প্রিয় ছোটোগল্প – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমাপ্তি
সোমা রানা (বি.এ, বাংলা), সুবর্ণরেখা মহাবিদ্যালয়
১. ভূমিকা :
আধুনিক যুগের শিল্প-বানিজ্যের প্রসারে এবং প্রযুক্তি ও যন্ত্রের প্রভাবে মানুষের জীবনে এসেছে ব্যস্ততা৷ তাই আগের মতো মানুষের হাতে বড়ো বড়ো সাহিত্য, উপন্যাস পড়ার সময় আর নেই৷ অথচ মানুষ জীবনের কথা জানতে চায়, সাহিত্য পড়তে চায়৷ তাই তো আধুনিক যুগের সমোপযোগী করে ছোটগল্পের আবির্ভাব হয়৷
২. ছোটোগল্পের পরিচয় :
বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে ছোটো সন্তান হল ছোটগল্প৷ জন্ম উনিশ শতকে৷ গল্প আর ছোটোগল্প এক নয়, গল্প হল বর্ণিত অখ্যান৷ যা অনেক যুগ আগে থেকেই প্রচলিত৷ কিন্তু এই ছোটগল্পের একটি নিজস্ব বিশেষ রীতি, শৈলী ও রূপ আছে৷ যা পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধ করে৷ রবীন্দ্রনাথ-ই প্রথম ছোটোগল্পের বিষয় ও রীতি সম্বন্ধে বলেছেন তাঁর ‘বর্ষাযাপন ‘ কবিতায় –
“ছোটো প্রান, ছোট ব্যথা,
ছোটো ছোটো দুঃখ কথা নিতান্তই সহজ সরল
সহস্র বিস্মৃতি রাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি
তারি দু-চারিটি অশ্রুজল৷
নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা
নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ৷
অন্তরে অতৃপ্তি রবে, সাঙ্গ করি মনে হবে
শেষ হয়ে হইল না শেষ৷ “
অনেকের মতে ছোটো গল্প মানেই আকারে ছোটো হবে৷ কিন্তু তেমনটা নয় , বড়ো গল্পও ‘ছোটাগল্প’ হতে পারে৷ বরীন্দ্রনাথের এই বর্ষাযাপন কবিতার ভিত্তিতে ছোটোগল্পের একটি সংঙ্গা দেওয়া যায়-
যে সব গল্প হঠাৎ করে আরম্ভ হয় এবং হঠাৎ করেই শেষ হয়৷ গল্পের চরিত্র সংখ্যা কম থাকে৷ যেখানে জীবনের এক গুরুতপূর্ণ ঘটনা প্রকাশ পায়৷ গল্প শেষ হয়েও মনের মধ্যে অতৃপ্তি থাকে, তাকেই ছোটোগল্প বলে৷
রবীন্দ্রনাথের বেশির ভাগ ছোটোগল্পই আামার প্রিয়। তিনি প্রায় শতাধিক ছোটোগল্পের রচয়িতা৷ যেমন পোষ্টমাস্টার, নষ্টনীড় , সুভা, অতিথি প্রভৃতি৷
তবে আমার সবচেয়ে প্রিয় ছোটোগল্প হচ্ছে ‘সমাপ্তি’৷
এই সমাপ্তি গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩০০ সালে সাধনা পত্রিকায়, আশ্বিন কার্তিক সংখ্যায়৷
৩. লেখক পরিচিতি :
বাংলা সাহিত্যের এক স্বনামধন্য ব্যক্তি হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ তিনি একাধারে যেমন কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার রূপে বিশেষ পরিচিত,ঠিক তেমনি জনপ্রিয় ছোটোগল্পকার রূপে৷
১২৬৮ বাঙ্গাব্দের ২৫ শে বৈশাখ কলকাতার বিখ্যাত জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে রবীন্দ্রনাথের জন্ম৷ পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাতা সারদাদেবী৷ জমিদার বাড়ির ছেলে হওয়ায় তাঁর ছেলেবেলা কেটেছে বন্দি ঘরের মধ্যে৷ এমনকি তাঁর ছাত্রজীবনের সূচনাও হয় বাড়িতেই৷ তবে পরে লেখাপড়া করেন ওরিয়েন্টাল সেমিনারি ও নর্মাল স্কুলে৷ বিদ্যালয়ের নীরস শিক্ষা ও চার দেওয়ালের কৃত্রিম বন্ধন তাঁকে বেশিদিন বেঁধে রাখতে পারে নি৷ তিনি প্রকৃতির ডাক শুনতে পেয়েছিলেন৷ সতেরো বছর বয়সে ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য তিনি যান বিলেতে কিন্তু সে প্রয়াস সার্থক হয় নি৷ তা সত্ত্বেও তাঁর জ্ঞানের পরিধি ছিল বিশাল৷
তিনি মানসী , সোনার তরী, চৈতালী, নৈবদ্য, গীতাঞ্জলী, পূরবী, বলাকা, মহুয়া, পুনশ্চ প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন৷
এছাড়া তিনি বহু উপন্যাস রচনা করেন – রাজর্ষি , চোখের বালি, নৌকাডুবি, চারঅধ্যায়, গোরা, চতুরঙ্গ প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস৷
নাটকেও তিনি ছিলেন রাজাধিরাজ ডাকঘর, বৈকুন্ঠের খাতা, চিরকুমার সভা, রাজা, রক্তকরবী প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটক৷ এছাড়া তিনি বহু ছোটোগল্প ও গানের রচয়িতা৷ তাঁর রচিত গান ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত৷
১৯১৩ সালে তিনি গীতাঞ্জলী কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পান৷
১৯৪১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু হয়৷ যা বাঙালি জাতির পরম ক্ষতি৷ তবুও যতদিন এই বাঙালি জাতি, তার ভাষা ও সাহিত্য থাকবে ততদিন অমর হয়ে থাকবেন তিনি আমাদের মনে৷
৪. ‘সমাপ্তি’ গল্পের বিষয়বস্তু :
সমাপ্তি গল্পের শুরু হয়েছে গল্পের নায়ক অপূর্বকৃষ্ণের বি.এ পাশ করে বাড়ি ফেরার বর্ণনা দিয়ে৷ নদীপথে নৌকা করে যে কলকাতা থেকে সে তার গ্রামে ফিরছে৷ নৌকা থেকে নামার সময় সে কাদায় পড়ে ল্যাজেগোবরে হয়ে যায়। ঠিক তখনি ইটের স্তূপ থেকে এক মেয়ের হাসিতে সারা নদীঘাট কেঁপে উঠল৷ পাশের অশ্বস্থ গাছের পাখিগুলো উড়ে গেল৷ এই মেয়েই হচ্ছে গল্পের নায়িকা৷ নাম মৃন্ময়ী৷ সে অপূর্ব দের প্রতিবেশী ইশানের মেয়ে৷
” মৃন্ময়ী দেখিতে শ্যামবর্ণ ; ছোটো কোঁকড়া চুল পিঠ পর্যন্ত পড়িয়াছে৷ ঠিক যেন বালকের মতো মুখের ভাব৷ মস্ত মস্ত দুটি কালো চক্ষুতে না আছে লজ্জা, না আছে ভয়, না আছে হাবভাবলীলার লেশমাত্র৷ শরীর দীর্ঘ পরিপুষ্ট, সুস্থ, সবল, কিন্তু তাহার বয়স অধিক কি অল্প সে প্রশ্ন কাহার মনে উদয় হয় না; যদি হইত, তবে এখনো অবিবাহিত আছে বলিয়া লোকে তাহার পিতামাতাকে নিন্দা করিত৷ “
মৃন্ময়ীর ঘোরাফেরা ছেলেদের সঙ্গে, তাকে শিশু রাজ্যে বর্গির উপদ্রব বলে মনে হয়৷
সেদিন হঠাৎ ছেলেকে সামনে দেখে অপূর্বর মা রীতিমত অবাক হয়ে যান৷ এবং খাবার সময় অপূর্বর বিয়ের কথা বলেন৷ পাত্রী তাদের গ্রামেরই মেয়ে৷ অপূর্ব পরদিন সেজেগুজে পাত্রী দেখতে যায়৷ পাত্রী দেখাকালীন এক ঘটনা ঘটে। সেখানে এক মেয়ে ঝড়ের গতিতে প্রবেশ করে ও পাত্রীর ভাই রাখালকে নিয়ে টানাটানি শুরু করে৷ এই সে মেয়ে মৃন্ময়ী৷ অবশেষে রাখালকে নিয়ে যেতে না পেরে তার পিঠে এক চাপ্পড় মেরে পাত্রীর মাথার ঘোমটা খুলে, বরের নতুন জুতো নিয়ে পালায়৷ অবশেষে অপূর্বকে ছেঁড়া চটি পায়ে ফিরে আসতে হয়৷ বাড়িতে তার মা কনে কেমন দেখা হল এই কথার উত্তরে অপূর্ব – “মেয়ে দেখেছি মা, ওর মধ্যে একটিকে আমার পছন্দ হয়েছে৷ ” আর সেই মেয়ে হচ্ছে মৃন্ময়ী৷ এই বিয়ে নিয়ে অপূর্বর মা বেঁকে বসেন। কারন মৃন্ময়ীর মতো ডানপিটে মেয়েকে তিনি কখনোই নিজের ছেলের বউ করতে পারেন না৷ অবশেষে মা- ছেলের মান অভিমানের পর৷ বিয়েতে তিনি রাজি হন৷ বিয়ে হয়ে যায়৷ কিন্তু মৃন্ময়ীর মতো দুরন্ত মেয়ের সংসারে মন বসে না, সে কখনো রাখালের সাথে খেলতে চলে যায় আবার কখনো মাঝরাতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পরিযায়ী বাবার কাছে৷
অপূর্বর মা মানে তার শাশুড়ি তাকে গৃহবন্দি করে৷ সে বন্দি পাখির মতো ছটফট করতে থাকে৷ একদিন অপূর্ব তার কাছ থেকে লুকিয়ে মৃন্ময়ীকে নিয়ে যায় তার বাবার কাছে কুশীনগরে৷ দরিদ্র বাবা ইশান তাদেরকে খুব খাতির যত্ন করে৷ কিছুদিন থাকার পর তারা ফিরে আসে তাদের গ্রামে৷ তারপর অপূর্বকে আবার আইন পডতে যেতে হয় কলকাতায়। মৃন্ময়ী গেল না অপূর্বর সঙ্গে৷ অপূর্ব যাবার দিন মৃন্ময়ীর সোহাগ চুম্বন চায়৷ কিন্তু বাল্য মৃন্ময়ী হেসে অস্থির৷ শেষে অপূর্ব যদি তাকে চিঠি না লিখে ডাকে তবে সে আর আসবে না৷
অপূর্ব বিদায়ের পর মৃন্ময়ী অনুভব করে অপূর্ব ছাড়া এ দুনিয়া যেন শূন্য৷ হঠাৎ করে সে যেন বাল্য গ্রাম্যবালিকা থেকে যৌবনা নারীতে পরিনত হয়েছে৷ অপূর্বকে পাবার জন্য সে বিচলিত হয়ে পড়ে৷ চিঠি লিখে , তবে চিঠিতে ঠিকানা না লেখার জন্য তা অপূর্বর কাছে পৌঁছায় না৷
অবশেষে শাশুড়ি-বৌমা মিলে রওনা হয় কলকাতায়৷ উঠে অপূর্বর বোনের বাড়িতে৷ সন্ধ্যায় অপূর্বকে আমন্ত্রন করে তার ভগ্নিপতি৷ খাওযার পর অপূর্ব ঘরে যায়৷ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়েতে থাকে৷ আর সেই অন্ধকার ঘরে অপূর্বকে
“একটি সুকোমল বাহুপাশ তাহাকে সুকঠিন বন্ধনে বাঁধিয়া ফেলিল এবং একটি পুষ্পপুটতল্য ওষ্ঠাধর দস্যুর মতো আসিয়া পড়িয়া অবিরল অশ্রুজলসিক্ত আবেগপূর্ণ চুম্বনে তাহাকে বিস্ময়প্রকাশের অবসর দিল না৷ অপূর্ব প্রথমে চমকিয়া উঠিল, তাহার পর বুঝিতে পারিল,অনেক দিনের একটি হাস্যবাধায়- অসম্পন্ন চেষ্টা আজ অশ্রু জলধারায় সমাপ্ত হইল৷ “
এই হল সমাপ্তি গল্পের বিষয়বস্তু৷
৫. লেখকের দৃষ্টিকোণ / বক্তব্য :
প্রাকৃতিক নিয়মেই মানবজীবনে বাল্যকাল অতিক্রান্ত হয়ে যৌবন, প্রৌঢ়ত্ব ইত্যাদি একে একে উপস্থিত হয়৷ এক্ষেত্রে আবার পরপর দুটি কালের মধ্যে একটি সন্ধিক্ষন থাকে৷ বাল্য ও যৌবনের মধ্যে এমনিভাবে বয়: সন্ধিক্ষন আবির্ভূত হয়, যা মানব জীবনের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়৷ এই সময় ছেলেমেয়েদের মধ্যে এত দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তনে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ে৷ এই সমস্যাপূর্ণকালকে শিক্ষা মনোবিদরা জীবনের ‘ঝড়ঝঞ্চা কাল’ বলেছেন৷ এই বয়ঃসন্ধির সমস্যাই সুন্দরভাবে চিত্রিত হয়েছে সমাপ্তি গল্পে৷
দুরন্ত বাল্য গ্রাম্য কিশরী মৃন্ময়ীর যৌবনে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে শ্বশুর ঘরকে নিজের ঘর মনে হল৷ অপূর্বর কাছে কলকাতায় যাবার জন্য সে উদ্গ্রীব হয়ে উঠল। মুন্ময়ীর বাল্যদশা ঘুচিয়ে তাকে যৌবনে উপনীত করাই ছিল গল্পকারের আসল উদ্দেশ্য৷
৬. আমার ভালোলাগার কারন :
‘সমাপ্তি ‘গল্পটিতে আছে রোমান্স৷ আছে হাস্যরস৷ আছে ততকালীন সমাজজীবনের প্রতিচ্ছবি৷ আছে উনিশ শতকের নবচেতনা৷ অপূর্বকৃষ্ণ গ্রামের ছেলে হয়েও কলকাতায় পড়াশুনা করে৷ বি.এ পাশ করে।
বিয়ের ব্যাপারে অভিভাবক নয়, সে নিজের পছন্দের উপর নির্ভরশীল৷ মায়ের পছন্দের ‘জড়পুওলি ‘ নয়, চঞ্চলা মৃন্ময়ীকে তার পছন্দ৷
মৃন্ময়ী সুন্দর নয়; তার মুখের স্বচ্ছতা ও জীবনচঞ্চল মুখখানি অপূর্বর হৃদয়ে দাগ কাটে। সে মায়ের শাশুড়িপনা থেকে মৃন্ময়ীকে মুক্ত করেছে৷ কোনো প্রকার জোর-জবরদস্তি নয়, সে স্বাভাবিক ভাবে সোহাগে রাজকন্যার মতো পেতে চায় মৃন্ময়ীকে। উনিশ শতকের এই শৌখিন ভালো মনের যুবক সবার মনে জায়গা করে নেয়৷ এই ধরনের চরিত্র খুব ভালো লাগার বিষয়৷ স্বাভাবিক নিয়মে গল্পটিও ভালো লাগে৷
অপরদিকে মৃন্ময়ীর হাব-ভাবলেশহীন মুখ, দুরন্তপনা, চঞ্চলতা, ছেলেদের সাথে মেশা – এ যেন প্রত্যেক গ্রামের চোখে দেখা কোনো চরিত্র৷
এছাড়া বিয়ের পর প্রত্যেক মেয়েই নিজেকে খাঁচায় বন্ধ পাখি মনে করে৷ এই সত্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মেলে ধরেছেন আমাদের সামনে৷
আসলে নিজের চোখে দেখা ঘটনা ও অনুভূতির সাথে যখন বইয়ের বিষয় মিলে যায় তখন সে গল্পটি প্রিয় হয়ে ওঠে৷ ‘সমাপ্তি ‘র ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম কাজ করে আমার মনে৷ তাই তো ‘সমাপ্তি ‘ চিরকাল আমার প্রিয়৷
৭. উপসংহার :
বর্তমান যুগে ছোটগল্প তার স্থান অধিকার করেছে অনেকখানি জায়গা জুড়ে৷ সহজ-সরল, দুঃখ-বেদনাময়, সুখ-সমৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয়গুলিকে অবলম্বন করে সংক্ষিপ্ততম আকারে মানবজীবন গভীরতর বড়ো দিক প্রকাশিত হয় ছোটগল্পের মধ্য দিয়ে৷ তাছাড়া রাজনৈতিক চেতনা ও সমাজচেতনা প্রকাশ পাচ্ছে ছোটগল্পে৷ এই গল্প পড়ে আমরা আনন্দিত হচ্ছি৷ মনের গভীরের সুপ্ত অনুভূতি খুব কম সময়ের মধ্যে বুঝতে পারছি৷ পাশ্চাত্য ছোটগল্পও অনুবাদ হচ্ছে বাংলাতে৷ অনেক নতুন নতুন লেখক জনপ্রিয়তার খাতিরে এই রীতির দিকে ঝুঁকে পড়ছেন৷ তারা বাস্তবকে তুলে ধরছেন আমাদের সামনে৷ এইভাবে ছোটগল্প আরো সমৃদ্ধ হবে, আরো উন্নত হবে৷ ভবিষ্যতে বাংলা সাহিত্য ছোটগল্পে ভরপুর হবে এটাই সম্ভাব্য মনে হচ্ছে৷ যা আমাদের মতো ছোটগল্প প্রেমিকদের পক্ষে খুবই আনন্দের বিষয়৷
গ্রন্থঋণ :
১. সমাপ্তি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২. বাংলা ছোটগল্পের ক্রমবিকাশ- সত্যচরন চট্টোপাধ্যায় ও সৌম্য চট্টোপাধ্যায়৷
৩. বাংলা অনার্স শিক্ষক-সম্পাদনা – ভুটানচন্দ্র ঘোষ
৪. রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ- ড. অরুন কুমার বসু ও সত্যচরন চট্টোপাধ্যায়৷
৫. রবীন্দ্র গল্প বারে বারে ফিরে দেখা – তপন কুমার চট্টোপাধ্যায়।
৬. ইন্টারন্যাট৷
৭. বাংলা ছোটগল্পের উদ্ভব ও বিকাশ : সাধারন আলোচনা৷