বিষয় : বিজ্ঞানের জয়যাত্রা রচনা

কলমে : অনন্যা সাহা, বি.এ ( বাংলা ), বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়


ভূমিকা :
বর্তমান যুগের সাপেক্ষে আমরা প্রায় সকলেই প্রযুক্তির দাস। দৈনন্দিন জীবন যাপনের পথে প্রযুক্তি বিনে আমরা অন্য কিছু ভাবতেই পারিনা, সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তিই যেন চূড়ান্ত গ্রাহ্য। প্রযুক্তির এমন রমরমা প্রাচীনকাল থেকেই যে এতো বহুল পরিমানে ছিল তা বলা যায়না বরং বলা চলে প্রযুক্তি আবিষ্কারের তাগিদ মানবকুলে ছিল তীব্র।
যে প্রযুক্তি নিয়ে এতো গুলো কথা বলা হল সেই প্রযুক্তি নির্মানের পিছনে আছে বিজ্ঞানের অশেষ ভূমিকা, বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই এই প্রযুক্তির জন্ম। মানুষ বিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রযুক্তিকে অঙ্গীকার করেই নব্য যুগের তথা আধুনিক যুগের আরম্ভন করে। এই বিজ্ঞানের আশীর্বাদে যেমন অনেক কিছু খারাপ বস্তুর নিরাময় মিলেছে , তেমনি এই বিজ্ঞানের প্রভাবে নানান ক্ষতির সম্ভাবনাও বেড়েছে। এই দুই ভালো-খারাপ মিলিয়ে মিশিয়েই বিজ্ঞানের যাত্রাপথ আজও এগিয়ে চলেছে। কখনো এর সুপ্রভাব আবার কখনো এর কুপ্রভাব দ্বারা সারা জীবকুল সর্বদায় প্রভাবিত। বিজ্ঞানের অস্তিত্ব বিরাজমান অনন্তকাল ধরে এরই মাঝে,মানুষ শুধু সময়ের সাথে বিজ্ঞানের মায়াজালকে উদ্ঘাটন করে নানান পন্থায়। যুগের পরিবর্তনের সাথে মানুষ বিজ্ঞানকে ধীরে ধীরে নিজের সাথে একাত্ব করতে থাকে এবং বৈজ্ঞানিকেরা নানা বস্তু আবিষ্কারের মাধ্যমে মানব সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রাকে করে তোলে সহজসাধ্য।

বিজ্ঞানের অগ্রগতি :
মানুষের অস্তিত্ব যবে থেকে গতিশীল হয়েছে তবে থেকেই মানুষের সন্ধানী মননের বিকাশও ঘটেছে বিপুল ভাবে। মানুষ নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য অবলম্বন করেছে নানান পন্থা। যে পন্থা গুলির পশ্চাদে কার্যকর হয়েছে বিজ্ঞান মনস্কতা। পূর্বে মানুষ হয়তো বিজ্ঞানের সংজ্ঞা প্রথাগত ভাবে জানতনা তবে তারা বিজ্ঞানের সার্থক প্রয়োগ কী ভাবে করতে হয়, তা জানত। যেমন, সভ্যতার অগ্রগতির সর্বপ্রথম সূচক হলো আগুনের আবিষ্কার। বর্তমানে আমরা জানি এই আগুন এক ধরণের রাসায়নিক বিক্রিয়া, বিভিন্ন উত্তপ্ত গ্যাসের মিশ্রণ থেকে আগুনের উৎপত্তি হয়। প্রাচীনকালে মানুষের কাছে আগুন সম্বন্ধীয় কোনো তথ্যই ছিলনা কিন্তু তাও তারা আগুনের আবিষ্কার করে চেষ্টার বলে বলীয়ান হয়ে। হঠাৎ দুই পাথরের ঘর্ষণে উৎপন্ন আগুনের দ্বারা মানুষ অজান্তেই এক বৈজ্ঞানিক বিক্রিয়ার সন্ধান পায়। কাঁচা মাংস খাওয়া থেকে আজকের রোষ্ট করা মাংসে পৌঁছানোই বিজ্ঞানের জয়যাত্রার দৃষ্টান্ত। মানুষ জানার জন্য এবং সুবিধা উপভোগের জন্য আবিষ্কার করতে থাকে একের পর এক বৈজ্ঞানিক সূত্র। কালের সাপেক্ষে বিশ্ব জুড়ে সভ্যতার বদল ঘটেছে। প্রতিটি সভ্যতায় মানুষ নানান ধরণের কীর্তির নজির রেখে গেছে যে কীর্তিগুলির ভিত্তিমূল এই বিজ্ঞান। সমুদ্রে যাত্রার জন্য তারামন্ডল দেখে দিক-নির্ণয়, মানুষের শরীর পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসা সূত্র নিরুপণ, জ্যোতির্বিজ্ঞান , আয়ুর্বেদ প্রভৃতি এ সবই প্রাচীন কালের আবিষ্কৃত কিছু বৈজ্ঞানিক ধারা যে ধারা গুলির পর্যবেক্ষণ আজও হয়ে চলেছে একই ভাবে।

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান :
সকালে ফোনের অ্যালার্মে ঘুম থেকে এঠা থেকে রাতে আলো নিভিয়ে শুতে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের সমস্ত কাজে বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুর সাথেই আছে বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন বস্তুর সংযোগ। যেমন : যোগাযোগ মাধ্যম জনিত নানান যন্ত্র, শিক্ষার সুবিধার্থে নানা আসবাব, কৃষি সংক্রান্ত প্রযুক্তি, চিকিৎসা বিষয়ক পথ্য, বিনোদমূলক পণ্য,যানবাহন প্রভৃতি । বিদ্যুৎ প্রবাহ এই প্রয়োজনীয় বস্তু গুলির মধ্যে অন্যতম। তবে এছাড়াও নানান কিছু আছে যার অস্তিত্ব না থাকলে আমাদের জীবনের গতি অচল হয়ে পরতো। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বৈদ্যুতিক যন্ত্র ছাড়া আমরা অন্য কিছু ভাবতেই পারিনা। যেকোনো সাধারণ গৃহস্তে উঁকি দিলেই আমরা দেখতে পাবো বৈদ্যুতিক সংযোগ। বলাবাহুল্য এখনো অনেক স্থান আছে যেখানে বিদ্যুতের কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। ঠিক সেই কারণেই এমন স্থানগুলিকে অনুন্নত স্থান বলে অভিহিত করা হয়। এই অনুন্নত তকমাটা বর্তমান যুগের সাপেক্ষে খুব একটা অস্বাভাবিক নয় কারণ যুগের গতি বেড়েছে তুমুল ভাবে তাই যুগের সাথে তাল মেলানোটা এই সময়ে দাঁড়িয়ে ভীষণই জরুরী। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের উন্নতি, যুগের গতিকে দিনের পর দিন বাড়িয়েই চলেছে তাই আমরাও নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে বিজ্ঞানকে অঙ্গাঙ্গিক ভাবে জড়িয়ে ফেলেছি অজান্তেই ।

বিজ্ঞান , মানুষ এবং পরিবেশ :

এটা জানা বিষয় যে মানুষের দ্বারা নির্মিত নানা বৈজ্ঞানিক বস্তু প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে মানবজীবন ও পরিবেশকে প্রভাবিত করে এবং এই প্রভাবের ফলও হয় ভালোমন্দ মিশিয়ে । নিম্নে আমরা বিজ্ঞানের দ্বারা মানুষ ও পরিবেশ কিভাবে প্রভাবিত হয় তার দৃষ্টান্ত অনুধাবন করবো —
বিজ্ঞান ও মানুষ :
বিজ্ঞানের অধীনে মানুষ বিভিন্ন ধরণের বিপ্লব ঘটায় যে বিপ্লব গুলির মধ্যে অন্যতম হলো শিল্পবিপ্লব। এর ফলে মানুষের রুজি রোজকার তথা কর্মসংস্থান বাড়ে এর পাশাপাশি বাড়ে অধিক কিছু উপার্জনের তাগিদ। মানুষ প্রযুক্তির সংস্পর্শে আসে ও প্রযুক্তির উপরেই নির্ভর করতে শুরু করে। প্রথম দিকে কলকারখানায় মানব শ্রম ছিল আসল তবে বর্তমানে সেই শ্রমের জায়গা হরণ করে যন্ত্রশক্তি। মানুষ যন্ত্রকেই অবলম্বন হিসেবে বেছে নেয়। এমন ঘটনার ফল হয় দুই প্রকারের প্রথমত, মানুষের কার্য সংক্রান্ত সুবিধা বাড়ে দ্বিতীয়ত, যন্ত্রের জন্য অনেক নিম্নবৃত্ত মানুষের রোজগার ব্যহত হয়। এছাড়াও এ.আই (AI) তথা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিজ্ঞানের এমন এক কৃষ্টি যা মানুষের জীবনে এনে দিয়েছে চরম বিপ্লব, যে বিপ্লবের সুবিধার থেকে অসুবিধার মাত্রা তথাকথিত ভাবে বেশি,কারণ মানুষ আসতে আসতে নিজ আত্মিক কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে ও এ.আই এর উপর ভরসা এবং বিশ্বাস বাড়াছে। এই লক্ষণ স্বভাবতই ভবিষ্যত বিপর্যয়ের অশনি সংকেত ছাড়া আর কিছুই নয়।

বিজ্ঞান ও পরিবেশ :
বিজ্ঞানের উন্নতি সাধনের সাথে জড়িত কিছু কুপ্রভাবের ফলে প্রভাবিত অংশবিশেষ হলো পরিবেশ। নানান বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ফলে আমাদের পরিবেশেরও বিভিন্ন প্রকারের ক্ষতিসাধন হয়। সাম্প্রতিক কালে বহুল ব্যবহৃত এয়ার-কনডিসানার, ফ্রিজ এসবের থেকে নির্গত ক্লোরোফ্লুরো-কার্বন, ওজোন স্তরকে (Ozone Layer) ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে যার ফলে ভূপৃষ্ঠে প্রবেশ করে অতিবেগুনী রশ্মি। এই রশ্মি শুধু পরিবেশকে যে উত্তপ্ত করে তা নয় এর পাশাপাশি মানুষের শরীরের ক্ষতিসাধন করে অধিক পরিমানে। এছাড়া নানান স্থানের শিল্পবিপ্লবের ফলে বৃক্ষছেদন বর্তমান সময়ে তুমুল পরিমানে বেড়ে চলছে যার ফলেও পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য সময়ের সাথে বিনষ্ট হচ্ছে। সমসাময়িক কালে এমন অসংতির মোকাবিলার জন্য ইকো-ফ্রেন্ডলি প্রযুক্তির ব্যবস্থাপনা শুরু হয়েছে। আসন্ন ধ্বংস রোধের জন্য এমন সুন্দর পরিকল্পনার বিষয়টিও বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর নির্ভর করেই সৃষ্ট। তথাপি আমরা বলতে পারি বিজ্ঞানের অনেক রকমের দিক আছে , যে দিক গুলির মধ্যে ভালোটাকে বেছে নেওয়াই আমাদের মোক্ষম দায়িত্ব।

আধুনিক সভ্যতায় বিজ্ঞানের দান :
অনেক কুপ্রভাবের মাঝে বিজ্ঞানের সুপ্রভাবের দৃষ্টান্তও আছে ঢের। দেশ-বিদেশের বৈজ্ঞানিকেরা সর্বদায় মানুষের কল্যাণ সাধনে ব্রতী থাকেন। এবং এই কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে , তাদের দ্বারা নির্মিত আবিষ্কারগুলি হয়ে ওঠে মানব সম্প্রদায়ের প্রতি দানস্বরূপ। আমাদের আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতির যাত্রায় বিজ্ঞানের দানের অনেক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গুলির মধ্যে কিছু উল্লেখ করা হলো নিম্নে —
যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেসবথেকে কার্যকরী আবিষ্কার হলো রেলগাড়ি ও রেলপথ। ভারতের স্বাধীনতার পূর্বে ইংরেজদের দ্বারা নিয়ে আসা এই রেলব্যবস্থা সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত মানব সভ্যতার এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসেবে রয়ে গিয়েছে। এখন রেলগাড়ি ছাড়াও মেট্রো, বাস, দুইচাকা – চারচাকা বিশিষ্ট গাড়ি ইত্যাদির উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।
● কৃষিক্ষেত্রে কীটনাশক এবং কৃষির সুবিধা সংক্রান্ত নানান যন্ত্র বিশেষ উল্লেখ্য। তবে এই কীটনাশকের খারাপ প্রভাবও আছে বহুল। বর্তমানে এই ক্ষতি রোধেরও পরিচেষ্টাও করা হচ্ছে। এছাড়া জৈবিক সার ,গবেষণার মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি , বীজ সংরক্ষণ ইত্যাদিও করা হচ্ছে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাম্প্রতিককালের প্রেক্ষিতে সবথেকে উল্লেখ্য আবিষ্কার হলো করোনার টীকা। বিশ্বের মানুষেরা যখন মহামারীর প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছিলো তখন এই টীকা মানব জীবনে নিয়ে আসে আশার আলো। মানুষ অতিমারীর সাথে যুদ্ধে জিততে সক্ষম হয় টীকার জোরেই। অচল হয়ে যাওয়া সমাজ ব্যবস্থা আবারো সচল হয়ে ওঠে, বৈজ্ঞানিকদের কঠোর পরিশ্রমে।
পৃথিবীর বাইরের জগৎকে পরিদর্শনের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী বাদে অন্যান্য গ্রহ সমন্ধে এনারাই অনুসন্ধান করে , সাধারণের সামনে তা পেশ করেন । প্রসঙ্গত ভারতের ‘ISRO’ দ্বারা প্রেরিত চন্দ্রযান , আমাদের কাছে এক অভিনব চমৎকার। এছাড়াও নাসা (NASA) হলো আর এক সংস্থা , যে সংস্থা প্রতিনিয়ত মহাকাশের অনন্য সম্ভারের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।
বিনোদনের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুপূর্ণ কিছু আবিষ্কার হলো টেলিভিসান, মোবাইল সর্বোপরি ইন্টারনেট। এ সময়ে মানুষ সর্বদাই এই বিনোদন জগতের সাথে যুক্ত থাকে ইন্টারনেট মাধ্যমে। ইন্টারনেট মানব সম্প্রদায়ের কাছে সারা বিশ্বকে একজায়গায় এনে দেয়। ফলত বলাইবাহুল্য এই আবিষ্কার সত্যই আধুনিক যুগের প্রেক্ষিতে অত্যাধুনিক।
শিক্ষাক্ষেত্র এবং শিল্পক্ষেত্রকে মুদ্রণযন্ত্র ও কলকারখানার উপস্থিতি বিশেষ গতি প্রদান করে।
মানুষ নানা ধরণের ঝুকি সম্পন্ন কাজ থেকে ছুটি পায় যন্ত্রের সহায়তায় ফলত কর্ম সংক্রান্ত দুর্ঘটনার মামলা একটু হলেও কমতে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন কিছু ছাপানোর ক্ষেত্রে মুদ্রনের ভূমিকা অনন্য। লেখা অক্ষর, মুদ্রনের ফলেই আত্মপ্রকাশ করে সগৌরবে। বর্তমানে এই মুদ্রন সংক্রান্ত নানাধরণের যন্ত্রের অবস্থান পরিলক্ষিত হয়।

বিজ্ঞানের অপব্যবহার :
প্রত্যেক বিষয়েরই ভালো খারাপ দুই দিকই বর্তমান থাকে। বিজ্ঞানেরও অনুরূপ ভাবেই ভালো ও খারাপ দিক দুই-ই বিরাজমান। বিজ্ঞানের মাধ্যমে নানান আশ্চর্য চমৎকার আবিষ্কার করা সম্ভব , বলাবাহুল্য এই আবিষ্কার গুলির মধ্যে কিছু হয় সৃজনাত্মক আবার কিছু হয় ধ্বংসাত্মক। স্পষ্টতই এই ধ্বংসাত্মক আবিষ্কার গুলি সৃষ্টি হয় বিজ্ঞানের অপব্যবহারের ফলেই। সময়ের প্রেক্ষিতে এই অপব্যবহারের বিভিন্ন উদাহরণ আমরা পাবো। তবে বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞানের অপব্যবহারের এক অন্যতম দৃষ্টান্ত হলো দেশের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়াতে ব্যবহৃত নানা ধরণের হাতিয়ার। অসৎ মানুষেরা বিজ্ঞানের সহায়তা নিয়ে , ধ্বংসলীলা চালাতে নির্মাণ করে বিভিন্ন ধরণের মারণাস্ত্রের। যার ফলে দেশের সীমান্তে বেজে ওঠে তুমুল রণদামামা। জঙ্গীরা অসৎ পথে বোমা বানিয়ে সাধারণের জীবন ধ্বংসের লীলাখেলায় মেতে ওঠে শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য। এছাড়া ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়েও মানুষ, মানুষের অমোঘ ক্ষতিসাধন করে নির্ধিধায়।

উপসংহার :
বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান বিনে এক পা চলাও কষ্টসাধ্য। এই কারণে সমস্ত মানুষের উচিত বিজ্ঞানের ইতিবাচক দিক গুলিকে গ্রহণ করে নেতিবাচক দিক গুলি বর্জন করা। অন্যায় এর মাত্রাকে লাঘব করার দায়িত্ব আমাদেরই। বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে যে বা যারা সমাজকে কলুষিত করে, তাদের প্রতিরোধ করে মানব সভ্যতাকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব প্রত্যেকটি মানুষের। বিজ্ঞানকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করলেই, বিজ্ঞান অভিশাপ নয় আশীর্বাদ হিসেবে আমাদের সভ্যতায় একাধারে বর্ষিত হবে এবং বিজ্ঞানের ইতিবাচক অগ্রগতি বজায় থাকবে।