল – বিন্দে ওঝার ওপরে।
২৫২) বটতলা থেকে রামকালীকে ডেকে নিয়ে যায় – সেজখুড়ো।
২৫৩) রামকালীর বাড়ির অন্তঃপুরিকাদের মধ্যে যার কেবল বাইরের হুজুগে উঁকি দেবার অধিকার আছে – মোক্ষদার।
২৫৪) রামকালীর যাকে দামী জিনিস বলে মনে হয় – সত্যকে।
২৫৫) সত্য যে ভয়কে জয় করেছে – শ্বশুরবাড়ি যাবার ভয়।
২৫৬) বিন্দে ওঝাকে পারিশ্রমিক স্বরূপ রামকালী দিয়েছিল – নগদ দুটাকা।
২৫৭) ঘরজামাই করে রাখার কথা রামকালীকে বলেছিল – দীনতারিণী।
২৫৮) নীলাম্বর রামকালীর থেকে বয়সে – ১০বছরের বড়।
(১৯)
২৫৯) লক্ষ্মীকান্ত বাড়ুয্যের শেষ শয্যা পাতা হয়েছিল – তুলসী মঞ্চের নীচে।
২৬০) লক্ষ্মীকান্ত বাড়ুয্যে শেষ সময়ে যা নিযষেধ করেছিলেন – মৃত্যুর দন্ডকাল অতীত না হওয়া পর্যন্ত কাঁদা চলবে না।
২৬১) লক্ষ্মীকান্তের অন্তিমকালে সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল – তাঁর নিজের হাতের লেখা গীতার শ্লোকের পুঁথি।
২৬২) পুঁথিটি রাখা হয়েছিল – লক্ষ্মীকান্ত বাড়ুয্যের বুকের ওপর।
২৬৩) লক্ষ্মীকান্ত বাড়ুয্যের নিকট আত্মীয় না হয়েও যে দুখের সাগরে ভাসছে – সারদা।
২৬৪) লক্ষ্মীকান্ত বাড়ুয্যের ছেলেরা রামকালীর বাড়িতে যে আবেদন নিয়ে লোক পাঠিয়েছে – নিয়মভঙ্গ অবধি রাসুর থাকার আবেদন।
২৬৫) বলাকার দুধ যার ধাতে সহ্য হয় না – রাসুর।
(২০)
২৬৬) এলোকেশী তার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিল্পকীর্তি দেখাবে বলে ভেবেছিল – সত্যর চুলে কল্কা খোঁপা বানিয়ে।
২৬৭) শ্বশুরবাড়িতে যাবার পর সত্যর প্রসাধনের দায়িত্ব ছিল – সদুর ওপর।
২৬৮) সদুর যে গুণে সত্যবতী অবাক হয় – সহ্যশক্তির গুণে।
২৬৯) এলোকেশীর সত্যর চুল বেঁধে দেবার দিন সত্য পড়েছিল – নীলাম্বরী শাড়ি।
২৭০) সত্য এলোকেশীর দ্বন্দে নব পালিয়ে যেতে চেয়েছিল – নিতাইয়ের বাড়ি।
২৭১) এলোকেশীর কাছে গয়না বন্দক দিতে এসে পয়সা নিয়ে ধ্বস্তাধ্বস্তি করছিল – ঘোষ গিন্নী।
২৭২) ঘোষ গিন্নি এলোকেশীর কাছে যে গয়না বন্দক রাখতে এসেছিল – একজোড়া বাজু।