বিষবৃক্ষ উপন্যাস : প্রশ্নোত্তর আলোচনা
■ বিষবৃক্ষ উপন্যাস – শূন্যস্থানমূলক প্রশ্নোত্তর
১) “নগেন্দ্র দত্ত নৌকারোহণে যাইতেছিলেন। _ মাস, তুফানের সময়।”
◆ জ্যৈষ্ঠ মাস
২) “_ কাব্য রসের সাগর, কিন্তু সকলেই জানেন যে, তাহার প্রথম কবিতা কয়টি কিছু নীরস”
◆ মেঘদূত
৩) “সূর্যমুখীর পিত্রালয় _ । তাঁহার পিতা একজন ভদ্র কায়স্থ। কলিকাতায় কোন হৌসে কেশিয়ারি করতেন।”
◆ কোন্নগর
৪) “শিশুকালে _ নামে এক বিধবা কায়স্থ কন্যা দাসীভাবে তাঁহার গৃহে থাকিয়া সূর্যমুখীকে লালন পালন করিত”
◆ শ্রীমতী
৫) “তাহার পাশে ঠাকুর বাড়ী। সেখানে বিচিত্র দেবমন্দির, সুন্দর প্রস্তরবিশিষ্ট _”
◆ নাটমন্দির
৬) “কোথাও শ্রেতশ্মশ্রুবিশিষ্ট গৈরিকবসনধারী ব্রহ্মচারী রুদ্রাক্ষমালা দোলাইয়া, নাগরী অক্ষরে হাতে লেখা _ পাঠ করিতেছেন।
◆ ভাগবত
৭) “কৈলাসের জামাইয়ের বড় চাকরী হইয়াছে – সে _ “
◆ দারোগার মুহুরী
৮) “ভটচায্যিদের মেয়ের উপপতি _”
◆ শ্যাম বিশ্বাস
৯) “সে স্ত্রীমূর্তি কুন্দ স্বপ্নে মাতার অঙ্গুলি নির্দেশক্রমে আকাশপটে দেখিয়াছিল, এই দাসীই সেই _”
◆ পদ্মপলাশলোচনা শ্যামাঙ্গী
১০) “এমত সময়ে সেই নারীসভামন্ডলে _ বলিয়া এক বৈষ্ণবী আসিয়া দাঁড়াইল।
◆ জয় রাধে
১১) “হরিদাসী এক অপূর্ব _ গাইলে সূর্যমুখী তাহাতে মোহিতা ও প্রীতা হইয়া বৈষ্ণবীকে পুরস্কারপূর্বক বিদায় করিলেন।
◆ শ্যামাবিষয়
১২) “_ নামে আর একজন জমিদার হরিপুর জেলার মধ্যে বাস করিতেন”
◆ গণেশবাবু
১৩) “কলকাতা হইতে দেবেন্দ্র অনেকপ্রকার _ শিখিয়া আসিয়াছিলেন”
◆ ঢং
১৪) “তিনি(দেবেন্দ্র) দেবীপুরে প্রত্যাগমন করিয়া _ বলিয়া আত্মপরিচয় দিলেন।”
◆ রিফরমর
১৫) “সুরেন্দ্র সজলনয়নে, মনোমধ্যে _ কে শত শত গালাগালি দিতে দিতে গৃহে প্রত্যাগমন করিলেন।”
◆ হৈমবতী
১৬) “তোমার দাদাবাবুর সোনার কৌটা ত সূর্যমুখী – কানা কড়িটি কি ?” _
◆ সূর্যমুখীর বুদ্ধিখানি
১৭) “আমি যাই কি প্রকারে ? আমাদের এই _ কিনিবার সময়। তুমি তবে একা যাও।”
◆ তিসি
১৮) “_ কমলের একটা রোগ”
◆ চুল বাঁধা
১৯) “এক্ষণে হীরার বয়স _ । বয়সে সে প্রায় অন্যান্য দাসীগণ অপেক্ষা কনিষ্ঠা।”
◆ বিংশতি বৎসর
২০) “বিবাহের পর এইরূপে _ বৎসর কাল কাটিল। তাহার পর কুন্দনন্দিনী
বিধবা হইলেন”
◆ তিন
২১) _ এ তারাচরণের মৃত্যু হইল”
◆ জ্বরবিকারে
২২) “সেই গভীর রাত্রে এক বসনে _ অনাথিনী সংসার সমুদ্রে একাকিনী
ঝাঁপ দিল।”
◆ সপ্তদশবর্ষীয়া
২৩) “হীরার গঙ্গাজল _ ”
◆ মালতী গোয়ালিনী
২৪) “_ দেবেন্দ্র বাবুর দাসী নহে, আশ্রিতাও নহে, অথচ তাহার বড়
অনুগত”
◆ মালতী গোয়ালিনী
২৫) “_ গলা হইতে কন্ঠহার খুলিয়া লইয়া গৃহস্থ সকলকে দেখাইয়া বলিলেন, যে কুন্দকে আনিয়া দিবে তাহাকে এই হার দিব”
◆ কমল
২৬) “তুমি কুন্দনন্দিনীর কথা জিজ্ঞাসা করিয়াছিলে। তাহাকে পাওয়া গিয়াছে – শুনিয়া সুখী হইবে – এর পূজা দিও।
◆ ষষ্ঠীদেবতার
২৭) “_ হরিদাসী বৈষ্ণবীর যাতায়াতের পথে কাঁটা দেবার জন্য প্রহরী হইয়া আসিল।”
◆ হীরা
২৮) “তিনি পীড়ার লক্ষণ দেখিয়া বলিলেন, ইহার _ রোগ। তাহার উপর জ্বর হইতেছে।”
◆ কাশ
২৯) “আমার যদি পতিভক্তি থাকে, তবে যেন এই পত্রখানি সফল হয়। আমি চিরকাল _ ভিন্ন কিছুই জানি না”
◆ স্বামীর চরণ
৩০) “সূর্যমুখী আপনি বিদায় লইলেন। তিনি আর কাশী গেলেন না। কতদিন তোমাকে না দেখিয়া থাকিবেন ? তোমাকে দেখিবার মানসে _ হইতে পদব্রজে ফিরিলেন।”
◆ বর্হি
৩১) “বাক্স খুলিয়া হীরা কৌটার মধ্যে _ কুন্দকে দেখাইল। আমিষলোলুপ _ কুন্দ তাহার প্রতি দৃষ্টি করিতে লাগিল।”
◆ বিষের মোড়ক, মার্জারবৎ
■ বিষবৃক্ষ উপন্যাস – মন্তব্য যুক্তি মূলক প্রশ্নোত্তর
১) মন্তব্য – রহমত মোল্লা কোনদিনও মাঝিগিরি না করেও মাঝিগিরির উমেদার হয়েছিলেন।
যুক্তি – রহমত মোল্লার নানার খালা মাঝির মেয়ে ছিল সেই গর্বে।
২) মন্তব্য – আকাশে ঘন মেঘ এলেও রহমতের নৌকা কিনারায় বাঁধতে তাড়া ছিল না।
যুক্তি – কিনারা খুব কাছে ছিল।
৩) মন্তব্য – আশ্রয়ানুসন্ধানে যাওয়া কর্তব্য বিবেচনা করিয়াও নগেন্দ্র নদীতীর হইতে গ্রামাভিমুখে চলিলেন।
যুক্তি – নদীতীরে ঝড়বৃষ্টিতে বিশেষত সন্ধ্যাকালে দাঁড়ান কাহারও সুসাধ্য নহে।
৪) মন্তব্য – কুন্দ নগেন্দ্রর গলায় পড়িল।
যুক্তি – কলকাতায় কুন্দর মাসির বাড়ির কোনো ঠিকানা পাওয়া গেল না।
৫) মন্তব্য – নগেন্দ্র যখন বাড়ি যাবেন তখন কুন্দকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন এটা স্থির হয়েছিল।
যুক্তি – তারাচরণের সঙ্গে কুন্দর বিয়ে – সূর্যমুখীর এই প্রস্তাবে নগেন্দ্র ও কমলমণি রাজি হয়েছিল।
৬) মন্তব্য – মালিনী কালিদাসের মেঘদূত অল্প শুনেই উঠে গেল।
যুক্তি – মেঘদূত কাব্য রসের সাগর হলেও তার প্রথম কয়টি কবিতা কিছু নীরস।
৭) মন্তব্য – সূর্যমুখীর বাবা অনাথ তারাচরণকে নিজের সন্তানের মতো প্রতিপালন করেছিলেন।
যুক্তি – তারাচরণের মা বিশেষ রূপবতী ছিল, গ্রামস্থ দুশ্চরিত্র ধনী জমিদার ব্যক্তির চোখে পড়ে সূর্যমুখীর পিতার গৃহ ত্যাগ করেছিল।
৮) মন্তব্য – তারাচরণ একজন গ্রাম্য দেবতার মধ্যে হয়ে উঠলেন।
যুক্তি – নগেন্দ্রর চেষ্টায় তারাচরণ গ্রামে মাস্টারি করতেন এবং তৎকালে সচরাচর মাস্টারবাবু দেখা যেত না।
৯) মন্তব্য – তারাচরণ দেবেন্দ্রবাবুর ব্রাহ্মসমাজভূক্ত হয়ে বাবু পারিষদমধ্যে গণ্য হয়েছিলেন।
যুক্তি – তারাচরণ ‘সিটিজেন অব দ্য ওয়ার্ল্ড’, স্পেকটেটর পড়েছিলেন এবং তিন বুক জিওমেট্রি আর পঠিত – তা বাজারে রাষ্ট্র হয়েছিল।
১০) মন্তব্য – কোন ভদ্র কায়স্থ তাঁর কন্যার সঙ্গে তারাচরণের বিয়ে দিতে সম্মত হয়নি।
যুক্তি – তারাচরণের মায়ের কুলত্যাগের কথা গোবিন্দপুরে প্রচার হয়েছিল।
১১) মন্তব্য – কীর্তন গান শুনতে কুন্দ বড় লজ্জিত হল।
যুক্তি – বৈষ্ণবী সকলের ফরমায়েশ ফেলে কুন্দর কথামতো কীর্তন গান গেয়েছিল।
১২) মন্তব্য – হরিদাসী বৈষ্ণবী কুন্দকে তার শাশুড়ির সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দিতে চাইলে কুন্দ তাতে অস্বীকৃত হয়েছিল।
যুক্তি – কুন্দ বুঝেছিল ভ্রষ্টা কুলত্যাগিনী শাশুড়ির সঙ্গে সম্বন্ধ স্বীকার অকর্তব্য।
১৩) মন্তব্য – সূর্যমুখী কুন্দকে দুশ্চরিত্রা মনে করল।
যুক্তি – দেবেন্দ্র কুন্দর জন্য বৈষ্ণবী সেজে আসে কিন্তু কুন্দ যে সেকথা জানে না তা হীরা সূর্যমুখীকে বলেনি।
১৪) মন্তব্য – কৌশল্যা হীরাকে হিংসা করত।
যুক্তি – হীরা সূর্যমুখীর প্রসাদপুরস্কারভাগিনী এবং প্রধানা দাসী ছিল।
১৫) মন্তব্য – নগেন্দ্র কুন্দনন্দিনীর প্রতি লুব্ধ চিত্ত সংবরণ করতে পারেনি।
যুক্তি – নগেন্দ্র কখনো কোনোকিছুর অভাব বোধ করেনি।
১৬) মন্তব্য – পথিক কোথায় পথ, কোথায় অপথ কিছুই অনুভব করিতে পারিলেন না। তথাপি পথ অতিবাহিত করিয়া চলিলেন।
যুক্তি – পথিক সংসারত্যাগী ব্রহ্মচারী।
১৭) মন্তব্য – ব্রহ্মচারী মধুপুরে আসার জন্য নগেন্দ্রকে রাণীগঞ্জের মাধবচন্দ্র গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করতে বলেছিলেন।
যুক্তি – মাধবচন্দ্র গোস্বামী নগেন্দ্রর সঙ্গে লোক দেবেন যাতে মধুপুর খুঁজতে না হয়।
১৮) মন্তব্য – মধুপুরে নগেন্দ্রকে পালকি থেকে নামতে দেখে লোকে তাকে সাহেব ভেবেছিল।
যুক্তি – নগেন্দ্রর পরনে পেন্টুলুন, মাথায় টুপি, পায়ে বুট ছিল।
১৯) মন্তব্য – শ্রীশচন্দ্র বলিলেন, ব্রহ্মচারীর সঙ্গে যে তোমার সাক্ষাৎ হয় নখি, ইহা আশ্চর্য।
যুক্তি – গতকল্য কলিকাতা হইতে তোমার(নগেন্দ্রর) সন্ধানে তিনি মধুপুর যাত্রা করিয়াছেন।
২০) মন্তব্য – নগেন্দ্র চিত্ত সংযমে প্রবৃত্ত হয়েও সক্ষম হলেন না।
যুক্তি – লোভ সম্বরণের জন্য যে মানসিক শিক্ষা আবশ্যক তা তার নেই।
২১) মন্তব্য – রূপ ও গুণ উভয়ের দ্বারাই প্রণয় জন্মে কিন্তু রূপজনিতে পরিতৃপ্তি আসে গুণজনিতের পরিতৃপ্তি নাই।
যুক্তি – রূপ এক, প্রত্যহ তার এক প্রকারই বিকাশ কিন্তু গুণ নিত্য নতুন ক্রিয়ায় নিত্য নতুন হইয়া প্রকাশ পায়।