চন্দ্রযান ৩ প্রবন্ধ রচনা

কলমে : অনন্যা সাহা, বি.এ (বাংলা), বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়


ভূমিকা :
মানুষ স্বভাবগত ভাবেই সুদূরের পিয়াসী। গতানুগতিক বিষয় ছাড়াও যে চারপাশে আরও অনেক ধরণের অভূতপূর্ব বিষয়বস্তুর সমান ভাবে অবস্থান আছে তা মানুষ অনেক পূর্ব কাল থেকেই অনুধাবন করে। এবং এই অনুধাবনকে তারা প্রমাণ সমেত সাধারণিকরণের প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়। বলাবাহুল্য সময়ের সাথে এই প্রমাণ করার প্রচেষ্টা আরও বাড়তে থাকে এবং এরই সাথে প্রমাণ করার প্রচেষ্টার পন্থাও উন্নততর হতে থাকে।
      আমাদের বাসভূমি পৃথিবীর বাইরেও এক মহাজাগতিক শক্তি তথা মহাজাগতিক সম্ভারের অস্তিত্ব আছে যার কেন্দ্রভূমি হলো মহাকাশ। মহাকাশের এক অতী ক্ষুদ্র অংশ জুরে আমাদের পৃথিবীর অবস্থান। এবং আবিষ্কার সূত্রে জানা যায় আমাদের পৃথিবী বাদেও আরও অনেক গ্রহ উপগ্রহ মহাকাশের বুকে বিদ্যমান। সাধারণ বুদ্ধিতে চিন্তা ভাবনা করলে অবাক লাগে যে এই মহাকাশ আসলে অনন্ত। নানা নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ সর্বোপরি গ্যালাক্সি মিলিয়ে এই মহাকাশ নির্মিত। আমরা অনু-পরমাণুর থেকেও ক্ষুদ্র জায়গা জুরে বিরাট ব্রহ্মান্ডের একটি নূন্যতম স্থানের অধিবাসী। এমন হলেও আমরা বিজ্ঞানের জোরে বিশালকে সাধারণ ভাবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করেছি।
       মনে মনে আমরা সকলেই জানি মহাকাশের মাঝে আমাদের অস্তিত্ব কোনোভাবেই তেমন বৃহৎ নয় কিন্তু তবুও আমরা আমাদের এই ক্ষুদ্র অস্তিত্বের জোরেই বিরাট ব্রহ্মান্ডের সত্য উদ্ঘাটনে ব্রতী হয়েছি বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে।
আমাদের গ্রহ বাদে মহাকাশে তথা সৌরজগতে অবস্থিত এক অন্যতম উপগ্রহ হলো চাঁদ। মানুষ রকেটের মাধ্যমে অনেক আগেই পৃথিবীর বাইরে গিয়ে চাঁদে নিজেদের চাপ ফেলেছিলো। তবে সাম্প্রতিক ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা কর্তৃক প্রেরিত চন্দ্রযান ৩ সার্থক ভাবে চাঁদে আবারো পদার্পন করে। এই প্রেরণের উদ্দেশ্য ছিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পাদনা করা এবং রোভারের মহাকাশে ঘুরে বেড়ানোর সক্ষমতা যাচাই করা। ভারতই প্রথম এ কাজ সম্পন্ন করে ও যানের অবতরণ স্থল হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে নির্বাচন করে। ভারতের বিজ্ঞানীরা মনে করেন এই অভিযানের মাধ্যমে চাঁদ সম্বন্ধীয় আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু আবিষ্কার অতীব সহজে সফল করা সম্ভব হবে।

চন্দ্রযানের ইতিহাস :
চন্দ্রযান ১ হল ভারতের প্রথম চন্দ্র অভিযান। এই অভিযানের মূল কান্ডারী ছিল ইসরো অর্থাৎ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। একটি অরবিটার এবং একটি ইমপ্যাক্টর দ্বারা এই যান চালিত। উক্ত মিশনটি কোনো মানুষ দ্বারা নয় বরং উপরে উল্লিখিত দুই বস্তু দ্বারা চালিত হয়েছিল। চন্দ্রযান ১ কে, পিএসএলভি -সি১১ নামক এক মহাকাশযানের মাধ্যমে, মহাশূন‍্যে উৎক্ষেপন করা হয় অন্ধ্রপ্রদেশের, নেলোর জেলার, শ্রীহরীকোটা থেকে। এই যানকে মহাকাশে পাঠানো ভারতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ইতিহাসে গণ্য। ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর চন্দ্রযান ১ সাফল্যতার সাথে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে।

চন্দ্রযান ২ হলো ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্র অনুসন্ধানী অভিযান যা ২২ শে জুলাই ২০১৯ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়। জিএসএলভি মার্ক ৩ নামক মহাকাশ যানের মাধ্যমে এই চন্দ্রযান ২ কে উৎক্ষেপ করা হয়। উক্ত অভিযানটিও চালিত হয় ইসরো – এর দ্বারা। এই অভিযানটির মূল উদ্দেশ্য ছিল চন্দ্রে জলের অবস্থান এবং প্রচুর্যতা নিয়ে মানচিত্রনির্মাণ। চাঁদের কক্ষ পথে কৃত্তিম উপগ্রহ হিসেবে এই যান কার্যকর হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়। তবে অবতরণের দিনে রাত ১:৫২ টা নাগাদ, চন্দ্রপৃষ্ঠের ২.১ কিলোমিটারউচ্চতায় চন্দ্রযান ২ নিজ লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে হয়ে যায় এবং হেড কোয়াটারের সাথে যানটির সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
     পরবর্তীতে চন্দ্রযান ৩, ১৪-ই জুলাই ২০২৩ সালে উৎক্ষেপণ করা হয় এবং সাফল্যতার সাথে ২৩-শে অগাস্ট ২০২৩ সালে যানটি চন্দ্র পৃষ্ঠে অবতরিত হয়। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এর অবতরণ ঘটে। এবং এই সাফল্যতার সাথে ভারতের ইসরোইউএসএসআর, নাসা এবং সিএনএসএ-এর পরে, চাঁদে অবতরণে সক্ষম চতুর্থ মহাকাশ সংস্থায় পরিণত নয়।

চন্দ্রযান ৩ এর বিশিষ্টতা :
• এই অভিযানের ধরণ হলো রোভার এবং ল্যান্ডার।
• এর পরিচালক ও প্রস্তুতকারক হলো ইসরো।
• এই অভিযানের মোট সময়কাল ১মাস ১৩ দিন।
• অভিযানে ব্যবহৃত যানসমূহ : প্রপালশান মডিউল,বিক্রম ল্যান্ডার ও প্রজ্ঞান রোভার।
• এর মোট উৎক্ষেপণ ভর ৩৯০০ কেজি।
• পেলোড গুলির ভর :
প্রপালশান মডিউল – ২১৪৮ কেজি
ল্যান্ডার মডিউল – ১৭২৬ কেজি
রোভার – ২৬ কেজি
• পেলোড গুলির ক্ষমতা :
প্রপালশান মডিউল – ৭৫৮ ওয়াট
ল্যান্ডার মডিউল – ৭৩৮ ওয়াট
রোভার –  ৫০ ওয়াট
• চন্দ্রযানের কক্ষপথীয় সন্নিবেশ ঘটে ৫ অগাস্ট
২০২৩- এ।
• মহাকাশ যানের মূল উপাদান বিক্রম ল্যান্ডার যার অবতরণের তারিখ ২৩  আগস্ট ২০২৩।

অভিযানে বিজ্ঞানীদের অবদান :
ইসরো এর অনেক সদস্যই এই অভিযানের সাথে যুক্ত ছিলেন যাঁদের মধ্যে কিছু জনের অবদান এই অভিযানের ক্ষেত্রে অনসীকার্য।
চন্দ্রযান ৩ এর মিশন ডিরেক্টর হলেন মোহন কুমার এবং রকেট ডিরেক্টর হলেন বিজু.সি থমাস।
মিশনটি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সিস্টেম এ সহযোগী হিসেবে এছাড়া প্রকল্প ও উপ-প্রকল্প চালনা প্রভৃতি স্থানে নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকে সমান ভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থারচেয়ারম্যান হলেন ডঃ এস সোমনাথ। এনার তদারকিতেই মুন ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদে সফ্ট ল্যান্ডিং করে। তাঁর দায়িত্ব ছিল যানের ল্যান্ডিং ঠিক ভাবে তথা সফল ভাবে হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা। তিনি অতীব দক্ষতার সাথে বিক্রমের ক্র্যাশ ল্যান্ডিং জনিত সমস্যার সমাধান করেন।
এছাড়া যানটির সফল উৎক্ষেপণের পেছনে রয়েছে ২৫ জন্য বঙ্গবাসীর কৃতিত্ব। কোলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর এ সমস্ত স্থান থেকে আগত এই বঙ্গ সন্তানেরা চন্দ্রযানের সাফল্যের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। মানস সরকার, অমিত মাজি, জয়ন্ত লাহা, অনুজ নন্দী, মৌমিতা দত্ত প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ এই অভিযানের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন।
চন্দ্রযান ৩ মিশন এর সাথে একশোরও বেশি বিজ্ঞানী যুক্ত ছিলেন। আগের অভিযানে ব্যর্থতার পর থেকেই তারা জোর কদমে পরবর্তী অভিযানের জন্য কাজ শুরু করে দেন। আগের অভিযানে যে যে সমস্যার সম্মুখীন তারা হয়েছিলেন তা সমাধানের প্রচেষ্টা তারা করতে থাকেন এবং শেষ পর্যন্ত তারা চন্দ্রযান ৩ এর মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেন।

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণ :
       চন্দ্রযান ৩ অভিযানটির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট হল এটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেঅবতরণ করেছে। চাঁদের এই দক্ষিণ পৃষ্ট বৈজ্ঞানিক মহলে বিশেষ আকর্ষনীয় কারণ এই পৃষ্ঠে সাম্প্রতিক জলের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। ফলত চন্দ্রের দক্ষিণ পৃষ্ঠের প্রতি বিশ্বের বিজ্ঞানীদের আগ্রহ এবং মনোযোগ দুইই বেশি। ভারত চন্দ্রযান ৩ এর মাধ্যমে চাঁদের এই দক্ষিণ পৃষ্ঠেই অবতরণে সফলতা অর্জন করে।
       ইসরো সংস্থার মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী চাঁদের দক্ষিণ ভাগে যানটির মুন রোভার প্রজ্ঞান অবতরণের দিন থেকে পরবর্তী ১৪ দিন ধরে নানা ছবি ও ডেটা ভারতের হেড কোয়াটার-এ পাঠাতে থাকবে। এবং এই চোদ্দ দিন পরে রোভারের সক্রিয়তা তথা কর্মক্ষমতা কমে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই কর্মক্ষমতা কমে আসার কারণ হলো সোলার সেল। উক্ত দুই সপ্তাহের মধ্যে চন্দ্রযান ৩ চাঁদের বুকে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে। যে পরীক্ষা গুলির মধ্যে অন্যতম হলো চাঁদে কি ধরণের খনিজ আছে সেটা সম্মন্ধে জানা।

চন্দ্র অভিযানে ভারতের সাফল্য :
       চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সার্থক ভাবে অবতরণের জন্য ভারত প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নিজের চাপ ফেলে ২০২৩ সালে। ২৩ শে আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা ৪মিনিটে চন্দ্রযান ৩ চন্দ্রে অবতরণ করে। এই সাফল্যতার জন্য ভারত বিশ্বের এলিট স্পেস ক্লাবেও জায়গা করে নেয়। গত ১৪ জুলাই সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এই যানের যাত্রার সূত্রপাত হয়েছিল। সঠিক সময়ে যানটি চন্দ্রের নামার পরে এই সাফল্যতার কথা সারা ভারত তথা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে এবং এই সাফল্যতার জন্য ভারতবাসী আনন্দে ও আহ্লাদে রীতিমতো উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই সাফল্যতার দৃশ্য সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায় বসে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করেন। অভিযানের সাথে যুক্ত সমস্ত বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি লাইভ কাস্ট এর মাধ্যমে সারা ভারতবাসী বিক্রমের সফল ল্যান্ডিং এর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত ছিল ২৩ শে আগস্ট দিনটিতে ।
    অভিযানের সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত সম্বন্ধে এই মন্তব্য করেন যে এই ঘটনা হলো নতুন ভারতের নতুন উড়ান এছাড়া তিনি এও বলেন যে ২৩ শে আগস্ট দিনটিতেই নতুন ভারতের জয় ঘোষিত হয়েছে। সারা ওটিটি প্ল‍্যাটফর্ম জুড়ে চন্দ্রযান ৩ এর শেষ যাত্রার মুহূর্ত গুলি লাইভ টেলিকাস্ট করা হয় ও এর সাফল্যতার পরে সারা সোশ্যাল মিডিয়া ভারতের প্রতি অমোঘ অভিনন্দন জ্ঞাপনে মেতে ওঠে, এখানেই ইসরো তথা ভারতের নিজস্ব স্বতন্ত্র সাফল্য।

চন্দ্রপৃষ্ঠে পরবর্তী কার্যক্রম এবং বিজ্ঞানে অভিযানটির সার্থক অবদান :
      চাঁদের দক্ষিণ মেরুর যে অংশটিতে বিক্রম ল্যান্ডার নেমেছে সেই স্থানের নামকরণ করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পয়েন্টটির নাম শিবশক্তি। বর্তমানে সেই শিবশক্তি পয়েন্ট এর চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রজ্ঞান রোভার। এবং রোভার দ্বারা তোলা ছবিও সমাজ মাধ্যমে ইসরো সময় সময় সাধারণের কাছে প্রকাশ করছে। এবার এই চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডিং এর পরে পরবর্তী কি কার্যক্রম তা নিয়ে ইসরো কিছু তথ্য ঘোষণা করে সমাজ মাধ্যমে। তারা বলে এই চন্দ্রযান ৩ কে প্রধান তিনটি লক্ষ্যের সমন্বয়ে মহাকাশে উৎক্ষেপন করা করা হয় যথা –
১) চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এর সফল অবতরণ,
২) চাঁদের মাটিতে বিক্রম ল্যান্ডার থেকে প্রজ্ঞান রোভারকে বের করা এবং
৩) চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করা।
ফলত উক্ত তথ্য থেকে আমরা বলতে পারি চাঁদে নামার পরে চন্দ্র যানের পরবর্তী কার্যক্রম বৈজ্ঞানিক ভাবে বিশেষ তাৎপর্যবাহী। ইতিমধ্যেই সাম্প্রতিক সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে প্রজ্ঞান রোভার চাঁদের মাটিতে সেখানকার রাস্তা অতিক্রম করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর নানা রহস্য উদ্ঘাটন করতে ব্যাপৃত হয়েছে। এছাড়া বিক্রম ও প্রজ্ঞানের পেলোড চালু করা হয়েছে এবং এই দুই যন্ত্রের প্যারামিটার গুলিও সঠিক ভাবে কাজ করছে। এই লক্ষণ গুলি চাঁদের বুকে পরবর্তীকালে ঘটিত নানা বিজ্ঞান সংক্রান্ত আবিষ্কারের বিষয়কেই নিশ্চিত করে তোলে।

উপসংহার :
    স্বভাবতই এই অভিযান মানুষের মনে এক বৃহৎ আলোড়নের সৃষ্টি করে। মানুষ চন্দ্র যান ৩ এর সাফল্যতাকে নিজের ব্যাক্তিগত সাফল্যতা হিসেবে ধরে, আনন্দের জোয়ারে ভেসে যায়। লাইভ স্ক্রিনে অভিযানের একচ্ছত্র সাফল্যতাকে প্রতক্ষ্য করে, দেশবাসী গর্বে ভরে ওঠে এবং আনন্দ প্রকাশের জন্য তারা সমাজমাধ্যমে তথা সোস্যাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রতিক্রিয়া সবার সাথে ভাগ করে নেয়। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রায় সকলের কাছেই ইন্টারনেট থাকা খুব একটা অমুলক নয়। মানুষ তথা সারা দেশবাসী এই ইন্টারনেট মাধ‍্যমকে কাজে লাগিয়েই নিজেদের মনোভাব প্রকাশ করে এবং এর পাশাপাশি তারা অভিযান সংক্রান্ত নানা খবর এবং নানা মানুষের প্রতিক্রিয়া প্রত্যক্ষ করে। সাধারণ মানুষ ছাড়াও দেশের রাজনৈতিকদলের নানা ব্যক্তি, বিনোদন জগতের সাথে যুক্ত বিভিন্ন তারকাবর্গ এছাড়াও দেশের জ্ঞানী ব্যক্তিসকল চন্দ্রযান ৩ এর  সার্থক ল্যান্ডিং এর জন্য শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে। বলাবাহুল্য সারা দেশের জনতা চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্য হাসিলের কারণে প্রবল আনন্দ এবং গর্ব অনুভব করে।
     চন্দ্র যান ৩ এর সফল অবতরণের পরে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরো তাদের মহাকাশ গবেষণাকে আরও অধিক মাত্রায় চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করে। এছাড়া তারা তাদের গবেষণা সংক্রান্ত আকাঙ্ক্ষাকে পরবর্তী পর্যায়ে সফলভাবে চরিতার্থ করার কার্যক্রম গ্রহণ করে। সর্বোপরি ইসরো এর আসন্ন মিশন গুলির মধ্যে অন্যতম হল আদিত্য-এল ১।