কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কলমে – শ্রেয়সী মিশ্র,এম.এ(বাংলা), মেদিনীপুর কলেজ
■ ভূমিকা :-
সাহিত্যের উন্মুক্ত নভোমন্ডলে উজ্জ্বলিত হাজারো নক্ষত্রের ভিড়ে অন্যতম এক নক্ষত্র হলেন কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। রবীন্দ্র যুগের আভিজাত্য থেকে সরে এসে আপামর জনসাধারণের কাছে হৃদয়গ্ৰাহী সম্ভার নিয়ে বাংলা সাহিত্যে আবির্ভূত হয়েছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্য যে কতটা সমৃদ্ধ হয়েছিল তা আর বলার অবকাশ রাখে না। সাহিত্য যে সমাজের দর্পণ তার প্রতিটা দিকই প্রতিফলিত হয়েছে শরৎচন্দ্রের মধ্য দিয়ে, সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষই জায়গা করে নিয়েছে তাঁর রচনায়। সাহিত্য ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ পাঠকের মনে তিনি নিজ মহিমায় আসীন। কালজয়ী এই সাহিত্যিক বাংলা সাহিত্য কে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন তাঁর বিপুল সৃষ্টি সম্ভার দিয়ে। উপন্যাস, ছোটো গল্প মিলে বিচিত্র সব কাহিনী ও চরিত্র চিত্রন করেছেন তিনি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এক এবং অদ্বিতীয় হয়ে রয়ে যাবেন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে।
■ জন্ম ও বংশ পরিচয় :-
বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি বিভাগের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্ৰামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মতিলাল চট্টোপাধ্যায়, মাতা ভুবনমোহিনী দেবী। ভুবনমোহিনী দেবী ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হালিশহরের রামধন গঙ্গোপাধ্যায়ের জেষ্ঠ্য পুত্র কেদারনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পিতৃপুরুষের নিবাস ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কাঁচরাপাড়ার নিকট মামুদপুরে। দেবানন্দপুর ছিল প্রকৃত পক্ষে তাঁর পিতার মাতুলালয়। পাঁচ ভাই আর বোনের মধ্যে শরৎচন্দ্র ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর দিদি অনিলাদেবী ছাড়া ও প্রভাসচন্দ্র ও প্রকাশচন্দ্র নামে তাঁর দুই ভাই ও সুশীলাদেবী নামে এক বোন ছিলেন। শরৎচন্দ্রের ডাকনাম ছিল ন্যাড়া। দারিদ্রের কারণে মতিলাল স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ভাগলপুরে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন বলে শরৎচন্দ্রের শৈশবের অধিকাংশ সময় এই শহরেই কেটেছিল।
শরৎচন্দ্র প্রথম শান্তি দেবীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, তাঁদের একটি পুত্র সন্তান ও হয়, পরবর্তীতে প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে স্ত্রী ও পুত্র উভয়েরই মৃত্যু ঘটে। দ্বিতীয়বার মেদিনীপুর জেলার শালবনির নিকট শ্যামচাঁদপুর গ্ৰামের বাসিন্দা কৃষ্ণদাস অধিকারীর কন্যা হিরন্ময়ীদেবীকে বিবাহ করে বাকি জীবন অতিবাহিত করেন। শরৎচন্দ্র এক জায়গায় নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন —
” আমার শৈশব ও যৌবন ঘোর দারিদ্রের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। অর্থের অভাবেই আমার শিক্ষা লাভের সৌভাগ্য ঘটে নি। পিতার নিকট হইতে অস্থির অভাব আর গভীর সাহিত্যানুরাগ ব্যতীত আমি উত্তরাধিকার সূত্রে আর কিছু ই পাই নি”।
লেখকের পিতা অর্থাৎ মতিলালবাবুর ও পান্ডিত্য ছিল অগাধ। ছোটোগল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা এককথায় সাহিত্যের সকল বিভাগেই তিনি হাত দিয়েছিলেন, কিন্তু কোনোটাই শেষ করতে পারেননি।
■ শিক্ষা ও কর্ম জীবন :-
পাঁচ বৎসর বয়সে পিতা মতিলাল, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কে দেবানন্দপুরের প্যারী পন্ডিতের পাঠশালায় ভর্তি করে দেন, যেখানে তিনি দু- তিন বছর লেখাপড়া করেন।এরপর ভাগলপুর শহরে থাকাকালীন তাঁর মামা তাঁকে স্থানীয় দূর্গাচরন বালক বিদ্যালয়ে ছাত্রবৃত্তিতে ভর্তি করিয়ে দেন।১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে শরৎচন্দ্র ভাগলপুর জেলা স্কুলে ভর্তি হন।১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে মতিলালের ডিহিরির চাকরি চলে গেলে তিনি পরিবার নিয়ে দেবানন্দপুর ফিরে গেলে শরৎচন্দ্র জেলা স্কুল ত্যাগ বাধ্য হন। এই সময় তিনি হুগলির ব্রাঞ্চ স্কুলে ভর্তি হন, কিন্তু ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে দারিদ্রের কারণে স্কুলের টাকা দিতে না পারায় আবার ও তাঁকে এই স্কুল ছাড়তে হয়।তখন তিনি ‘কাশীনাথ‘ ও ‘ব্রহ্মদৈত্য’ নামে দুটি গল্প লেখেন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে মতিলাল পুনরায় ভাগলপুরে ফিরে গেলে প্রতিবেশী সাহিত্যিক তথা পাঁচকড়ি বন্দোপাধ্যায়, শিক্ষালাভের প্রতি শরৎচন্দ্রের আগ্ৰহ লক্ষ্য করে তাঁকে তাঁর বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেন। এই বিদ্যালয় থেকে ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিভাগে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তেজনারায়ণ জুবিলি কলেজে ভর্তি হন।এই সময় তিনি তাঁর মাতামহের ছোটো ভাই আঘোরনাথের দুই পুত্র সুরেন্দ্রনাথ ও গিরীন্দ্রনাথকে প্রতি রাতে পড়াতেন। বিনিময়ে আঘোরনাথ তাঁর কলেজে পড়ার টাকা জোগাতেন। এতৎসত্ত্বেও এফ. এ পরীক্ষায় বসার টাকা জোগাড় করতে না পারার জন্য তিনি পরীক্ষায় বসতে পারেন না।
কলেজ ত্যাগ করার পর শরৎচন্দ্র আদমপুর ক্লাবের সাথে খেলাধূলা ও অভিনয় করে সময় কাটাতে শুরু করেন। এইসময় পিতার মৃত্যু ঘটে এবং পিতার শ্রাদ্ধ শান্তি সম্পন্ন করে তিনি কলকাতায় পাড়ি দেন । সেখানে গিয়ে কলকাতার উচ্চ আদালতের উকিল লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে ত্রিশ টাকা বেতনে হিন্দী বইয়ের ইংরেজি তর্জমা করার কাজ করেন।পরে তিনি
বর্মা রেলওয়ের অডিট অফিসে একটি অস্থায়ী চাকরির সাথে যুক্ত হন। দুই বছর পর তাঁর চাকরি চলে গেলে বন্ধু গিরীন্দ্রনাথের সঙ্গে পেগু চলে যান। সেখানে অবিনাশ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বসবাস করেন। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে মণীন্দ্রনাথ মহাশয়ের একান্ত প্রচেষ্টায় বর্মার পাবলিক ওয়ার্কস অ্যাকাউন্টস অফিসে শরৎচন্দ্র মহাশয় চাকরি পাওয়ার পর একাগ্ৰতার সঙ্গে কাজ করতে থাকেন। পরমুহূর্তে ছুটি নিয়ে কয়েকদিনের জন্য দেশে ফিরে শরৎচন্দ্র যমুনা পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন।এবং পুনরায় রেঙ্গুনে ফিরলে ও তিনি লেখা পাঠাতে থাকেন। শেষমেশ কতৃপক্ষের সঙ্গে মনোমালিন্যের জন্য শরৎচন্দ্র মহাশয় কাজে ইস্তফা দিয়ে রেঙ্গুন ত্যাগ করে বাংলায় ফিরে আসেন।
■ সাহিত্য জীবন :-
বাংলায় ফিরে আমাদের বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক সৃষ্টি করতে লাগলেন কালজয়ী সব উপন্যাস এবং গল্প। বাঙালি জীবনের নিপুণ রূপকার, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জীবনের হৃদয়গত সমস্যা, সামাজিক সমস্যা,ব্রাহ্মন্য ধর্মের প্রবনতা, নারীর হৃদয়গত প্রেম গাঁথা এই সমস্ত বিষয়কে করে তুললেন তাঁর উপন্যাসের উপকরন। তিনি নিজেই বলেছেন –
” সংসারে যারা দিলে, পেলে না কিছুই ,যারা বঞ্চিত, দুর্বল ,উৎপীড়িত , মানুষ হয়ে ও মানুষ যাদের চোখের জলের কখনও হিসেব নিলে না……এদের বেদনাই দিলে আমার মুখ খুলে,এরাই পাঠালে আমাকে মানুষ কে মানুষের কাছে মানুষের নালিশ জানাতে। “
তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘বড় দিদি‘১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তী – পরিনীতা(১৯১৪),পন্ডিত মশাই(১৯১৪), বিরাজ বৌ(১৯১৪), মেজ দিদি(১৯১৫), চন্দ্রনাথ(১৯১৬), পল্লীসমাজ(১৯১৬), অরক্ষনীয়া(১৯১৬), শ্রীকান্ত( ১ম খন্ড ১৯১৭), দেবদাস(১৯১৭), নিষ্কৃতি(১৯১৭), চরিত্রহীন (১৯১৭), দত্তা (১৯১৮), শ্রীকান্ত(২য় খন্ড ১৯১৮), বামুনের মেয়ে(১৯২০), গৃহদাহ (১৯২০), দেনা পাওনা (১৯২৩),নববিধান (১৯২৪), পথের দাবী(১৯২৬), শ্রীকান্ত (৩য়খন্ড,১৯২৭), শ্রীকান্ত(চতুর্থ খন্ড১৯৩৩), শেষের পরিচয়(১৯৩৯)।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম রচিত ছোটোগল্প হল – ‘মন্দির’, ১৯০৩ বঙ্গাব্দে ‘কুন্তলীন’ পুরষ্কার প্রাপ্ত। কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ছোটো গল্প গুলো হল –
‘বিন্দুর ছেলে'(১৯১৪), মেজদিদি(১৯১৫), কাশীনাথ(১৯১৯), মামলার ফল(১৯২০), প্রভৃতি।
তাঁর রচনার মধ্য দিয়ে তিনি সমাজের নিপীড়িত মানুষজনকে, নারী জাতিকে, এক শীর্ষস্থানে নিয়ে গেছেন। তুলে ধরেছেন তাদের দুঃখ দুর্দশার অন্ধকার দিক। গভীর গর্তে ঢুকে থাকা মানুষগুলোকে টেনে এনেছেন তাঁর লেখনীর মধ্য দিয়ে।
■ সাহিত্যে বিশিষ্টতা :-
শরৎচন্দ্রের রচিত সকল উপন্যাস ও ছোটো গল্প, পাঠককে এক অন্ধকার দিকের হদিশ দেয়। যে অন্ধকার দিকে এতোদিন কেউ পৌঁছোতে পারেনি, কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চলে গেছিলেন সেই গহ্বরে, আর নিয়ে এসেছিলেন লেখনীতে অন্য এক ধারা। তাঁর সাহিত্য রচনা বা লেখনীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য গুলি হল—
১) তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে কোনো বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতের সন্ধান পাওয়া যায় না, পারিবারিক ঘরোয়া দিক তুলে ধরেই তিনি মন জয় করেছেন পাঠকের।
২) বাঙালীর জীবন-সমস্যা,দুঃখ-দুর্দশা, দারিদ্রতা,হৃদয়বত্তা এইসব দিক নিয়ে গড়ে উঠেছে শরৎচন্দ্রের কথা সাহিত্য।
৩) প্রবল আবেগ দিয়ে তিনি নির্মাণ করেছেন, তাঁর গল্প, উপন্যাসের সকল চরিত্র গুলিকে।
৪) ভাষা দিয়ে ছবি আঁকার এক অবিশ্বাস্য ক্ষমতা রয়েছে তাঁর।
৫) সকল শ্রেণীর নারী চরিত্রকে তিনি বিশেষ মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছেন।
■ আমার ভালোলাগার কারন :-
বাংলা সাহিত্যের জগতে স্থান করে নেওয়া সকল সাহিত্যিক দের মধ্যে আমার ভালোলাগার জায়গা জুড়ে রয়েছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। একটি ব্যক্তি, মানুষ হিসেবে এতটা জনদরদী না হলে, তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে এতোটা উদারতা পাওয়া কখনোই সম্ভব নয়।তাই ব্যক্তিগত ভাবে আমার ভালোলাগার কারনগুলো হল–
১) উপন্যাস ও গল্পের মধ্যে নারী কে এতোটা সম্মানিত আর কোনো সাহিত্যিক ই করেন নি। প্রতিটি নারী কে যথেষ্ট মর্যাদা দিয়েছেন হোক সে গরীব বা ধনী।জাতের দিকে দৃষ্টি দিয়ে কখনোই কোনো নারী কে অসম্মান করেন নি
২) মানুষের দুঃখ দুর্দশার দিক কে তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন। ধনী,বিখ্যাত তকমা দেওয়া মানুষ দের নিয়ে লিখতে পারেন সবাই কিন্তু এই দীনহীন মানুষ দেরকে লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরা, সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের মাধ্যমেই সম্ভব।
৩) অবিশ্বাস্য নানান ঘটনা ও রয়েছে তাঁর রচনার মধ্যে, অবিশ্বাস্য হ ওয়া সত্ত্বে ও একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য করার এক ক্ষমতা পেয়েছি তাঁর লেখনীর মধ্যে।
■ পুরস্কার ও সম্মান :-
সাহিত্য কর্মে অসাধারণ অবদানের জন্য বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
১) ‘কুন্তলীন’ পুরস্কার পেয়েছেন ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে।
২) জগত্তারিনী স্বর্ণপদক, ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ
৩) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সাম্মানিক সদস্যপদ,১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে
৪) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডিলিট’ উপাধি লাভ করেন,১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে।
■ উপসংহার :-
বাংলা সাহিত্য পরশ পাথর ছুঁইয়ে সৃষ্টি করেছেন কালজয়ী সব উপন্যাস।এই সকল উপন্যাস,গল্প যেন পাঠক মনকে বারবার আকৃষ্ট করে। বারবার হারিয়ে যেতে মন করে তাঁর গল্প, উপন্যাসের মধ্যে।সমাজ সংস্কারকের অদম্য শক্তি নিয়ে পৃথিবীতে না এলে ও, সামাজিক বৈষম্য ও মানুষের নীচতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।এই অনুজ লেখকের মৃত্যুতে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথও শোকাহত হয়ে লিখেছিলেন –
“যাহাঁর অমর স্থান প্রেমের আসনে,
ক্ষতি তাঁর ক্ষতি নয় মৃত্যুর শাসনে।
দেশের মাটির থেকে নিল যারে হরি,
দেশের হৃদয় তাকে রাখিয়াছে ধরি”।