রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুরাশা গল্প – তথ‍্যমূলক প্রশ্নোত্তর


১) কথক যেখানে গিয়ে দেখলেন মেঘ বৃষ্টিতে দশদিক আচ্ছন্ন – দার্জিলিঙ।
২) হোটেলের যে খাবার শেষ করে কথক বেড়াতে বেরিয়েছিলেন – প্রাতঃরাশ।
৩) বৃষ্টির মধ‍্যে কথক যা পরে বাইরে বেরিয়েছিলেন – পায়ে মোটা বুট ও আপাদমস্তক ম‍্যাকিন্টশ।
৪) কথক যে রোডে একাকী পদচারণা করছিলেন – ক‍্যালকাটা রোডে।
৫) কথক কাঁদতে দেখেছিলেন – গৈরিকবসনাবৃত নারীকে।
৬) ক্রন্দনরতা নারীর সঙ্গে কথক যে ভাষায় কথা বলেছিলেন – হিন্দি।
৭) ক্রন্দনরতা নারী আসলে – বদ্রাওনের নবাব গোলামকাদের খাঁর পুত্রী।
৮) নবাবজাদীর সঙ্গে কথকের দেখা হয়েছিল – দার্জিলিঙের ক‍্যালকাটা রোডে।
৯) নবাবজাদীর যে সম্বোধনে কথকের রাগ হয়েছিল – বাবুজী।
১০) নবাবজাদীর যে কথায় কথকের মনে হয়েছিল তার আদেশ করার ক্ষমতা আছে – বৈঠিয়ে’
১১) কথক ঐ নবাবজাদীর পাশে বসে অনুভব করেছিলেন – আত্মগৌরব।
১২) গল্পে যে দুটি সংস্কৃত সাহিত‍্যের উল্লেখ আছে – মেঘদূত ও কুমারসম্ভব।
১৩) গল্পে উল্লেখিত সংস্কৃত কাব‍্য দুটির রচয়িতা – কালিদাস।
১৪) কথক হিন্দি শিখেছেন যাদের সঙ্গে কথোকপকথনের সূত্রে – হোটেলের দারোয়ান ও বেহারা।
১৫) নবাবজাদীর পিতৃকূলে যে বংশের রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল – দিল্লীর সম্রাট বংশের।
১৬) নবাবজাদীর সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল – লক্ষ্ণৌয়ের নবাবের।
১৭) নবাবজাদীর গল্পের প্রেক্ষাপট – সিপাহি বিদ্রোহ।
১৮) নবাবজাদীর ভাষা শুনে কথকের মনে যে ছবির উদয় হল – মোগলসম্রাটের মানসপুরীর।
১৯) গোলামকাদের খাঁর কেল্লা যে নদীর তীরে অবস্থিত – যমুনা।
২০) নবাবের ফৌজের অধিনায়ক ছিলেন – কেশরলাল, হিন্দু ব্রাহ্মণ।
২১) নবাবজাদী কেশরলালকে দেখতেন – অন্তঃপুরের গবাক্ষ থেকে।
২২) কেশরলাল সূর্য প্রণাম সেরে যে রাগে ভজনা করতেন – ভৈরোঁ রাগে।
২৩) নবাবদের মধ‍্যে ধর্মবন্ধন শিথিল হয়ে গিয়েছিল – বিলাসে, মদ‍্যপানে, স্বেচ্ছাচারে।
২৪) কেশরলালের গৌরবর্ণ দেহ যার মতো নবাবজাদীর মনে হত – ধূমলেশহীন জ‍্যোতিঃশিখা।
২৫) হিন্দু বাদীর যে কাজ দেখে নবাবজাদীর আনন্দ ও ঈর্ষা উভয়‌ই হত – সে প্রতিদিন প্রণাম করে কেশরলালের পদধূলি নিত।
২৬) যিনি কারো দানপ্রতিগ্রহ বা অন্নগ্রহণ করেন না – কেশরলাল।
২৭) নবাবজাদীর বালিকাহৃদয়ের কাছে রমণীয় রূপকথার রাজ‍্য ছিল – হিন্দু সংসার।
২৮) নবাবজাদী তার সমস্ত গয়না পাঠিয়েছিল – কেশরলালকে।
২৯) নবাবজাদী তার সমস্ত গয়না কেশরলালকে পাঠিয়েছিল – হিন্দু বাঁদীর মাধ‍্যমে।
৩০) কেল্লায় জিলার কমিশনার সাহেব প্রবেশ করেছিলেন – অপরাহ্নে।
৩১) জিলার কমিশনার সাহেব কেল্লায় যাদের সঙ্গে করে এনেছিলেন – লালকূর্তি পরা গোরা সেনা।
৩২) জেলার কমিশনার সাহেব যখন কেল্লায় প্রবেশ করে তখন কেশরলাল – পুরানো অস্ত্র পরিষ্কার করছিল।
৩৩) কেশরলাল যে সব অস্ত্র পরিষ্কার করছিল – বন্দুকের চোঙ ও তলোয়ার।
৩৪) জেলার কমিশনার সাহেবকে গোপনে বিদ্রোহ সংবাদ পাঠিয়েছিল – নবাব গোলামকাদের খাঁ।
৩৫) কেশরলালের অলৌকিক আধিপত‍্য ছিল – বদ্রাওনের ফৌজের ওপর।
৩৬) বদ্রাওনের ফৌজ যা নিয়েও কেশরলালের সঙ্গ দিতে প্রস্তুত – ভাঙা বন্দুক ও ভোঁতা তরবারি।
৩৭) নবাবজাদী অন্তঃপুর থেকে বেরিয়ছ গেলেন যার ছদ্মবেশে – পুরুষের।
৩৮) নবাবজাদী পুরুষের ছদ্মবেশ নিতে যার পোষাক ব‍্যবহার করেছিলেন – ভাইয়ের।
৩৯) বিশ্বাসঘাতক পিতার ঘর নবাবজাদীর কাছে প্রতিভাত হল – নরক হিসাবে।
৪০) যেদিন যুদ্ধ হয় সেদিন সন্ধ‍্যাকাশে ছিল – শুক্লপক্ষের পরিপূর্ণ চন্দ্রমা।
৪১) গৃহত‍্যাগী নবাবজাদী কেশরলালকে খুঁজে পেয়েছিল – রাত্রি দ্বিপ্রহরে।
৪২) কেশরলালের ভক্তভৃত‍্যের নাম – দেওকিনন্দন।
৪৩) যুদ্ধক্ষেত্রে কেশরলালের যে অঙ্গ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল – বাম চোখ।
৪৪) নবাবজাদীর পরিচয় পাওয়ামাত্র কেশরীলাল গর্জন করেছিলেন – সিংহের মতো।
৪৫) কেশরলাল নবাবজাদীকে আঘাত করলেন – কপোলদেশে, দক্ষিণ করতল দিয়ে।
৪৬) কেশরলালকে যুদ্ধক্ষেত্রে জল দিয়ে বাঁচিয়েছিল – নবাবজাদী।
৪৭) নবাবজাদী যখন গৃহত‍্যাগ করেছিলেন তখন তার বয়স – ১৬ বছর।
৪৮) কেশরলালের আচরণ শুনে কথক প্রথমে কেশরলালকে সম্বোধন করেছিল – জানোয়ার বলে।
৪৯) কেশরলাল জ্ঞান ফিরে পেয়ে চলে গেল – নৌকাপথে যমুনা দিয়ে।
৫০) কেশরলাল পরবর্তীকালে যার দলে যুক্ত হয়েছিলেন – তাঁতিয়া টোপী।
৫১) নবাবজাদী গৃহত‍্যাগ করে বাস করতেন – কাশীতে।
৫২) নবাবজাদী কাশীতে থাকতেন – শিবানন্দ স্বামীর আশ্রমে।
৫৩) নবাবজাদী পিতৃ সম্বোধন করতেন – শিবানন্দ স্বামীকে।
৫৪) নবাবজাদী শিবানন্দ স্বামীর কাছে থাকে – যোগিনী বেশে।
৫৫) নবাবজাদী শিবানন্দ স্বামীর কাছে যে বিষয় অধ‍্যয়ন করতেন – সংস্কৃত।
৫৬) হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী শূদ্র ব্রাহ্মণ হয়েছে – জ্ঞান ও তপস‍্যার দ্বারা।
৫৭) নবাবজাদী ব্রাহ্মণ হবার তপস‍্যা করেছিলেন – ত্রিশ বছর।
৫৮) নবাবজাদী কেশরলালের খোঁজ করতে বেরিয়েছিলেন – ভৈরবী বেশে।
৫৯) দেশের স্বদেশী কার্যকলাপের খবর আসত – শিবানন্দ স্বামীর কাছে।
৬০) কেশরলাল রাজদন্ড থেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে – নেপালে।
৬১) কেশরলালকে খুঁজতে খুঁজতে নবাবজাদী এসেছেন – দার্জিলিঙে।
৬২) কেশরলালের দেখা রমণী পেয়েছে – ৩৮বছর পর।
৬৩) নবাবজাদী ৩৮বছর পর কেশরলালকে দেখলেন – ভুটিয়াপল্লীতে ভুট্টা থেকে শস‍্য সংগ্রহ করতে।
৬৪) কেশরলালের সঙ্গে যারা ছিল – তার ভুটিয়া স্ত্রী ও তার পর্ভজাত পৌত্র, পৌত্রী।
৬৫) নবাবজাদী যাকে ধর্ম অনাদি অনন্ত বলে জানতেন তা আসলে – অভ‍্যাস সংস্কারমাত্র।
৬৬) কেশরলালের ধর্ম রক্ষা করতে না পারার কারণ – প্রাণ ভয়।
৬৭) রমণীর কাহিনি কথকের কাছে মনে হল – কল্পনাখন্ড।
৬৮) নবাবজাদী রমণী কথককে প্রথমে যা বলে বিদায় জানিয়েছিল – নমস্কার বাবুজী।
৬৯) পরে নিজের ভুল সংশোধন করে বলেছিল – সেলাম বাবুসাহেব।
৭০) নবাবজাদী কথকের সামনে মিলিয়ে গেল – মেঘের মতো।