সংলাপ সাজেশন – পর্ব – ২
বিষয় – মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা
ক – কি রে মাস্ক না পড়ে কোথায় চলেছিস সাইকেল নিয়ে ?
খ – এই একটা বই কিনতে যাচ্ছি, আর মাস্ক আছে দাঁড়িতে নামানো, এই দ্যাখ।
ক – এখনও করোনা যায়নি বন্ধু, এখনই মাস্ক দাঁড়িতে নামিয়ে দিয়েছিস ? এতো অসচেতন হলে হবে!
খ – আরে না না, এখন তো সাইকেল চালাচ্ছি, বইয়ের দোকানে ঢোকার মুখে ঠিক পড়ে নিতাম, তাইতো দাঁড়িতে রেখেছি। তাছাড়া এখন তো দুপুরবেলা রাস্তায় লোকজন কম।
ক – তাতে কি! তোদের মতো মানুষদের এইসব অজুহাতের জন্যই করোনা এখনও সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হচ্ছে না, সেটা তো বোঝার চেষ্টা কর।
খ – আমি জানি বন্ধু। দ্যাখ করোনার বিরুদ্ধে প্রধান হাতিয়ার মাস্ক নয়, মানুষের ভিড় এড়ানো। যার জন্য লকডাউনের প্রয়োজন হল। আর যেহেতু লকডাউন দীর্ঘদিন চালানো যাবে না, মানুষকে বেরোতেই হবে তাই প্রয়োজন মাস্ক। অর্থাৎ তুই যদি ভিড় এড়িয়ে তোর প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারিস সেটাই বেশি ফলপ্রসূ হবে।
ক – সে নয় হল, কিন্তু সবার পক্ষে ভিড় তো এড়ানো যাবে না, তাই মাস্ক পড়াটাই জরুরি।
খ – অবশ্যই, তাই জন্যই তো মাস্ক নিয়ে বেরিয়েছি। কিন্তু সবসময় মাস্ক পড়ে থাকলে শ্বাসকষ্ট হয়, বয়স্কদের ফুসফুসের সমস্যা হয়। তাছাড়া মাস্ক পড়ে হাঁটলে বা সাইকেল চালালে কষ্টও হয়। এবং সবসময় মাস্ক পড়ার কারণেও রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিকঠাক হচ্ছে না আর অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে মানুষকে যে কি পরিমাণে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল তাও দেখেছিস কিছুদিন আগেই। তাই একা একা থাকলে মাস্কটা খুলে কিছুটা অক্সিজেন প্রাণ ভরে নেওয়াই যায়। আর সেটাই আমি করছিলাম।
ক – হুম, তোর কথাটাও যুক্তিপূর্ণ। রক্তে অক্সিজেনের অভাব হলেই করোনা আরো কামড়ে ধরবে। ঠিক যেকারণে রায়জ্যেঠুর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তবে এবার দোকানে প্রায় এসে গেছিস, এবার মাস্কটা পড়েনে।
খ – অবশ্যই, এই দ্যাখ পড়ে নিলাম। চল এবার দোকানে ঢুকি।